ঢাকা ০২:৪৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৫, ১৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম
এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ নিশ্চিত করল টাইগাররা বাংলাদেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বজায় রাখতে ‘অক্ষম’ অন্তর্বর্তীকালীন সরকার; অন্যের ওপর দোষ চাপানো: ভারত ড. ইউনূসের জাতিসংঘ সফর: যে ৬ সাফল্যের কথা তুলে ধরলেন প্রেস সচিব এনসিপি প্রতীক হিসেবে শাপলা বরাদ্দ পেতে দলটি একটি ব্যাখ্যা দিয়েছে আগামী বছর আমিরাতে পবিত্র রমজান মাস শুরু হতে পারে বৃহস্পতিবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) ইসরায়েলি অবরোধ ভাঙতে নতুন করে রওনা হয়েছে আরও ১১টি জাহাজের বহর আগামী ৫ দিন বজ্রসহ ভারি বৃষ্টি হতে পারে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ফুটবলে প্রথমবারের মতো রেফারির সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করতে কোচের হাতে উঠল ‘গ্রিন কার্ড’ অসহনীয় মাছ-মাংসের দাম; বৃষ্টিকে পুঁজি করে বাড়িয়েছে সব ধরনের সবজির দাম ফ্লোটিলার ত্রাণ বহনকারী একমাত্র নৌযানটিও ভূমধ্যসাগরে ইসরাইলি বাহিনীর হাতে আটক হয়েছে

পা ফাটা ঠেকাতে ঘরোয়া সমাধান

শীত আসলেই অনেকের পায়ের গোড়ালি ফাটে যায়। শীতে পায়ের নিচের ত্বক অন্য সময়ের চেয়ে বেশি শুষ্ক থাকে। যার ফলে সৌন্দর্যও নষ্ট হয় পাশাপাশি পায়ে ব্যথা হয়। তাই এ সময়ে পায়ের নিচের অংশে নিতে হয় বাড়তি যত্ন।

অনেক বেশি হাঁটাচলা, দিনের দীর্ঘসময় দাঁড়িয়ে কাজ করা, ডিহাইড্রেশন ইত্যাদির কারণেও সারাবছর পা ফাটতে পারে। দীর্ঘদিনের পা ফাট‍া সমস্যা দূর করতে ছোট ছোট কিছু ব্যাপার লক্ষ্য রাখা জরুরি।

পা ফাটা রোধ করতে-
•    যদি খোলা স্যান্ডেল বা জুতো পরার অভ্যাস থাকে, তাহলে ১০ দিনে অন্তত একবার পেডিকিওর করা উচিত।
•    যাদের সবসময়ই পা ফাটে তারা কখনওই পা শুষ্ক রাখবেন না। প্রতিবার ভেজানোর পর ভালোভাবে মুছে পায়ের গোড়ালি ও পুরো পাতায় ভেসলিন লাগান।
•    প্রতিদিন স্নানের সময় পিউমিক স্টোন ও ব্রাশ দিয়ে পায়ের গোড়ালি, নখ ও আঙুলের ডগা পরিষ্কার করুন। কারণ মরা কোষ জমে জমে পুরু স্তর তৈরি হয়, যার কারণে গোড়ালি শক্ত হয়ে যায় এবং পা ফাটে।
•    প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন। পানি বা পানিজাতীয় খাবার কম খেলে ত্বকের শুষ্কতা, ঠোঁট বা পা ফাটার মতো সমস্যা দেখা দেয়। দৈনন্দিন পানি পানের পরিমাণ ব্যক্তিভেদে আলাদা। আপনার শরীরের জন্য রোজ ঠিক কতটা পানি খাবেন তা সুযোগমতো ডাক্তারের কাছ থেকে জেনে নিন।

তাহলে জেনে নেওয়া যাক পায়ের ফাটা দূর করার ঘরোয়া উপায়-

শুষ্ক মৌসুম আর আর্দ্রতার ঘাটতিতে এ সমস্যা হয়। পা ফাটলে পায়ের গোড়ালিতে যন্ত্রণা হতে থাকে। পায়ের গোড়ালি ফেটে গেলে তা সারাতে ঘরোয়া কিছু সমাধান নিজেই করতে পারেন। পা ফাটা সারানোর উপায়গুলো জেনে নিন:

