ঢাকা ০৭:২১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৭ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ফরিদপুরে আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে সরকারি জমি দখলের অভিযোগ

ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার এক ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে রাতের আধারে কালিনগর বাজারের সরকারি জমি দখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওই আওয়ামী লীগ নেতার নাম মো. মিজানুর রহমান। তিনি উপজেলার রুপাপাত ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাদারণ সম্পাদক ও সালথার নবকাম পল্লী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের প্রভাষক।

শনিবার সকালে কালিনগর গ্রামের এমদাদুল হক মিলনসহ নয়জন স্বাক্ষরিত একটি লিখিত অভিযোগ বোয়ালমারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর জমা দিয়েছেন। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার রাতে বোয়ালমারী উপজেলার রূপপাত ইউনিয়নের কালিনগর বাজারের কুমার নদীর পাড়ে সরকারি ১ নম্বর খাস খতিয়ান ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের ১০ শর্তাংশ জমি মো. মিজানুর রহমান ও তার সহযোগিরা রাতের আধারে চারপাশ বাঁশ দিয়ে ঘিরে দখল করে। দখলকৃত জমির আনুমানিক বাজার মূল্য ত্রিশ লক্ষ টাকা।

জমি দখলের অভিযুক্ত ও রূপাপাত ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক মিজানুর রহমান বলেন, এই জমির সামনে আমার দুই শতাংশ জমি। পিছনের জমির গর্ত ছিলো নদী কাটার সময় আমি টাকা পয়সা খরচ করে ভরাট করেছি। তাছাড়া জমিটা আমার দখলে রয়েছে এবং জমিটার লিজ নেওয়াসহ ডিসিআরও রয়েছে আমার।

অভিযোগ পাওয়ার কথা স্বীকার করে শনিবার বিকেলে বোয়ালমারী উপজেলা ইউএনও ঝোটন চন্দ বলেন, সরকারি জমি দখলের লিখিত অভিযোগ পেয়ে রূপাপাত ইউনিয়নের ভূমি কর্মকর্তাকে সরেজমিনে গিয়ে জায়গা পরিদর্শন শেসে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছি।

Tag :

ফরিদপুরে আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে সরকারি জমি দখলের অভিযোগ

Update Time : ০৭:১০:৫৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২১

ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার এক ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে রাতের আধারে কালিনগর বাজারের সরকারি জমি দখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওই আওয়ামী লীগ নেতার নাম মো. মিজানুর রহমান। তিনি উপজেলার রুপাপাত ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাদারণ সম্পাদক ও সালথার নবকাম পল্লী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের প্রভাষক।

শনিবার সকালে কালিনগর গ্রামের এমদাদুল হক মিলনসহ নয়জন স্বাক্ষরিত একটি লিখিত অভিযোগ বোয়ালমারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর জমা দিয়েছেন। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার রাতে বোয়ালমারী উপজেলার রূপপাত ইউনিয়নের কালিনগর বাজারের কুমার নদীর পাড়ে সরকারি ১ নম্বর খাস খতিয়ান ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের ১০ শর্তাংশ জমি মো. মিজানুর রহমান ও তার সহযোগিরা রাতের আধারে চারপাশ বাঁশ দিয়ে ঘিরে দখল করে। দখলকৃত জমির আনুমানিক বাজার মূল্য ত্রিশ লক্ষ টাকা।

জমি দখলের অভিযুক্ত ও রূপাপাত ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক মিজানুর রহমান বলেন, এই জমির সামনে আমার দুই শতাংশ জমি। পিছনের জমির গর্ত ছিলো নদী কাটার সময় আমি টাকা পয়সা খরচ করে ভরাট করেছি। তাছাড়া জমিটা আমার দখলে রয়েছে এবং জমিটার লিজ নেওয়াসহ ডিসিআরও রয়েছে আমার।

অভিযোগ পাওয়ার কথা স্বীকার করে শনিবার বিকেলে বোয়ালমারী উপজেলা ইউএনও ঝোটন চন্দ বলেন, সরকারি জমি দখলের লিখিত অভিযোগ পেয়ে রূপাপাত ইউনিয়নের ভূমি কর্মকর্তাকে সরেজমিনে গিয়ে জায়গা পরিদর্শন শেসে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছি।