করোনার ভারতীয় ধরন সন্দেহে জিনম সিকোয়েন্সের জন্য ১৫টি নমুনা ঢাকার রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানে (আইইডিআর) পাঠিয়েছে বলে জানিয়েছেন গোপালগঞ্জ সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিকেল অফিসার ডা. এসএম সাকিবুর রহমান। শুক্রবার জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ এ নমুনা আইইডিসিআরে পাঠায়।
গোপালগঞ্জে অধিকহারে কারোনা রোগী শনাক্ত হওয়ায় সদর উপজেলার সাতপাড়, সাহাপুর ও বৌলতলী ইউনিয়নে আজ শুক্রবার থেকে ৭ দিনের কঠোর লকডাউন দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।
বৃহস্পতিবার বিকেলে উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ ও স্বাস্থ্য বিভাগ মাঠে নেমে ওই ৩ ইউনিয়নে লকডাউনের ঘোষণা দেয়। এ সময় গোপালগঞ্জ সদর থানার ওসি মো. মনিরুল ইসলামসহ স্বাস্থ্য বিভাগের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
শুক্রবার সকালে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রাশেদুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। ওই কর্মকর্তা আরও জানান, লকডাউনের আওতামুক্ত থাকবে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য, ওষুধ, কৃষিপণ্যের দোকান। এসব দোকান সকাল থেকে বিকেল ৪ টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। কঠোর লকডাউনে অন্যান্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, ব্যাংক, এনজিওর কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় সব উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। ব্যাংক ও এনজিওকে চিঠি দিয়ে বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আরও জানান, বৌলতলী ইউনিয়নের তেলিভিটা গ্রামের হলধর কীর্ত্তনীয়ার ছেলে নিভাষ বিশ্বাস করোনার উপসর্গ নিয়ে ৭ দিন আগে মৃত্যুবরণ করেন। পরে ওই পরিবারের আরও ৩জন করোনায় আক্রান্ত হন। নিভাষের সংস্পর্শে আশা ওই গ্রামের ১৬৮ জনের নমুনা দু’দফা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করে ৪১জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়।
এছাড়া বৌলতলী, সাহাপুর ও সাতপাড় ইউনিয়ন হিন্দু অধ্যুষিত। এসব এলাকার মানুষ বৈধ ও অবৈধ পথে ভারত যাতায়াত করে থাকেন। বৈধপথে যাতায়াতকারীদের তথ্য আমাদের কাছে আছে। কিন্তু অবৈধ পথে যাতায়াতকারীদের তথ্য আমাদের কাছে নেই। তারা সবসময় তথ্য গোপন করে। তাই আক্রান্তদের মধ্যে ভারতীয় ধরন থাকার আশঙ্কা করা হচ্ছে। সংক্রমণ প্রতিরোধে সাতপাড়, সাহাপুর ও বৌলতলী ইউনিয়নের সব হাটবাজার লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। ওই এলাকার মানুষের নমুনা সংগ্রহ করে করোনা পরীক্ষা অব্যাহত রাখা হবে। এছাড়া গণপরিবহন চলাচল সীমিত করা হয়েছে। অতি প্রয়োজন ছাড়া সাধারণ মানুষকে ঘরের বাইরে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। লকডাউন চলাকালে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারে সরকারি খাদ্য সহায়তা প্রদান করা হবে।