মোমবাতির মোম: মোমবাতির মোমের সঙ্গে সরিষার তেল মিশিয়ে তা ফাটা স্থানে লাগিয়ে সারা রাত রেখে দিন। এতে পা ফাটা সেরে যাবে।

গ্লিসারিন ও গোলাপজল: গোলাপজলের সঙ্গে কিছুটা গ্লিসারিন মিশান। এই মিশ্রণ পায়ের গোড়ালিতে লাগিয়ে সারা রাত রেখে দিন। এতে পা ফাটা ও ব্যথা কমবে।

তিলের তেল: পা ফাটা সমস্যা সমাধানে তিলের তেল দারুণ কার্যকর। পায়ে তিলের তেল মাখলে পা ফাটা দূর হয়।

ভ্যাসলিন ও লেবুর রস: ভ্যাসলিনের সঙ্গে কয়েক ফোঁটা লেবুর রস মিশিয়ে তা ফাটা স্থানে মালিশ করুন। এতে ওই মিশ্রণ সেখানে শোষণ হয় বলে পা ফাটা দ্রুত সেরে যায়।

মধু-পানি: এক কাপ মধু আধা বালতি গরম পানিতে মিশিয়ে এতে ১৫ থেকে ২০ মিনিট পা ভিজিয়ে রাখুন। এতে পা ফাটা দূর হবে।

ঘরোয়া সমাধান

ভেজিটেবল অয়েল – অলিভ অয়েল, তিলের তেল, নারকেল তেল, সরষের তেল ও বাদাম তেল পা ফাটার সবচেয়ে সহজ সমাধান। ভালো ফলাফল পেতে রাতে ঘুমানোর আগে পা পরিষ্কার করে যেকোনো ভেজিটেবল অয়েল ম্যাসাজ করে ঘুমান।

চালের গুঁড়া – আধকাপ চালের গুঁড়া, এক চা-চামচ মধু ও এক চা-চামচ আপেল সাইডার ভিনেগার একসঙ্গে মিশিয়ে পায়ে ম্যাসাজ করুন। খুব বেশি ফাটা হলে কয়েক ফোঁটা নারকেল তেল মেশাতে পারেন।

লেবু – খানিকটা গরম জলে লেবুর রস দিয়ে ৮-১০ মিনিট পা ভিজিয়ে রাখুন। পিউমিক স্টোন দিয়ে ঘষে ধুয়ে ফেলুন।

গোলাপজল ও গ্লিসারিন – পা ফাটা রোধে গ্লিসারিন ও গোলাপজলের মিশ্রণ খুব কার্যকর। গ্লিসারিন ত্বক নরম রাখে। অন্যদিকে গোলাপজলে রয়েছে ভিটামিন এ, বি৩, সি, ডি ও ই। আরও রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি ও অ্যান্টিসেপটিক উপাদান। একটি বোতলে সমপরিমাণে গ্লিসারিন ও গোলাপজল মিশিয়ে রেখে দিন। রোজ রাতে ঘুমানোর আগে পায়ে ম্যাসাজ করুন।

ভিটামিন ই তেল
২০০ মিলিগ্রামের একটি ভিটামিন ই ক্যাপসুল মাঝখান থেকে কাটুন। এবার এর মধ্য থেকে তেল বের করে পায়ে মাখুন। দুই পায়ের জন্য দুটি ক্যাপসুল ব্যবহার করুন।

নারিকেল তেল ও হলুদ
নারিকেল তেল ও হলুদের মিশ্রণ পা ফাটা কমাতে চমৎকার ঘরোয়া উপায়। এক চা চামচ হলুদ দেড় টেবিল চামচ নারিকেল তেলের মধ্যে মেশান। রাতে ঘুমানোর আগে মিশ্রণটি পায়ে মাখুন। নারিকেল তেলের মধ্যে রয়েছে ব্যাকটেরিয়ারোধী ও নিরাময়কারী উপাদান। অপরদিকে হলুদের মধ্যে রয়েছে প্রদাহরোধী ও ব্যাকটেরিয়ারোধী উপাদান। তবে মিশ্রণটি মেখে মোজা পরতে ভুলবেন না। না হলে পায়ে হলুদের দাগ থেকে যেতে পারে।

