ঢাকা ০৬:৫১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৩ অক্টোবর ২০২৫, ১৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম
আগামী ৫ দিন বজ্রসহ ভারি বৃষ্টি হতে পারে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ফুটবলে প্রথমবারের মতো রেফারির সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করতে কোচের হাতে উঠল ‘গ্রিন কার্ড’ অসহনীয় মাছ-মাংসের দাম; বৃষ্টিকে পুঁজি করে বাড়িয়েছে সব ধরনের সবজির দাম ফ্লোটিলার ত্রাণ বহনকারী একমাত্র নৌযানটিও ভূমধ্যসাগরে ইসরাইলি বাহিনীর হাতে আটক হয়েছে আফগানিস্তানের ১৫১ রান তাড়া করে বাংলাদেশ ৮ বল ও ৪ উইকেট হাতে রেখে জিতেছে অব্যাহত হামলায় ফিলিস্তিনের গাজা ভূখণ্ডে একদিনে আরও অন্তত ৫৩ জনের প্রাণহানি ফ্লোটিলা সদস্যদের আটকের ঘটনায় বাংলাদেশের গভীর নিন্দা মার্কিন সরকারে দ্বিতীয় দিনের মতো চলছে শাটডাউন গাজা সিটিজুড়ে ইসরায়েলি বাহিনী ঘোষণা: এটাই পালানোর শেষ সুযোগ গাজা উপত্যকার দিকে ছুটছে ফ্লোটিলার সর্বশেষ পোল্যান্ডের পতাকাবাহী জাহাজ ‘দ্য ম্যারিনেট’

একটি স্বাভাবিক রাষ্ট্রে বাজার পরিস্থিতি এমন হতে পারে না

  • অনলাইন ডেস্ক
  • Update Time : ০৪:০৪:২১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২১ অক্টোবর ২০২০
  • ৪৬৩ Time View

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধগতি মধ্যবিত্তদের সবচেয়ে বিপদে ফেলছে বলে মন্তব্য করেছেন বিশিষ্ট্য অর্থনীতিবিদ ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেছেন, ‘একটি স্বাভাবিক রাষ্ট্রে বাজার পরিস্থিতি এমন হতে পারে না।’

দ্রব্যমূল্য পরিস্থিতি নিয়ে জাগো নিউজের কাছে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন তিনি

ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, একটি বাজার পরিস্থিতির যে স্বাভাবিকতা, তা বর্তমানে আছে বলে মনে করি না। মানুষ দিশেহারা। মধ্যবিত্তরা এই পরিস্থিতির মধ্যে সবচেয়ে বিপদে। নিম্নবিত্তদের দুঃখ-কষ্ট সয়ে নেয়ার মানসিকতা আছে। প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্যে তারা সামলে নিতে পারে। আর এমন পরিস্থিতিতে উচ্চবিত্তারা আরও সুবিধা পাচ্ছে। তাদের কিছুই যায়-আসে না। সমস্যায় পড়ছে মধ্যবিত্ত-নিম্নমধ্যবিত্তরা।

তিনি বলেন, সরকারি কর্মকর্তাদের বেতন কমেনি। বরং গত ক’বছরে তাদের বেতন দ্বিগুণ হয়েছে। অপরদিকে বেসরকারি চাকরিজীবীদের বেতন কমেছে। অনেকেই চাকরি হারিয়েছেন। এমন মানুষদের জীবনে ছন্দপতন ঘটছে প্রতিনিয়ত। বিপদে মূলত এই ব্যক্তিরাই। মানুষের এই দুঃখবোধ, রাষ্ট্র-সমাজ ধারণ করতে পারছে না। যে কারণে বাজার পরিস্থিতি বেসামাল হয়ে পড়ছে।

এই বিশ্লেষক বলেন, মূলত মূল্যস্ফীতি বাড়লে আর চাহিদার তুলনায় যোগান না থাকলে দ্রব্যমূল্য বাড়ে। সেই বৃদ্ধিরও মাত্রা থাকে। মূল্যস্ফীতি বাড়লে আলুর কেজি ২০ টাকা থেকে ২৫ টাকা হতে পারে। কিন্তু ৫০ টাকা কেজি হলে তা আর স্বাভাবিক থাকে না। ৫০ টাকা হলে বাজার বিশেষ সিন্ডিকেটের দখলে চলে যায়। এখন তাই হয়েছে। ব্যবসায়ীরা বিশেষ কারসাজি করার কারণেই দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব না।

