ঢাকা ০১:০৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই ২০২৫, ১৫ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম

বৃহস্পতিবার সাড়ে ৫ কিমি দৃশ্যমান হবে পদ্মাসেতু, বসবে ৩৭তম স্প্যান

আবহাওয়া অনুকূল ও কারিগর জটিলতা দেখা না দিলে পদ্মাসেতুর ৩৭তম স্প্যান বসতে পারে বৃহস্পতিবার (১২ নভেম্বর)। মুন্সিগঞ্জের মাওয়া প্রান্তের ৯ ও ১০ নম্বর পিলারের ওপর ‘২-সি’ স্প্যানটি বসানো হবে

স্প্যানটি সফলভাবে বসানোর জন্য সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে দেশি-বিদেশি প্রকৌশলীরা। স্প্যানটি বসানো হলে বাকি থাকবে আর চারটি। ৩৬তম স্প্যান বসানোর ছয় দিনের মাথায় বসতে যাচ্ছে এটি। তবে প্রাকৃতিক কারণ ও কারিগরি জটিলতা বাধা হয়ে দাঁড়ালে শুক্রবার (১৩ নভেম্বর) পর্যন্ত মোট দুইদিন সময় লাগতে পারে।
সূত্র জানায়, ৩৭তম স্প্যান ‘২-সি’ মুন্সিগঞ্জের লৌহজং উপজেলার মাওয়া কন্সট্রাকশন ইয়ার্ডে প্রস্তুত আছে। বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় অনুকূল ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের স্প্যানটিকে বহন করবে ৩ হাজার ৬০০ টন ধারণ ক্ষমতার ভাসমান ক্রেন ‘তিয়ান-ই’। এরপর সেখান থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরত্ব অতিক্রম করে নির্ধারিত পিলারের কাছে যাবে। পথিমধ্যে কোনো বাধা না দেখা দিলে সময় লাগবে ৩০-৪০ মিনিট। এরপর স্প্যানবহনকারী ভাসমান ক্রেনটিকে নোঙর করার কাজ চলবে। এরপর সুবিধাজনক পজিশন করে পিলারের উচ্চতায় তোলা হবে স্প্যানটিকে। রাখা হবে পিলারের বেয়ারিংয়ের উপর যাতে দৃশ্যমান হবে সেতুর পাঁচ হাজার ৫৫০ মিটার। সবকিছু অনুকূলে থাকলে দুপুর ২টার মধ্যেই এসব কাজ শেষ হওয়ার কথা আছে। এই স্প্যানটি বসানো গেলে চলতি মাসে বাকি থাকবে আর দুইটি। গেল মাসেও চারটি স্প্যান বসানো হয় সেতুতে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, বর্তমানে দুইটি স্প্যানের রঙ বাকি আছে। এছাড়া বাকি স্প্যানগুলোর শতভাগ কাজ সম্পন্ন আছে। পদ্মাসেতু নির্মাণে প্রয়োজন হবে ২ হাজার ৯১৭টি রোডওয়ে স্ল্যাব। এছাড়া দুই হাজার ৯৫৯টি রেলওয়ে স্ল্যাব বসানো হবে। মাওয়া ও জাজিরা প্রান্তের বসানো স্প্যানগুলোতে এসব স্ল্যাব বসানোর কাজ চলমান আছে। ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে সেতুর নির্মাণকাজ শুরু হয়। ২০১৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর ৩৭ ও ৩৮ নম্বর খুঁটিতে প্রথম স্প্যান বসানো হয়েছিল। চলতি বছরের ১০ ডিসেম্বরের মধ্যেই স্প্যান বসানোর কার্যক্রম সম্পন্ন করার কথা জানিয়েছে সেতু কর্তৃপক্ষ।
মূল সেতু নির্মাণের জন্য কাজ করছে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি (এমবিইসি) ও নদীশাসনের কাজ করছে দেশটির আরেকটি প্রতিষ্ঠান সিনো হাইড্রো করপোরেশন। ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এই বহুমুখী সেতুর মূল আকৃতি হবে দোতলা। কংক্রিট ও স্টিল দিয়ে নির্মিত হচ্ছে পদ্মাসেতুর কাঠামো। সেতুর ওপরের অংশে যানবাহন ও নিচ দিয়ে চলবে ট্রেন।
বুধবার (১১ নভেম্বর) বিকেল সাড়ে ৫টায় পদ্মাসেতুর প্রকৌশল সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
ছবি : সংগৃহীত
Tag :
জনপ্রিয়