পেট্রোলিয়াম জেলি: রাতে শুতে যাওয়ার আগে গরম জলভরা পাত্রে আধ ঘণ্টা পা ডুবিয়ে রাখুন৷ তারপর ঝামা দিয়ে পা ঘষে তুলে ফেলুন যাবতীয় মৃত কোষ৷ পা শুকনো হতে দিন স্বাভাবিকভাবে, ঘষে ঘষে মুছবেন না৷ এবার পেট্রোলিয়াম জেলির মোটা পরত লাগিয়ে একটু পুরনো ও আলগা হয়ে যাওয়া মোজা পরে নিন পায়ে৷ এটা পুরো শীতকাল চালিয়ে যেতে পারলে খুব ভালো ফল পাবেন৷

কলা আর অ্যাভোকাডো: একটা কলা আর অ্যাভোকাডোর শাঁস ম্যাশ করে নিন কাঁটাচামচ দিয়ে৷ গরমজলে পা ভিজিয়ে রাখুন প্রথমে, তার পর স্ক্রাব করে পরিষ্কার করে নিন৷ এর পর ঠান্ডা জলের গামলায় পা ডুবিয়ে রাখুন কিছুক্ষণের জন্য৷ পা তুলে তোয়ালে দিয়ে হালকা করে মুছে নিন৷ আর্দ্র পায়ে এই প্যাক লাগিয়ে 10 মিনিট অপেক্ষা করুন৷ তার পর পরিষ্কার কাপড় দিয়ে মুছে নিন৷
দুধ আর ওটমিল পাউডারের মাস্ক: 2-3 টেবিলচামচ ওটমিল গুঁড়ো করে নিন ব্লেন্ডারে৷ তার পর ঠান্ডা দুধের সঙ্গে এই গুঁড়ো মিশিয়ে একটা ঘন প্যাক তৈরি করুন৷ ফাটা গোড়ালিতে লাগিয়ে আধ ঘণ্টা রাখুন৷ ধুয়ে পেট্রোলিয়াম জেলি লাগিয়ে নিন৷ সপ্তাহে একবার এই প্যাক লাগান৷ দুধের প্রাকৃতিক ময়েশ্চরাইজ়ার পা আর্দ্র রাখে, ওটমিল মৃত কোষ থেকে মুক্তি দেয়৷
লেবু, ডিমের কুসুম আর চালের গুঁড়োর প্যাক: এক চাচামচ চালের গুঁড়ো, এক টেবিলচামচ লেবুর রস আর একটা ডিমের কুসুম একসঙ্গে মিশিয়ে নিন৷ প্যাকটা পায়ে লাগিয়ে 20 মিনিট রাখুন৷ তার পর ঠান্ডা জলে ধুয়ে ফেলুন৷ প্রতিদিন করলে ভালো ফল পাবেন৷

Tag :
জনপ্রিয়

এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ নিশ্চিত করল টাইগাররা

পা ফাটা ঠেকাতে ঘরোয়া সমাধান

Update Time : ০৬:৫৬:০৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ নভেম্বর ২০২১

শীত আসলেই অনেকের পায়ের গোড়ালি ফাটে যায়। শীতে পায়ের নিচের ত্বক অন্য সময়ের চেয়ে বেশি শুষ্ক থাকে। যার ফলে সৌন্দর্যও নষ্ট হয় পাশাপাশি পায়ে ব্যথা হয়। তাই এ সময়ে পায়ের নিচের অংশে নিতে হয় বাড়তি যত্ন।

অনেক বেশি হাঁটাচলা, দিনের দীর্ঘসময় দাঁড়িয়ে কাজ করা, ডিহাইড্রেশন ইত্যাদির কারণেও সারাবছর পা ফাটতে পারে। দীর্ঘদিনের পা ফাট‍া সমস্যা দূর করতে ছোট ছোট কিছু ব্যাপার লক্ষ্য রাখা জরুরি।

