করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসা সেবা দিতে জরুরি ভিত্তিতে প্রস্তুত করা ‘ডিএনসিসি ডেডিকেটেড করোনা হাসপাতাল’ আজ সোমবার (১৯ এপ্রিল) থেকে রোগী ভর্তি করা শুরু করবে।
হাসপাতালটির কার্যক্রম শুরু হচ্ছে ৫০ শয্যার আইসিইউ, ৫০ শয্যার ইমারজেন্সি, যা অনেকটা আইসিইউর মতোই। এছাড়া আছে হাইফ্লো নাজাল ক্যানোলা, সেন্ট্রাল অক্সিজেনসহ সব ব্যবস্থা। ১৫০টি (সিঙ্গেল) রুমের আইসোলেশন ব্যবস্থা এখানে রয়েছে। এই হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা দিতে ৫০০ চিকিৎসক, ৭০০ নার্স, ৭০০ স্টাফ এবং ওষুধ, সরঞ্জামের ব্যবস্থা করছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
রবিবার (১৮ এপ্রিল) স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক করোনা হাসপাতালটির উদ্বোধন করেন।এটি দেশের বৃহত্তম করোনা হাসপাতাল। সকাল থেকে হাসপাতালটিতে রোগী ভর্তিসহ সব চিকিৎসা সুবিধা পাবেন আক্রান্তরা।
এখানে ১০০ শয্যার আইসিইউ এবং ১১২টি এইচডিইউ স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়া রোগীদের জন্য সেন্ট্রাল অক্সিজেন সরবরাহের ব্যবস্থাও রয়েছে।
করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসার জন্য গত বছর এই হাসপাতাল চালুর ঘোষণা দেয়া হলেও এক বছরে একজন রোগীও এখানে সেবা নিতে যাননি। করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ে সংক্রমণ ও মৃত্যু বেড়ে যাওয়ায় দেশের হাসপাতালগুলোতে তিল ধারণের ঠাঁই নেই। শত শত রোগী অ্যাম্বুলেন্সে করে এক হাসপাতাল থেকে অন্য হাসপাতালে ঘুরেও ভর্তি হতে পারছেন না। হাসপাতালে আইসিইউ বেড না পাওয়ায় অ্যাম্বুলেন্সে মারা গেছেন একাধিক করোনা রোগী। এ পরিস্থিতিতে নতুন করে হাসপাতালটি চালুর উদ্যোগ নেয়া হয়।
জরুরি ভিত্তিতে রাজধানীতে চলমান সরকারি ও বেসরকারি করোনা হাসপাতালের পাশাপাশি আরো ১০টি হাসপাতালকে যুক্ত করছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়। এর মধ্যে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মহাখালী কাঁচাবাজারের ১ লাখ ৮০ হাজার ৫৬০ বর্গফুট আয়তনের ফাঁকা ভবনে অস্থায়ীভাবে স্থাপন করা হয়েছে এ হাসপাতাল। এতদিন ছয় তলাবিশিষ্ট মার্কেটটি করোনা আইসোলেশন সেন্টার ও বিদেশগামীদের করোনা পরীক্ষার ল্যাব হিসেবে ব্যবহৃত হতো। সম্প্রতি হাসপাতালে শয্যা ও আইসিইউসহ জরুরি সেবার ঘাটতি দেখা দেয়ায় ভবনটিকে হাসপাতালে রূপান্তর করা হয়। এখন করোনা হাসপাতালের কার্যক্রম শুরু হলেও আলাদাভাবে আগের সেবাগুলোও চলবে।