বড় ধরনের সাইবার হামলার আশঙ্কায় সতর্কতা জারি

বৃহস্পতিবার সাড়ে ৫ কিমি দৃশ্যমান হবে পদ্মাসেতু, বসবে ৩৭তম স্প্যান

Update Time : ০৬:৫২:৩৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১১ নভেম্বর ২০২০

আবহাওয়া অনুকূল ও কারিগর জটিলতা দেখা না দিলে পদ্মাসেতুর ৩৭তম স্প্যান বসতে পারে বৃহস্পতিবার (১২ নভেম্বর)। মুন্সিগঞ্জের মাওয়া প্রান্তের ৯ ও ১০ নম্বর পিলারের ওপর ‘২-সি’ স্প্যানটি বসানো হবে

স্প্যানটি সফলভাবে বসানোর জন্য সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে দেশি-বিদেশি প্রকৌশলীরা। স্প্যানটি বসানো হলে বাকি থাকবে আর চারটি। ৩৬তম স্প্যান বসানোর ছয় দিনের মাথায় বসতে যাচ্ছে এটি। তবে প্রাকৃতিক কারণ ও কারিগরি জটিলতা বাধা হয়ে দাঁড়ালে শুক্রবার (১৩ নভেম্বর) পর্যন্ত মোট দুইদিন সময় লাগতে পারে।
সূত্র জানায়, ৩৭তম স্প্যান ‘২-সি’ মুন্সিগঞ্জের লৌহজং উপজেলার মাওয়া কন্সট্রাকশন ইয়ার্ডে প্রস্তুত আছে। বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় অনুকূল ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের স্প্যানটিকে বহন করবে ৩ হাজার ৬০০ টন ধারণ ক্ষমতার ভাসমান ক্রেন ‘তিয়ান-ই’। এরপর সেখান থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরত্ব অতিক্রম করে নির্ধারিত পিলারের কাছে যাবে। পথিমধ্যে কোনো বাধা না দেখা দিলে সময় লাগবে ৩০-৪০ মিনিট। এরপর স্প্যানবহনকারী ভাসমান ক্রেনটিকে নোঙর করার কাজ চলবে। এরপর সুবিধাজনক পজিশন করে পিলারের উচ্চতায় তোলা হবে স্প্যানটিকে। রাখা হবে পিলারের বেয়ারিংয়ের উপর যাতে দৃশ্যমান হবে সেতুর পাঁচ হাজার ৫৫০ মিটার। সবকিছু অনুকূলে থাকলে দুপুর ২টার মধ্যেই এসব কাজ শেষ হওয়ার কথা আছে। এই স্প্যানটি বসানো গেলে চলতি মাসে বাকি থাকবে আর দুইটি। গেল মাসেও চারটি স্প্যান বসানো হয় সেতুতে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, বর্তমানে দুইটি স্প্যানের রঙ বাকি আছে। এছাড়া বাকি স্প্যানগুলোর শতভাগ কাজ সম্পন্ন আছে। পদ্মাসেতু নির্মাণে প্রয়োজন হবে ২ হাজার ৯১৭টি রোডওয়ে স্ল্যাব। এছাড়া দুই হাজার ৯৫৯টি রেলওয়ে স্ল্যাব বসানো হবে। মাওয়া ও জাজিরা প্রান্তের বসানো স্প্যানগুলোতে এসব স্ল্যাব বসানোর কাজ চলমান আছে। ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে সেতুর নির্মাণকাজ শুরু হয়। ২০১৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর ৩৭ ও ৩৮ নম্বর খুঁটিতে প্রথম স্প্যান বসানো হয়েছিল। চলতি বছরের ১০ ডিসেম্বরের মধ্যেই স্প্যান বসানোর কার্যক্রম সম্পন্ন করার কথা জানিয়েছে সেতু কর্তৃপক্ষ।
মূল সেতু নির্মাণের জন্য কাজ করছে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি (এমবিইসি) ও নদীশাসনের কাজ করছে দেশটির আরেকটি প্রতিষ্ঠান সিনো হাইড্রো করপোরেশন। ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এই বহুমুখী সেতুর মূল আকৃতি হবে দোতলা। কংক্রিট ও স্টিল দিয়ে নির্মিত হচ্ছে পদ্মাসেতুর কাঠামো। সেতুর ওপরের অংশে যানবাহন ও নিচ দিয়ে চলবে ট্রেন।
বুধবার (১১ নভেম্বর) বিকেল সাড়ে ৫টায় পদ্মাসেতুর প্রকৌশল সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
ছবি : সংগৃহীত