পা ফাটা রোধ করতে-
•    যদি খোলা স্যান্ডেল বা জুতো পরার অভ্যাস থাকে, তাহলে ১০ দিনে অন্তত একবার পেডিকিওর করা উচিত।
•    যাদের সবসময়ই পা ফাটে তারা কখনওই পা শুষ্ক রাখবেন না। প্রতিবার ভেজানোর পর ভালোভাবে মুছে পায়ের গোড়ালি ও পুরো পাতায় ভেসলিন লাগান।
•    প্রতিদিন স্নানের সময় পিউমিক স্টোন ও ব্রাশ দিয়ে পায়ের গোড়ালি, নখ ও আঙুলের ডগা পরিষ্কার করুন। কারণ মরা কোষ জমে জমে পুরু স্তর তৈরি হয়, যার কারণে গোড়ালি শক্ত হয়ে যায় এবং পা ফাটে।
•    প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন। পানি বা পানিজাতীয় খাবার কম খেলে ত্বকের শুষ্কতা, ঠোঁট বা পা ফাটার মতো সমস্যা দেখা দেয়। দৈনন্দিন পানি পানের পরিমাণ ব্যক্তিভেদে আলাদা। আপনার শরীরের জন্য রোজ ঠিক কতটা পানি খাবেন তা সুযোগমতো ডাক্তারের কাছ থেকে জেনে নিন।

তাহলে জেনে নেওয়া যাক পায়ের ফাটা দূর করার ঘরোয়া উপায়-

শুষ্ক মৌসুম আর আর্দ্রতার ঘাটতিতে এ সমস্যা হয়। পা ফাটলে পায়ের গোড়ালিতে যন্ত্রণা হতে থাকে। পায়ের গোড়ালি ফেটে গেলে তা সারাতে ঘরোয়া কিছু সমাধান নিজেই করতে পারেন। পা ফাটা সারানোর উপায়গুলো জেনে নিন:

মোমবাতির মোম: মোমবাতির মোমের সঙ্গে সরিষার তেল মিশিয়ে তা ফাটা স্থানে লাগিয়ে সারা রাত রেখে দিন। এতে পা ফাটা সেরে যাবে।

গ্লিসারিন ও গোলাপজল: গোলাপজলের সঙ্গে কিছুটা গ্লিসারিন মিশান। এই মিশ্রণ পায়ের গোড়ালিতে লাগিয়ে সারা রাত রেখে দিন। এতে পা ফাটা ও ব্যথা কমবে।

তিলের তেল: পা ফাটা সমস্যা সমাধানে তিলের তেল দারুণ কার্যকর। পায়ে তিলের তেল মাখলে পা ফাটা দূর হয়।

ভ্যাসলিন ও লেবুর রস: ভ্যাসলিনের সঙ্গে কয়েক ফোঁটা লেবুর রস মিশিয়ে তা ফাটা স্থানে মালিশ করুন। এতে ওই মিশ্রণ সেখানে শোষণ হয় বলে পা ফাটা দ্রুত সেরে যায়।

মধু-পানি: এক কাপ মধু আধা বালতি গরম পানিতে মিশিয়ে এতে ১৫ থেকে ২০ মিনিট পা ভিজিয়ে রাখুন। এতে পা ফাটা দূর হবে।

ঘরোয়া সমাধান

ভেজিটেবল অয়েল – অলিভ অয়েল, তিলের তেল, নারকেল তেল, সরষের তেল ও বাদাম তেল পা ফাটার সবচেয়ে সহজ সমাধান। ভালো ফলাফল পেতে রাতে ঘুমানোর আগে পা পরিষ্কার করে যেকোনো ভেজিটেবল অয়েল ম্যাসাজ করে ঘুমান।

চালের গুঁড়া – আধকাপ চালের গুঁড়া, এক চা-চামচ মধু ও এক চা-চামচ আপেল সাইডার ভিনেগার একসঙ্গে মিশিয়ে পায়ে ম্যাসাজ করুন। খুব বেশি ফাটা হলে কয়েক ফোঁটা নারকেল তেল মেশাতে পারেন।

লেবু – খানিকটা গরম জলে লেবুর রস দিয়ে ৮-১০ মিনিট পা ভিজিয়ে রাখুন। পিউমিক স্টোন দিয়ে ঘষে ধুয়ে ফেলুন।

গোলাপজল ও গ্লিসারিন – পা ফাটা রোধে গ্লিসারিন ও গোলাপজলের মিশ্রণ খুব কার্যকর। গ্লিসারিন ত্বক নরম রাখে। অন্যদিকে গোলাপজলে রয়েছে ভিটামিন এ, বি৩, সি, ডি ও ই। আরও রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি ও অ্যান্টিসেপটিক উপাদান। একটি বোতলে সমপরিমাণে গ্লিসারিন ও গোলাপজল মিশিয়ে রেখে দিন। রোজ রাতে ঘুমানোর আগে পায়ে ম্যাসাজ করুন।

