ঢাকা ১২:০২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই ২০২৫, ১৫ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম

ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে ২২ কিলোমিটার যানজট, ভোগান্তি নিয়ে বাড়ি ফিরছে মানুষ

ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়ক দিয়ে বাড়ি ফিরছে মানুষ। তবে এ মহাসড়ক দিয়ে সারাদিন ঘরমুখো মানুষের ভোগান্তি ছিল চরমে। রাতেও ভোগান্তি নিয়ে বাড়ি ফিরছে মানুষ। এতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানজটে আটকা পড়ে নাভিশ্বাস উঠেছে যাত্রী ও চালকদের।
এদিকে বুধবার দিবাগত রাত ১২টা থেকে বৃহস্পতিবার রাত ৮টা পর্যন্ত ২০ ঘণ্টায় যমুনা সেতু দিয়ে ৫৪ হাজার ২৬৪টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এতে টোল আদায় হয়েছে তিন কোটি ৫০ লাখ ৪১ হাজার ৫৫০ টাকা।
পুলিশ ও সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার ভোর ৪টা থেকে মহাসড়কের যমুনা সেতু থেকে আশেকপুর বাইপাস পর্যন্ত উত্তরবঙ্গগামী লেনে ২২ কিলোমিটার যানজটের সৃষ্টি হয়। সে যানজট এখনো শেষ হয়নি। টানা ১৬ ঘণ্টা ধরে রাত ৮টা পর্যন্ত মহাসড়কে বিভিন্ন পয়েন্টে বর্তমানে থেমে থেকে যানজট চলছে।
অপরদিকে গণপরিহন না পেয়ে ঝুঁকি নিয়ে খোলা ট্রাক, পিকআপ, পণ্যবাহী পরিবহন করে পরিবারের সঙ্গে ঈদের আনন্দ উদযাপন করতে ঢাকা-টাঙ্গাইল পাড়ি দিচ্ছেন হাজারো মানুষ। প্রতি বছরের মতো এবারেও ঈদের যানজটে নাকাল হতে হচ্ছে তাদের।
যানজটের অন্যতম কারণ হিসেবে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ভোর থেকে হঠাৎ করে মহাসড়কে যানবাহন বেড়ে যাওয়া, যমুনা সেতুর উপর গাড়ি বিকল হওয়াতে বেশ কয়েক দফায় টোল আদায় বন্ধ, সড়কে ফিটনেসবিহীন গাড়ির দৌরাত্ম্য, চালকদের বেপরোয়া আচরণ, সড়ক দুর্ঘটনা, যেখানে সেখানে গাড়ি নষ্ট হয়ে যাওয়ার ফলে এমন হচ্ছে।
যমুনা সেতুর ম্যানেজার (টোল অপারেশন) প্রবীর কুমার ঘোষ বলেন, অতিরিক্ত গাড়ির চাপ ও সেতুর ওপর গাড়ি বিকল হওয়াতে বেশ কয়েক দফায় টোল আদায় বন্ধ ছিল। ঈদযাত্রায় উভয় পাশে ৯টি করে বুথ দিয়ে যানবাহন পারাপার হচ্ছে। এর মধ্যে মোটরসাইকেলের জন্য আলাদা ২ করে বুথ দিয়ে পারি হচ্ছে।
এ ব্যাপারে টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান বলেন, মহাসড়কে যানজট নিরসন পুলিশ সদস্যরা ২৪ ঘণ্টায় নিরসলভাবে কাজ করছে।
Tag :
জনপ্রিয়

বড় ধরনের সাইবার হামলার আশঙ্কায় সতর্কতা জারি

ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে ২২ কিলোমিটার যানজট, ভোগান্তি নিয়ে বাড়ি ফিরছে মানুষ

Update Time : ০৬:০১:৩৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ জুন ২০২৫
ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়ক দিয়ে বাড়ি ফিরছে মানুষ। তবে এ মহাসড়ক দিয়ে সারাদিন ঘরমুখো মানুষের ভোগান্তি ছিল চরমে। রাতেও ভোগান্তি নিয়ে বাড়ি ফিরছে মানুষ। এতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানজটে আটকা পড়ে নাভিশ্বাস উঠেছে যাত্রী ও চালকদের।
এদিকে বুধবার দিবাগত রাত ১২টা থেকে বৃহস্পতিবার রাত ৮টা পর্যন্ত ২০ ঘণ্টায় যমুনা সেতু দিয়ে ৫৪ হাজার ২৬৪টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এতে টোল আদায় হয়েছে তিন কোটি ৫০ লাখ ৪১ হাজার ৫৫০ টাকা।
পুলিশ ও সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার ভোর ৪টা থেকে মহাসড়কের যমুনা সেতু থেকে আশেকপুর বাইপাস পর্যন্ত উত্তরবঙ্গগামী লেনে ২২ কিলোমিটার যানজটের সৃষ্টি হয়। সে যানজট এখনো শেষ হয়নি। টানা ১৬ ঘণ্টা ধরে রাত ৮টা পর্যন্ত মহাসড়কে বিভিন্ন পয়েন্টে বর্তমানে থেমে থেকে যানজট চলছে।
অপরদিকে গণপরিহন না পেয়ে ঝুঁকি নিয়ে খোলা ট্রাক, পিকআপ, পণ্যবাহী পরিবহন করে পরিবারের সঙ্গে ঈদের আনন্দ উদযাপন করতে ঢাকা-টাঙ্গাইল পাড়ি দিচ্ছেন হাজারো মানুষ। প্রতি বছরের মতো এবারেও ঈদের যানজটে নাকাল হতে হচ্ছে তাদের।
যানজটের অন্যতম কারণ হিসেবে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ভোর থেকে হঠাৎ করে মহাসড়কে যানবাহন বেড়ে যাওয়া, যমুনা সেতুর উপর গাড়ি বিকল হওয়াতে বেশ কয়েক দফায় টোল আদায় বন্ধ, সড়কে ফিটনেসবিহীন গাড়ির দৌরাত্ম্য, চালকদের বেপরোয়া আচরণ, সড়ক দুর্ঘটনা, যেখানে সেখানে গাড়ি নষ্ট হয়ে যাওয়ার ফলে এমন হচ্ছে।
যমুনা সেতুর ম্যানেজার (টোল অপারেশন) প্রবীর কুমার ঘোষ বলেন, অতিরিক্ত গাড়ির চাপ ও সেতুর ওপর গাড়ি বিকল হওয়াতে বেশ কয়েক দফায় টোল আদায় বন্ধ ছিল। ঈদযাত্রায় উভয় পাশে ৯টি করে বুথ দিয়ে যানবাহন পারাপার হচ্ছে। এর মধ্যে মোটরসাইকেলের জন্য আলাদা ২ করে বুথ দিয়ে পারি হচ্ছে।
এ ব্যাপারে টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান বলেন, মহাসড়কে যানজট নিরসন পুলিশ সদস্যরা ২৪ ঘণ্টায় নিরসলভাবে কাজ করছে।