ঢাকা ০৯:৪৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৭ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ফরিদপুরে সালথায় লকডাউনকে কেন্দ্র করে এলাকাবাসী-পুলিশ সংঘর্ষ , থানা ঘেরাও

ফরিদপুরের সালথায় লকডাউনের সময় দায়িত্ব পালনকালে ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশের সাথে এলাকাবাসীর সঙ্গে দফায় দফায় সংঘর্ষ। এসময় সালথা থানা, উপজেলা ইউএনও কার্যালয় ঘেরাও করে রেখেছে এলাকাবাসী। এসময় সরকারি গাড়িতে আগুন ও অন্যান্য সম্পত্তি ভাঙচুর করা হয়। 

ফরিদপুরের সালথা উপজেলায় সহকারী কমিশনার (ভূমি) এর সঙ্গে থাকা এক সরকারি কর্মচারীর লাঠিপেটায় এক ব্যক্তির গুরুতর আহত হওয়াকে কেন্দ্র করে তুলকালাম কাণ্ড ঘটে গেছে।

এ রিপোর্ট লেখার সময় সোমবার (৫ এপ্রিল) রাত ১১টা উত্তেজিত জনতা ঘটনার জন্য দায়ীদের শাস্তির দাবিতে উপজেলা পরিষদ ও থানা ঘেরাও করে রেখেছে। এছাড়া সহকারী কমিশনার (ভূমি) এর কার্যালয়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে।

জানা গেছে, আজ সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে সালথা উপজেলার সোনাপুর ইউনিয়নের ফুকরা বাজারে চা খেয়ে ওই ইউনিয়নের নটাখোলা গ্রামের মৃত মোসলেম মোল্লা ছেলে মো. জাকির হোসেন মোল্লা বাড়ি ফিরছিলেন। এসময় সেখানে লকডাউনের কার্যকারিতা পরিদর্শনে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মারুফা সুলতানা খান হীরামনি উপস্থিত হন।

জাকির হোসেন অভিযোগ করেন, কিছু বুঝে উঠার আগেই এসিল্যান্ডের গাড়ি থেকে নেমে এক ব্যক্তি তাঁর কোমড়ে সজোরে লাঠি দিয়ে বাড়ি দেন। এতে তাঁর কোমড় ভেঙে যায়। আহত জাকির হোসেনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

এদিকে, জাকির হোসেনকে আহত করার খবরে সেখানে উপস্থিত জনতা উত্তেজিত হয়ে উঠে। কিছুক্ষণের মধ্যে সেখানে আরো গ্রামবাসী জড়ো হয়। এরপর সেখানে সালথা থানার এস আই মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে একদল পুলিশ পৌঁছালে উত্তেজিত জনতা পুলিশের ওপরে হামলা করে। এতে এস আই মিজানুর রহমানের মাথা ফেটে যায়। এরপর বিক্ষুব্ধ জনতা সালথা থানা অভিমুখে রওনা হয়ে থানা ঘেরাও করে।

সালথা থানার ওসি আশিকুজ্জামান বলেন, এসিল্যান্ড মারুফা সুলতানা হীরামনির কাছ থেকে খবর পেয়ে ফুকরা বাজারে পুলিশ পৌঁছালে সেখানে পুলিশের ওপরে হামলা হয়। হামলায় এস আই মিজানুর রহমানের মাথা ফেটে যায়। তিনি জানান, পুলিশের পক্ষ থেকে উত্তেজিত জনতাকে শান্ত হতে অনুরোধ জানাচ্ছি।

এ ব্যাপারে সহকারী কমিশনার (ভূমি) মারুফা সুলতানা খান হীরামনির বক্তব্য জানার জন্য তাঁর মোবাইলে ফোন দিয়েও তার সাথে যোগাযোগ করা যায়নি।

Tag :

ফরিদপুরে সালথায় লকডাউনকে কেন্দ্র করে এলাকাবাসী-পুলিশ সংঘর্ষ , থানা ঘেরাও

Update Time : ০৫:২৩:৩৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ৫ এপ্রিল ২০২১

ফরিদপুরের সালথায় লকডাউনের সময় দায়িত্ব পালনকালে ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশের সাথে এলাকাবাসীর সঙ্গে দফায় দফায় সংঘর্ষ। এসময় সালথা থানা, উপজেলা ইউএনও কার্যালয় ঘেরাও করে রেখেছে এলাকাবাসী। এসময় সরকারি গাড়িতে আগুন ও অন্যান্য সম্পত্তি ভাঙচুর করা হয়। 

ফরিদপুরের সালথা উপজেলায় সহকারী কমিশনার (ভূমি) এর সঙ্গে থাকা এক সরকারি কর্মচারীর লাঠিপেটায় এক ব্যক্তির গুরুতর আহত হওয়াকে কেন্দ্র করে তুলকালাম কাণ্ড ঘটে গেছে।

এ রিপোর্ট লেখার সময় সোমবার (৫ এপ্রিল) রাত ১১টা উত্তেজিত জনতা ঘটনার জন্য দায়ীদের শাস্তির দাবিতে উপজেলা পরিষদ ও থানা ঘেরাও করে রেখেছে। এছাড়া সহকারী কমিশনার (ভূমি) এর কার্যালয়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে।

জানা গেছে, আজ সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে সালথা উপজেলার সোনাপুর ইউনিয়নের ফুকরা বাজারে চা খেয়ে ওই ইউনিয়নের নটাখোলা গ্রামের মৃত মোসলেম মোল্লা ছেলে মো. জাকির হোসেন মোল্লা বাড়ি ফিরছিলেন। এসময় সেখানে লকডাউনের কার্যকারিতা পরিদর্শনে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মারুফা সুলতানা খান হীরামনি উপস্থিত হন।

জাকির হোসেন অভিযোগ করেন, কিছু বুঝে উঠার আগেই এসিল্যান্ডের গাড়ি থেকে নেমে এক ব্যক্তি তাঁর কোমড়ে সজোরে লাঠি দিয়ে বাড়ি দেন। এতে তাঁর কোমড় ভেঙে যায়। আহত জাকির হোসেনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

এদিকে, জাকির হোসেনকে আহত করার খবরে সেখানে উপস্থিত জনতা উত্তেজিত হয়ে উঠে। কিছুক্ষণের মধ্যে সেখানে আরো গ্রামবাসী জড়ো হয়। এরপর সেখানে সালথা থানার এস আই মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে একদল পুলিশ পৌঁছালে উত্তেজিত জনতা পুলিশের ওপরে হামলা করে। এতে এস আই মিজানুর রহমানের মাথা ফেটে যায়। এরপর বিক্ষুব্ধ জনতা সালথা থানা অভিমুখে রওনা হয়ে থানা ঘেরাও করে।

সালথা থানার ওসি আশিকুজ্জামান বলেন, এসিল্যান্ড মারুফা সুলতানা হীরামনির কাছ থেকে খবর পেয়ে ফুকরা বাজারে পুলিশ পৌঁছালে সেখানে পুলিশের ওপরে হামলা হয়। হামলায় এস আই মিজানুর রহমানের মাথা ফেটে যায়। তিনি জানান, পুলিশের পক্ষ থেকে উত্তেজিত জনতাকে শান্ত হতে অনুরোধ জানাচ্ছি।

এ ব্যাপারে সহকারী কমিশনার (ভূমি) মারুফা সুলতানা খান হীরামনির বক্তব্য জানার জন্য তাঁর মোবাইলে ফোন দিয়েও তার সাথে যোগাযোগ করা যায়নি।