কেন দ্রব্যমূল্যে বাড়ছে, তা নিয়ে সরকারের মনিটরিং নেই। যোগাযোগ ব্যবস্থা আর চাঁদাবাজির কারণে যে মূল্য বাড়ে এবং এই বিষয়টি চাইলেই সরকার সমাধান করতে পারে অথচ আমরা যথাযথ পদক্ষেপ নিতে দেখছি না।

Tag :
জনপ্রিয়

আগামী ৫ দিন বজ্রসহ ভারি বৃষ্টি হতে পারে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে

একটি স্বাভাবিক রাষ্ট্রে বাজার পরিস্থিতি এমন হতে পারে না

Update Time : ০৪:০৪:২১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২১ অক্টোবর ২০২০

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধগতি মধ্যবিত্তদের সবচেয়ে বিপদে ফেলছে বলে মন্তব্য করেছেন বিশিষ্ট্য অর্থনীতিবিদ ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেছেন, ‘একটি স্বাভাবিক রাষ্ট্রে বাজার পরিস্থিতি এমন হতে পারে না।’

দ্রব্যমূল্য পরিস্থিতি নিয়ে জাগো নিউজের কাছে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন তিনি

ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, একটি বাজার পরিস্থিতির যে স্বাভাবিকতা, তা বর্তমানে আছে বলে মনে করি না। মানুষ দিশেহারা। মধ্যবিত্তরা এই পরিস্থিতির মধ্যে সবচেয়ে বিপদে। নিম্নবিত্তদের দুঃখ-কষ্ট সয়ে নেয়ার মানসিকতা আছে। প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্যে তারা সামলে নিতে পারে। আর এমন পরিস্থিতিতে উচ্চবিত্তারা আরও সুবিধা পাচ্ছে। তাদের কিছুই যায়-আসে না। সমস্যায় পড়ছে মধ্যবিত্ত-নিম্নমধ্যবিত্তরা।

তিনি বলেন, সরকারি কর্মকর্তাদের বেতন কমেনি। বরং গত ক’বছরে তাদের বেতন দ্বিগুণ হয়েছে। অপরদিকে বেসরকারি চাকরিজীবীদের বেতন কমেছে। অনেকেই চাকরি হারিয়েছেন। এমন মানুষদের জীবনে ছন্দপতন ঘটছে প্রতিনিয়ত। বিপদে মূলত এই ব্যক্তিরাই। মানুষের এই দুঃখবোধ, রাষ্ট্র-সমাজ ধারণ করতে পারছে না। যে কারণে বাজার পরিস্থিতি বেসামাল হয়ে পড়ছে।

এই বিশ্লেষক বলেন, মূলত মূল্যস্ফীতি বাড়লে আর চাহিদার তুলনায় যোগান না থাকলে দ্রব্যমূল্য বাড়ে। সেই বৃদ্ধিরও মাত্রা থাকে। মূল্যস্ফীতি বাড়লে আলুর কেজি ২০ টাকা থেকে ২৫ টাকা হতে পারে। কিন্তু ৫০ টাকা কেজি হলে তা আর স্বাভাবিক থাকে না। ৫০ টাকা হলে বাজার বিশেষ সিন্ডিকেটের দখলে চলে যায়। এখন তাই হয়েছে। ব্যবসায়ীরা বিশেষ কারসাজি করার কারণেই দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব না।

কেন দ্রব্যমূল্যে বাড়ছে, তা নিয়ে সরকারের মনিটরিং নেই। যোগাযোগ ব্যবস্থা আর চাঁদাবাজির কারণে যে মূল্য বাড়ে এবং এই বিষয়টি চাইলেই সরকার সমাধান করতে পারে অথচ আমরা যথাযথ পদক্ষেপ নিতে দেখছি না।