চলতি বছরও জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষা হবে না। রোববার বিষয়টি পরিষ্কার করে জানিয়ে দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।
আজ সকালে সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী এ সিদ্ধান্তের কথা জানান। বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের আওতায় বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শূন্য পদে নিয়োগ দেওয়ার বিষয় নিয়ে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, নতুন শিক্ষাক্রম অষ্টম শ্রেণিতে বাস্তবায়ন শুরু হবে ২০২৪ সালে। নতুন শিক্ষাক্রমে জেএসসি পরীক্ষা নেই। সুতরাং আগামী বছরও (২০২৩ সালে) জেএসসি পরীক্ষা নেওয়ার কোনো কারণ নেই।
এ সময় আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে নতুন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির ঘোষণা দেন ডা. দীপু মনি। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এমপিওভুক্তির ঘোষণাটি আসার কথা ছিল গত মার্চে। এরপর বলা হয় মে মাসে আসবে। অবশেষে জুন মাসের শুরুতে এসে আবার এমপিওভুক্তির সময়সীমা ঘোষণা দিলেন শিক্ষামন্ত্রী।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আবু বকর ছিদ্দীক, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ, এনটিআরসিএর চেয়ারম্যান এনামুল কাদের খান প্রমুখ।
করোনা সংক্রমণের কারণে গত দুই বছর জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষা হয়নি। চলতি বছরও যে এই পরীক্ষা হচ্ছে না, সেটি পরীক্ষাসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা নানাভাবে বুঝিয়ে দিচ্ছিলেন।
প্রসঙ্গত, ২০১০ সালে অষ্টম শ্রেণিতে চালু হয় জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট, জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট ও সমমানের পরীক্ষা। করোনার কারণে ২০২০ ও ২০২১ সালে হয়নি এ পরীক্ষা। আর নতুন কারিকুলাম অনুযায়ী আগামী বছর থেকেও থাকছে না এ পরীক্ষা। প্রতি বছরই নভেম্বরে অনুষ্ঠিত হয়েছে এ পরীক্ষা। সবশেষ ২০১৯ সালে প্রায় ২৭ লাখ পরীক্ষার্থী এ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে।
সাধারণত, প্রতিবছরের নভেম্বরে জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষা হতো। কিন্তু করোনার সংক্রমণের কারণে ২০২০ সালের মার্চে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যায়। টানা প্রায় ১৮ মাস শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের কারণে গত দুই বছর এ পরীক্ষাগুলো হয়নি। এর মধ্যে ২০২০ সালে পরীক্ষা ছাড়াই শিক্ষার্থীদের ওপরের ক্লাসে উত্তীর্ণ করা হয়েছিল। গত বছর অবশ্য সংক্ষিপ্ত পাঠ্যসূচিতে কম বিষয়ে বিদ্যালয়ে বার্ষিক পরীক্ষা হয়েছিল। এবারও অষ্টম শ্রেণিস্তরের শিক্ষার্থীদের জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষার পরিবর্তে বিদ্যালয়ে বার্ষিক পরীক্ষার মাধ্যমে মূল্যায়ন করা হবে।