ঢাকা ০৯:৪৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৭ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বাবার সাথে কৃষি কাজ করে জিপিএ -৫ পেল ফরিদপুরের নগরকান্দার আহাদ

মাহবুব পিয়াল,ফরিদপুর : বাবা হত দরিদ্র কৃষক ।   অন্যের জমি চাষ করে  চলে সংসার। বাবার এই কৃষি কাজে সহযোগিতা করেন একমাত্র ছেলে আহাদ সেক।  বাবার সঙ্গে কৃষি কাজ করে সেই আহাদ শেখ  তালমা নাজিমুদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয় থেকে  এবার   এসএসসিতে জিপিএ -৫ পেয়েছে।  আহাদ  শেখ উপজেলার তালমা ইউনিয়নের পূর্ব তালমা গ্রামের  দেলোয়ার শেখের পুত্র। সে  নগরকান্দা উপজেলার সালমা নাজিমুদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এবার এসএসসিতে জিপিএ-৫ পেয়েছে।  আহাদের এই ফলাফলে  বন্ধুবান্ধব ও এলাকাবাসি আনন্দিত ।   আহাদ  হত দরিদ্র কৃষক  দেলোয়ার  শেখের  সঙ্গে কৃষি কাজ করে ।   পাশাপাশি লেখাপড়া চালিয়ে যেত।  অভাবের সংসারে কাজ করে লেখাপড়া চালিয়ে ভালো ফলাফল করায় এলাকায় আলোচনা ঝড় উঠেছে ।  ৩ ভাই বোনের মধ্যে আহাদ সকলের  ছোট।   আহাদের দুই বোন ।  ইতিমধ্যে   বড় বোনে বিবাহ হয়ে গেছে। ছোট বোন উচ্চ  মাধ্যমিকে দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র।

আহাদ শেখ ভবিষতে উচ্চ শিক্ষা লাভ করে দেশের নামকরা  প্রকৌশলী হবার স্বপ্ন দেখে ।

আহাদের বাবা দেলোয়ার  শেখ বলেন , অভাবের সংসারে আহাদ আমার সঙ্গে কৃষি কাজে সহযোগিতা করে এবং পাশাপাশি লেখাপড়া করে এত ভালো ফলাফল করবে আমি ভাবতেও পারিনি।  আমি তো গরিব মানুষ আমার তেমন  অর্থ সম্পদ নেই।  ওকে উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত করা আমার পক্ষে সম্ভব না।

বিদ্যালয় এর প্রধান শিক্ষক আসাদুজ্জামান চৌধুরী  বলেন,  আহাদ ক্লাসের মধ্যে শান্ত স্বভাবের ছেলে। লেখাপড়ায় খুব ভালো।  লেখাপড়া পাশাপাশি সে বাবার সঙ্গে কৃষিকাজে সহযোগিতা করে। মাঝে মাঝে দেখি বাজারে দুধ বিক্রি করে। তার এই সাফল্যো আমাদের  স্কুল এবং এলাকাবাসী গর্বিত।  আমরা ওর উজ্জ্বল  ভবিষ্যৎ  কামনা করছি।

Tag :

বাবার সাথে কৃষি কাজ করে জিপিএ -৫ পেল ফরিদপুরের নগরকান্দার আহাদ

Update Time : ০৫:২৩:০০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ মে ২০২৪

মাহবুব পিয়াল,ফরিদপুর : বাবা হত দরিদ্র কৃষক ।   অন্যের জমি চাষ করে  চলে সংসার। বাবার এই কৃষি কাজে সহযোগিতা করেন একমাত্র ছেলে আহাদ সেক।  বাবার সঙ্গে কৃষি কাজ করে সেই আহাদ শেখ  তালমা নাজিমুদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয় থেকে  এবার   এসএসসিতে জিপিএ -৫ পেয়েছে।  আহাদ  শেখ উপজেলার তালমা ইউনিয়নের পূর্ব তালমা গ্রামের  দেলোয়ার শেখের পুত্র। সে  নগরকান্দা উপজেলার সালমা নাজিমুদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এবার এসএসসিতে জিপিএ-৫ পেয়েছে।  আহাদের এই ফলাফলে  বন্ধুবান্ধব ও এলাকাবাসি আনন্দিত ।   আহাদ  হত দরিদ্র কৃষক  দেলোয়ার  শেখের  সঙ্গে কৃষি কাজ করে ।   পাশাপাশি লেখাপড়া চালিয়ে যেত।  অভাবের সংসারে কাজ করে লেখাপড়া চালিয়ে ভালো ফলাফল করায় এলাকায় আলোচনা ঝড় উঠেছে ।  ৩ ভাই বোনের মধ্যে আহাদ সকলের  ছোট।   আহাদের দুই বোন ।  ইতিমধ্যে   বড় বোনে বিবাহ হয়ে গেছে। ছোট বোন উচ্চ  মাধ্যমিকে দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র।

আহাদ শেখ ভবিষতে উচ্চ শিক্ষা লাভ করে দেশের নামকরা  প্রকৌশলী হবার স্বপ্ন দেখে ।

আহাদের বাবা দেলোয়ার  শেখ বলেন , অভাবের সংসারে আহাদ আমার সঙ্গে কৃষি কাজে সহযোগিতা করে এবং পাশাপাশি লেখাপড়া করে এত ভালো ফলাফল করবে আমি ভাবতেও পারিনি।  আমি তো গরিব মানুষ আমার তেমন  অর্থ সম্পদ নেই।  ওকে উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত করা আমার পক্ষে সম্ভব না।

বিদ্যালয় এর প্রধান শিক্ষক আসাদুজ্জামান চৌধুরী  বলেন,  আহাদ ক্লাসের মধ্যে শান্ত স্বভাবের ছেলে। লেখাপড়ায় খুব ভালো।  লেখাপড়া পাশাপাশি সে বাবার সঙ্গে কৃষিকাজে সহযোগিতা করে। মাঝে মাঝে দেখি বাজারে দুধ বিক্রি করে। তার এই সাফল্যো আমাদের  স্কুল এবং এলাকাবাসী গর্বিত।  আমরা ওর উজ্জ্বল  ভবিষ্যৎ  কামনা করছি।