ভিটামিন ই তেল
২০০ মিলিগ্রামের একটি ভিটামিন ই ক্যাপসুল মাঝখান থেকে কাটুন। এবার এর মধ্য থেকে তেল বের করে পায়ে মাখুন। দুই পায়ের জন্য দুটি ক্যাপসুল ব্যবহার করুন।

নারিকেল তেল ও হলুদ
নারিকেল তেল ও হলুদের মিশ্রণ পা ফাটা কমাতে চমৎকার ঘরোয়া উপায়। এক চা চামচ হলুদ দেড় টেবিল চামচ নারিকেল তেলের মধ্যে মেশান। রাতে ঘুমানোর আগে মিশ্রণটি পায়ে মাখুন। নারিকেল তেলের মধ্যে রয়েছে ব্যাকটেরিয়ারোধী ও নিরাময়কারী উপাদান। অপরদিকে হলুদের মধ্যে রয়েছে প্রদাহরোধী ও ব্যাকটেরিয়ারোধী উপাদান। তবে মিশ্রণটি মেখে মোজা পরতে ভুলবেন না। না হলে পায়ে হলুদের দাগ থেকে যেতে পারে।

পেট্রোলিয়াম জেলি: রাতে শুতে যাওয়ার আগে গরম জলভরা পাত্রে আধ ঘণ্টা পা ডুবিয়ে রাখুন৷ তারপর ঝামা দিয়ে পা ঘষে তুলে ফেলুন যাবতীয় মৃত কোষ৷ পা শুকনো হতে দিন স্বাভাবিকভাবে, ঘষে ঘষে মুছবেন না৷ এবার পেট্রোলিয়াম জেলির মোটা পরত লাগিয়ে একটু পুরনো ও আলগা হয়ে যাওয়া মোজা পরে নিন পায়ে৷ এটা পুরো শীতকাল চালিয়ে যেতে পারলে খুব ভালো ফল পাবেন৷

কলা আর অ্যাভোকাডো: একটা কলা আর অ্যাভোকাডোর শাঁস ম্যাশ করে নিন কাঁটাচামচ দিয়ে৷ গরমজলে পা ভিজিয়ে রাখুন প্রথমে, তার পর স্ক্রাব করে পরিষ্কার করে নিন৷ এর পর ঠান্ডা জলের গামলায় পা ডুবিয়ে রাখুন কিছুক্ষণের জন্য৷ পা তুলে তোয়ালে দিয়ে হালকা করে মুছে নিন৷ আর্দ্র পায়ে এই প্যাক লাগিয়ে 10 মিনিট অপেক্ষা করুন৷ তার পর পরিষ্কার কাপড় দিয়ে মুছে নিন৷
দুধ আর ওটমিল পাউডারের মাস্ক: 2-3 টেবিলচামচ ওটমিল গুঁড়ো করে নিন ব্লেন্ডারে৷ তার পর ঠান্ডা দুধের সঙ্গে এই গুঁড়ো মিশিয়ে একটা ঘন প্যাক তৈরি করুন৷ ফাটা গোড়ালিতে লাগিয়ে আধ ঘণ্টা রাখুন৷ ধুয়ে পেট্রোলিয়াম জেলি লাগিয়ে নিন৷ সপ্তাহে একবার এই প্যাক লাগান৷ দুধের প্রাকৃতিক ময়েশ্চরাইজ়ার পা আর্দ্র রাখে, ওটমিল মৃত কোষ থেকে মুক্তি দেয়৷
লেবু, ডিমের কুসুম আর চালের গুঁড়োর প্যাক: এক চাচামচ চালের গুঁড়ো, এক টেবিলচামচ লেবুর রস আর একটা ডিমের কুসুম একসঙ্গে মিশিয়ে নিন৷ প্যাকটা পায়ে লাগিয়ে 20 মিনিট রাখুন৷ তার পর ঠান্ডা জলে ধুয়ে ফেলুন৷ প্রতিদিন করলে ভালো ফল পাবেন৷