ঢাকা ১২:০৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৬ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ফরিদপুরে সেনাবাহিনীর সহয়তায় পুর্ণমনবল নিয়ে কোতয়ালী পুলিশের কার্যক্রম শুরু

মাহবুব পিয়াল, ফরিদপুর প্রতিনিধিঃ ফরিদপুর কোতয়ালী থানার ধ্বংসাবশেষ পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করে শনিবার থেকে  থানা পুলিশের কার্যত্রম শুরু করার ঘোষনা দেন পুলিশ সুপার মোহম্মদ মোরশেদ আলম।

শনিবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে জেলায় দায়িত্ব থাকা সেনা বাহীনির অফিসার লেফটেনেন্ট কর্ণেল নাহিদ সরোয়ার ও পুলিশ সুপার মোহম্মদ মোর্শেদ আলম থানা পরিদর্শন করে ও পুলিশ সদস্যগণকে সহযোগীতার আশ্বাস দেন।

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও সরকার পতন ঘিরে চলমান পরিস্থিতিতে জেলার সরদপুর, মধুখালী ও কোতয়ালী থানায় বিক্ষোভকারীরা ব্যাপক ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ করে। এতে থানার প্রতিটি কক্ষ, পুলিশের গাড়ি, মামলার নথিপত্র আগুনে পুড়ে ভষ্মীভুত হয়।

জেলায় সেনাবাহীনির দায়িত্ব থাকা লেফটেনেন্ট কর্ণেল নাহিদ সরোয়ার জানান, পুলিশের স্বাভাবিক কার্র্যক্রম নিশ্চিত করতে সকল থানায় পুলিশ যোগ দিয়েছে। দেশের শান্তি শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে এখন থেকে তারা পুলিশ সদস্যদের পাশে থাকবেন ও সহযোগীতা করবেন।

পুলিশ সুপার মোহম্মদ মোর্শেদ আলম বলেন, জেলার মোট ৯টি থানার মধ্যে সবগুলো থানায়  পুলিশ সদস্যরা যোগদান করে স্বাভাবিক কার্র্যক্রম শুরু করেছে। শুধু কোতয়ালী থানায় বেশি ক্ষতি হওয়ায় সেগুলো গুছিয়ে উঠিয়ে শনিবার থেকে এই থানার কার্র্যক্রমও শুরু করা হলো। দ্রুত সময়ে পুর্র্নমনবল নিয়ে পুলিশী পোশাকে আইনগত সকল কাজ শুরু করে মানুষের সেবা দিবে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পুলিশের লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধারে মাইকিং করে জমা দেওয়ার জন্য ঘোষনা করা হবে। তার পর থেকে অভিযান কর পরিচলনা করে উদ্ধার অভিযানসহ সকল ধরণের আইনগত কাজ শুরু করা হবে।

Tag :

ফরিদপুরে সেনাবাহিনীর সহয়তায় পুর্ণমনবল নিয়ে কোতয়ালী পুলিশের কার্যক্রম শুরু

Update Time : ০২:২৪:৪৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১০ অগাস্ট ২০২৪

মাহবুব পিয়াল, ফরিদপুর প্রতিনিধিঃ ফরিদপুর কোতয়ালী থানার ধ্বংসাবশেষ পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করে শনিবার থেকে  থানা পুলিশের কার্যত্রম শুরু করার ঘোষনা দেন পুলিশ সুপার মোহম্মদ মোরশেদ আলম।

শনিবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে জেলায় দায়িত্ব থাকা সেনা বাহীনির অফিসার লেফটেনেন্ট কর্ণেল নাহিদ সরোয়ার ও পুলিশ সুপার মোহম্মদ মোর্শেদ আলম থানা পরিদর্শন করে ও পুলিশ সদস্যগণকে সহযোগীতার আশ্বাস দেন।

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও সরকার পতন ঘিরে চলমান পরিস্থিতিতে জেলার সরদপুর, মধুখালী ও কোতয়ালী থানায় বিক্ষোভকারীরা ব্যাপক ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ করে। এতে থানার প্রতিটি কক্ষ, পুলিশের গাড়ি, মামলার নথিপত্র আগুনে পুড়ে ভষ্মীভুত হয়।

জেলায় সেনাবাহীনির দায়িত্ব থাকা লেফটেনেন্ট কর্ণেল নাহিদ সরোয়ার জানান, পুলিশের স্বাভাবিক কার্র্যক্রম নিশ্চিত করতে সকল থানায় পুলিশ যোগ দিয়েছে। দেশের শান্তি শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে এখন থেকে তারা পুলিশ সদস্যদের পাশে থাকবেন ও সহযোগীতা করবেন।

পুলিশ সুপার মোহম্মদ মোর্শেদ আলম বলেন, জেলার মোট ৯টি থানার মধ্যে সবগুলো থানায়  পুলিশ সদস্যরা যোগদান করে স্বাভাবিক কার্র্যক্রম শুরু করেছে। শুধু কোতয়ালী থানায় বেশি ক্ষতি হওয়ায় সেগুলো গুছিয়ে উঠিয়ে শনিবার থেকে এই থানার কার্র্যক্রমও শুরু করা হলো। দ্রুত সময়ে পুর্র্নমনবল নিয়ে পুলিশী পোশাকে আইনগত সকল কাজ শুরু করে মানুষের সেবা দিবে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পুলিশের লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধারে মাইকিং করে জমা দেওয়ার জন্য ঘোষনা করা হবে। তার পর থেকে অভিযান কর পরিচলনা করে উদ্ধার অভিযানসহ সকল ধরণের আইনগত কাজ শুরু করা হবে।