বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপের কারণে আজও রাজধানীসহ সারা দেশে থেমে থেমে হচ্ছে বৃষ্টি। যা অব্যাহত থাকতে পারে আগামী বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত।
মঙ্গলবার (১৩ সেপ্টেম্বর) দিনভর থেমে থেমে বৃষ্টি হয়েছে রাজধানী ঢাকায়। রাতেও ছিল বৃষ্টি। বুধবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকেই আকাশে ঘন কালো মেঘ জমে আছে, সেই সঙ্গে থেমে থেমে হচ্ছে বৃষ্টি। যা সারাদিন অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, মঙ্গলবার সকাল ছয়টা থেকে বুধবার সকাল ছয়টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকায় ৫৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। ৪৪ থেকে ৮৮ মিলিমিটার বৃষ্টি হলে সেটিকে ভারি বৃষ্টিপাত বলা হয়।
যদিও ভারতের স্থলভাগে থাকা সুস্পষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে আগেই সারাদেশে ভারি বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছিল আবহাওয়া বিভাগ।
ভারি বৃষ্টির কারণে রাজধানীর মিরপুর, যাত্রাবাড়ী, ডেমরাসহ বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। কোন কোন সড়ক তলিয়ে গেছে পানির নিচে। বৃষ্টি মুখর সকালে চরম দুর্ভোগে পড়তে হয়েছে অফিসগামী নাগরিকদের।
বুধবার সকাল ৭টা থেকে পরবর্তী ৬ ঘণ্টার জন্য ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার জন্য আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আকাশ মেঘলা থেকে মেঘাচ্ছন্ন থাকতে পারে। এ সময়ে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
আবহাওয়া অফিস বলছে, সুস্পষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে সমুদ্রবন্দরগুলো, উত্তর বঙ্গোপসাগর ও বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
পূর্ণিমা ও বায়ুচাপ পার্থক্যের আধিক্যের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলোর নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে এক থেকে দুই ফুট অধিক উচ্চতার বায়ুতাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হওয়ার শঙ্কাও রয়েছে। এ অবস্থায় উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে তাদের গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলা হয়েছে।
অন্যদিকে রংপুর, দিনাজপুর, রাজশাহী, পাবনা, বগুড়া, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, ঢাকা, ফরিদপুর, মাদারীপুর, যশোর, কুষ্টিয়া, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, কুমিল্লা, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং সিলেট অঞ্চলগুলোর ওপর দিয়ে দক্ষিণ/দক্ষিণ-পূর্বদিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি/বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে এক নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।