ঢাকা ১২:৫৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৫, ১৯ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম
পাকিস্তানের মানচিত্রে অবস্থান ধরে রাখতে রাষ্ট্রীয় মদদের সন্ত্রাসবাদ অবশ্যই বন্ধ করতে হবে: ভারতীয় সেনাপ্রধান ইসরায়েল সেনাবাহিনীকে গাজায় অভিযান সীমিত করার নির্দেশ দিয়েছে বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু সরকার ট্রাম্পের শান্তি প্রস্তাব নিয়ে কাজ করতে রাজি ইসরায়েল জার্মানির আকাশে গত ২৪ ঘণ্টায় একাধিক ড্রোন; বন্ধ হলো মিউনিখ বিমানবন্দর যুক্তরাষ্ট্রের নতুন শান্তি প্রস্তাবে জবাব দিয়েছে হামাস, ইসরায়েলকে বোমাবর্ষণ থামাতে ট্রাম্পের আহ্বান ট্রাম্পের ২০ দফা গাজা পরিকল্পনার বিষয়ে জবাব দিয়েছে হামাস এক নজরে বিশ্ব সংবাদ: ৩ অক্টোবর ২০২৫ আজকে কোন টিভি চ্যানেলে কোন খেলা আজকের নামাজের সময়সূচি: ০৪ অক্টোবর এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ নিশ্চিত করল টাইগাররা

মামুনুলকে আরো ২৩ মামলায় শ্যোন অ্যারেস্ট দেখানো হবে

মোহাম্মদপুর থানার একটি মামলায় সাত দিনের রিমান্ডে রয়েছেন হেফাজতের যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হক। এ মামলায় রিমান্ড শেষ হলে আরও ২৩টি মামলায় তাকে শ্যোন অ্যারেস্ট দেখিয়ে রিমান্ডে নেওয়ার প্রস্তুতি নিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার মাহবুব আলম বলেন, অন্য সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় করে পর্যায়ক্রমে ডিবিও মামুনুলকে শ্যোন অ্যারেস্ট দেখিয়ে রিমান্ড আবেদন করবে।

মামলার তদন্ত তদারক কর্মকর্তা তেজগাঁও বিভাগের ডিসি হারুন অর রশিদ বলেন, এরই মধ্যে বেশকিছু ব্যাপারে মামুনুলের কাছে স্পষ্টভাবে জানতে চাওয়া হয়েছে। তার অনেক প্রশ্নের উত্তর সন্তোষজনক নয়। আবার কিছু ব্যাপারে নিজের দায় স্বীকার করছেন তিনি।

পুলিশের অপর এক কর্মকর্তা বলেছেন, মামুনুল স্বীকার করেছেন, সংগঠনের নেতাকর্মীদের চাঙ্গা করতেই উগ্রপন্থি বক্তব্য দিয়েছেন। বারবার এটাও বলেছেন, জোশের বশেই নানা ব্যাপারে কথা বলতেন তিনি।

২০১৩ সালের ৫ মে হেফাজতের তাণ্ডবের ব্যাপারে মামুনুল পুলিশকে বলেন, ওই সময় ছোট নেতা ছিলাম। সংগঠনের সিদ্ধান্তে তেমন কোনো ভূমিকা ছিল না। তাই ওই নাশকতার ব্যাপারে তার কোনো বক্তব্য নেই বলে জানান।

পুলিশের এক কর্মকর্তা জানান, মামুনুলের বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত ২৩টি মামলা হয়েছে। এর মধ্যে ঢাকায় করা হয় ১৮টি। ২৩ মামলার মধ্যে ২০১৩ সালের হেফাজত তাণ্ডবের পর রাজধানীর বিভিন্ন থানায় ১৫টি মামলায় তার নাম রয়েছে। এসব মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পর্যায়ে মামুনুলকে শ্যোন অ্যারেস্ট দেখিয়ে রিমান্ড আবেদন করবেন। এরই মধ্যে হেফাজতের সহকারী মহাসচিব ও ঢাকা মহানগরের সহসভাপতি খুরশিদ আলম কাশেমী, ঢাকা মহানগরের সহদপ্তর সম্পাদক ইহতেশামুল হক সাখীসহ কয়েকজনের সামনাসামনি করে মামুনুলকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। একই বিষয়ে হেফাজতের নেতারা পৃথকভাবে ও যৌথ জিজ্ঞাসাবাদে কী ধরনের বক্তব্য দিচ্ছেন তা যাচাই করতে মুখোমুখি জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

