দেশে আগামী সপ্তাহের শেষ থেকে ফাইজার-বায়োএনটেকের টিকার প্রয়োগ শুরুর পরিকল্পনার কথা জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
বুধবার (২ জুন) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংবাদ বুলেটিনে অধিদপ্তরের মুখপাত্র অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, আমরা আশা করছি আগামী ৭ থেকে ১০ দিনের মধ্যে এই টিকা প্রয়োগ শুরু হবে। আগে থেকেই যারা টিকার জন্য নিবন্ধন করেছেন তাদেরকে এই টিকা দেওয়া হবে। যেহেতু টিকার পরিমাণ অনেক কম, এই কারণে ইতিমধ্যে যারা সুরক্ষা অ্যাপের মাধ্যমে নিবন্ধন করেছেন তাদের মধ্য থেকেই দেওয়া হবে।
এর আগে সোমবার রাতে কোভ্যাক্স থেকে ফাইজার-বায়োএনটেকের ১ লাখ ৬২০ ডোজ টিকা ঢাকায় এসে পৌঁছায়। এটি দেশে পৌঁছানো তৃতীয় কোম্পানির টিকা। এর আগে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রোজেনকার কোভিশিল্ড এবং চীনের সিনোফার্মের টিকা দেশে প্রয়োগ শুরু হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানি ফাইজার ও জার্মান জৈবপ্রযুক্তি কোম্পানি বায়োএনটেকের তৈরি ফাইজারের টিকা গত বছরের ২ ডিসেম্বর বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে যুক্তরাজ্য জরুরি ব্যবহারের অনুমতি দেয়। যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডাসহ বিভিন্ন দেশে এখন এই টিকা প্রয়োগ করা হচ্ছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর তাদের জরুরি ব্যবহার্য টিকার তালিকায় ফাইজারের ভ্যাকসিনকে অন্তর্ভুক্ত করে।
অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার কোভিশিল্ড বা সিনোফার্মের তৈরি টিকার মতোই ফাইজার-বায়োএনটেকের টিকাও নিতে হবে দুই ডোজ করে। প্রথম ডোজ দেওয়ার ৩ থেকে ৪ সপ্তাহ পর দিতে হবে দ্বিতীয় ডোজ।
১২ বছর বা তার বেশি বয়সীদের ওপর ফাইজারের টিকা প্রয়োগ করা যাবে। চূড়ান্ত ধাপের ট্রায়ালে এই টিকা ৯৫ শতাংশ কার্যকর প্রমাণিত হয়েছে বলে উৎপাদকদের ভাষ্য।