আলোচিত বিশ্বজিত হত্যা মামলার যাবজ্জীবন সাঁজাপ্রাপ্ত আসামী ইমরান হোসেন ওরফে ইমরানকে ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার চর বিষ্ণুপুর এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে সদরপুর থানা পুলিশ। মঙ্গলবার রাতে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

ইমরান হোসেন সদরপুর উপজেলার চর চাঁদপুর গ্রামের মীর আব্দুল জলিলের ছেলে। আলোচিত বিশ্বজিত হত্যা মামলার যাবজ্জীবন সাঁজাপ্রাপ্ত আসামী ইমরান পলাতক ছিলেন।
সদরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সুব্রত গোলদার গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মঙ্গলবার রাত সাড়ে দশটার দিকে চর যবষ্ণুপুর এলাকায় অভিযান তাকে গ্রেফতার করা হয়। আজ বুধবার দুপুরে তাকে আদালতে সোর্পদ করা হয় ।
২০১৩ সালের ৮ ডিসেম্বর ঢাকার দ্রæতবিচার ট্রাইব্যুনালে বিশ্বজিৎ দাস হত্যা মামলায় ইমরানের অনুপস্থিতিতে তার যাবজ্জীবন সাজা হয়। মামলা চলার সময় থেকেই ইমরান পলাতক ছিলেন।
২০১২ সালের ৯ ডিসেম্বর পুরান ঢাকার ভিক্টোরিয়া পার্কের সামনে দিনদুপুরে খুন হন বিশ্বজিৎ দাস। অনেক টিভি চ্যানেলের ক্যামেরার সামনেই ওই ঘটনা ঘটে। তাকে নির্মমভাবে হত্যার দৃশ্য সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হলে এ নিয়ে ব্যাপক তোলপাড় শুরু হয়।
ওই হত্যাকান্ডের এক বছর পর ঢাকার দ্রæতবিচার ট্রাইব্যুনালে মামলার রায়ে ২১ আসামির মধ্যে আটজনের মৃত্যুদণ্ড এবং ১৩ জনের যাবজ্জীবন সাজা হয়।
২০১৭ সালের ৬ আগস্ট মামলায় ডেথ রেফারেন্স এবং আসামিদের আপিলের ওপর শুনানি শেষে বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দুস ও বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তীর হাইকোর্ট বেঞ্চ দুজনের মৃত্যুদন্ড বহাল রাখেন। চারজনের সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন ও দুজনকে খালাস দেন। এ ছাড়া বিচারিক আদালতে যাবজ্জীবন সাজা পাওয়া আপিলকারী দুজনকে খালাস দেওয়া হয়।
নিহত বিশ্বজিৎ দাসের বাড়ি শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার ভোজেশ্বর দাসপাড়া গ্রামে।