বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহরের তালিকার র্শীষে অবস্থান করছে রাজধানী ঢাকা। আবহাওয়ার পরিবর্তনসহ মানবসৃষ্ট নানা কারণে দিন দিন যেন ঢাকায় নির্মল বাতাস পাওয়া কঠিন হয়ে পড়ছে।
ছুটির দিন শুক্রবার (৩ মার্চ) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) স্কোর ২২১ রেকর্ড করা হয়েছে। যার অর্থ হলো জনবহুল এ শহরের বাতাসের মান ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ পর্যায়ে রয়েছে।
সুইজারল্যান্ডের বায়ুদূষণ পর্যবেক্ষক সংস্থা একিউএয়ারের তথ্য বলছে, জানুয়ারি মাসে একদিনের জন্যও অস্বাস্থ্যকর অবস্থা থেকে নামেনি ঢাকার বায়ু। বরং বেশ কয়েকদিনই ঢাকার বায়ুমান ছিল চরম অস্বাস্থ্যকর পর্যায়ে। এর ধারাবাহিকতা চলছে ফেব্রুয়ারিতেও।
১৫০ থেকে ২০০ এর মধ্যে একিউআই স্কোর ‘অস্বাস্থ্যকর’ বলা হয়। ২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে একিউআই স্কোর ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’ বলা হয়, যেখানে ৩০১ থেকে ৪০০ এর স্কোর ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ বলে বিবেচিত হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
একিউএয়ারের তথ্য বলছে, ২০৭ একিউআই স্কোর নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে অবস্থান করছে ভিয়েতনামের রাজধানী হ্যানয়, ১৯৮ স্কোর নিয়ে তৃতীয় থাইল্যান্ডের চিয়াংমাই। ১৯৬ স্কোর নিয়ে চতুর্থ মিয়ানমারের ইয়াঙ্গুন এবং পঞ্চম স্থানে থাকা পশ্চিমবঙ্গের কলকাতার স্কোর ১৮৮।
মেগাসিটি ঢাকা দীর্ঘদিন ধরে ভুগছে বায়ুদূষণে। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়।
২০১৯ সালের মার্চ মাসে পরিবেশ অধিদফতর ও বিশ্বব্যাংকের এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ঢাকার বায়ুদূষণের তিনটি প্রধান উৎস হলো: ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলা।
বর্তমানে শীত আসার সঙ্গে সঙ্গে নির্মাণকাজ, রাস্তার ধুলা ও অন্যান্য উৎস থেকে দূষিত কণার ব্যাপক নিঃসরণের কারণে ঢাকা শহরের বাতাসের গুণমান দ্রুত খারাপ হতে শুরু করে।