ফরিদপুরের ভাঙ্গা থানা আক্রমণ করেছে হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীরা। এতে ছয় পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে বলে দাবি করা হয়। শনিবার (২৭ মার্চ) দুপুরে ২টার দিকে আশপাশের বিভিন্ন মসজিদ থেকে এসে ওই হামলা চালায়। অন্যদিকে ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ ২ জনকে আটক করেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে ৪ মুসল্লি নিহতের ঘটনায় হেফাজত ইসলামের কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলা ঈদগাহ মসজিদ প্রাঙ্গণ থেকে দুপুর ৩টার দিকে বিক্ষোভ মিছিল বের করে হেফাজত সমর্থকরা।
মিছিলটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় ঈদগাহ মসজিদ প্রাঙ্গণে পৌঁছালে পেছন থেকে ওসমান ব্যাপারী নামে এক মুসল্লিকে পুলিশ আটক করে বলে দাবি হেফাজতিদের।
আটক ওই মুসল্লিকে ছাড়াতে গিয়ে পুলিশের সঙ্গে মুসল্লিদের ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়। এ সময় তারা থানায় হামলা চালায়। ইট-পাটকেল নিক্ষেপ শুরু করে। এ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ টিয়ার সেল নিক্ষেপ করে পুলিশ।
হামলার বিষয়ে ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জামাল পাশা জানান, নামাজ শেষে শনিবার (২৭ মার্চ) দুপুরে বিভিন্ন মসজিদ থেকে হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীরা এসে থানায় আক্রমণ করে। এর পরে পুলিশ ৪০ থেকে ৪৫ রাবার বুলেট ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সময় পুলিশের ৬ জন সদস্য আহত হয়েছেন। ঘটনাস্থল থেকে ২ জনকে আটক করা হয়েছে।
এ ঘটনার সংবাদ পেয়ে ফরিদপুরের পুলিশ সুপার মো. আলিমুজ্জামানসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।