Tag :
জনপ্রিয়

পাকিস্তানের মানচিত্রে অবস্থান ধরে রাখতে রাষ্ট্রীয় মদদের সন্ত্রাসবাদ অবশ্যই বন্ধ করতে হবে: ভারতীয় সেনাপ্রধান

মামুনুলকে আরো ২৩ মামলায় শ্যোন অ্যারেস্ট দেখানো হবে

Update Time : ০৫:৩২:০০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২১

মোহাম্মদপুর থানার একটি মামলায় সাত দিনের রিমান্ডে রয়েছেন হেফাজতের যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হক। এ মামলায় রিমান্ড শেষ হলে আরও ২৩টি মামলায় তাকে শ্যোন অ্যারেস্ট দেখিয়ে রিমান্ডে নেওয়ার প্রস্তুতি নিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার মাহবুব আলম বলেন, অন্য সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় করে পর্যায়ক্রমে ডিবিও মামুনুলকে শ্যোন অ্যারেস্ট দেখিয়ে রিমান্ড আবেদন করবে।

মামলার তদন্ত তদারক কর্মকর্তা তেজগাঁও বিভাগের ডিসি হারুন অর রশিদ বলেন, এরই মধ্যে বেশকিছু ব্যাপারে মামুনুলের কাছে স্পষ্টভাবে জানতে চাওয়া হয়েছে। তার অনেক প্রশ্নের উত্তর সন্তোষজনক নয়। আবার কিছু ব্যাপারে নিজের দায় স্বীকার করছেন তিনি।

পুলিশের অপর এক কর্মকর্তা বলেছেন, মামুনুল স্বীকার করেছেন, সংগঠনের নেতাকর্মীদের চাঙ্গা করতেই উগ্রপন্থি বক্তব্য দিয়েছেন। বারবার এটাও বলেছেন, জোশের বশেই নানা ব্যাপারে কথা বলতেন তিনি।

২০১৩ সালের ৫ মে হেফাজতের তাণ্ডবের ব্যাপারে মামুনুল পুলিশকে বলেন, ওই সময় ছোট নেতা ছিলাম। সংগঠনের সিদ্ধান্তে তেমন কোনো ভূমিকা ছিল না। তাই ওই নাশকতার ব্যাপারে তার কোনো বক্তব্য নেই বলে জানান।

পুলিশের এক কর্মকর্তা জানান, মামুনুলের বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত ২৩টি মামলা হয়েছে। এর মধ্যে ঢাকায় করা হয় ১৮টি। ২৩ মামলার মধ্যে ২০১৩ সালের হেফাজত তাণ্ডবের পর রাজধানীর বিভিন্ন থানায় ১৫টি মামলায় তার নাম রয়েছে। এসব মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পর্যায়ে মামুনুলকে শ্যোন অ্যারেস্ট দেখিয়ে রিমান্ড আবেদন করবেন। এরই মধ্যে হেফাজতের সহকারী মহাসচিব ও ঢাকা মহানগরের সহসভাপতি খুরশিদ আলম কাশেমী, ঢাকা মহানগরের সহদপ্তর সম্পাদক ইহতেশামুল হক সাখীসহ কয়েকজনের সামনাসামনি করে মামুনুলকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। একই বিষয়ে হেফাজতের নেতারা পৃথকভাবে ও যৌথ জিজ্ঞাসাবাদে কী ধরনের বক্তব্য দিচ্ছেন তা যাচাই করতে মুখোমুখি জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।