ঢাকা ০৪:৩৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২০ অগাস্ট ২০২৫, ৫ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত প্রায় ১৯ হাজার শিশু ইউরোপজুড়ে চলছে তীব্র তাপদাহ, স্পেনে মৃত্যু ১,১৫০ ছাড়াল গাজা উপত্যকার বিভিন্ন স্থানে ইসরাইলি হামলায় একদিনে আরও ৬০ ফিলিস্তিনি নিহত ইউক্রেনের নিরাপত্তা নিশ্চিতে যুক্তরাষ্ট্রের সেনা মোতায়েন করা হবে না: ট্রাম্প আজকে কোন টিভি চ্যানেলে কোন খেলা আজকের নামাজের সময়সূচি ২০ আগস্ট অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানে সরকারকে সহযোগিতা করার জন্য সেনাবাহিনী সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে ফরিদপুরের সালথায় শর্ত লঙ্ঘন করে আ.লীগ নেতার শ্যালককে খাদ্যবান্ধব ডিলার নিয়োগের অভিযোগ ফরিদপুরে পদ্মার পানি বেড়ে ডুবে গেছে ৩১ গ্রাম, দুর্ভোগে ১২০০ পরিবার মধুখালীতে মুক্তিপণ না পেয়ে শিক্ষার্থীকে হত্যা, আটক ২

ছাগল কান্ড: জরিমানা অবশেষে পরিশোধ করলেন ইউএনও

বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলা পরিষদ চত্বরের বাগানের ফুলগাছ খাওয়ার অপরাধে ছাগলের মালিককে ভ্রাম্যমাণ আদালতে দুই হাজার টাকা জরিমানা করা নিয়ে দেশজুড়ে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। ছাগলের মালিক জরিমানার ২ হাজার টাকা না দেওয়ায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ছাগলটি পাঁচ হাজার টাকায় বিক্রি করে দেন বলে অভিযোগ ওঠে। অবশেষে ওই ছাগলের অপরাধের জরিমানা ইউএনও নিজেই পরিশোধ করেছেন।

সাখারা খাতুনের সেই ছাগল ছবি: ইন্টারনেট থেকে

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলা পরিষদ চত্বরের ডাকবাংলো-সংলগ্ন বাসিন্দা জিল্লুর রহমানের স্ত্রী সাহারা খাতুন মুরগি ও ছাগল পালন করেন। তার একটি ছাগল গত ১৭ মে দিনের বেলা উপজেলা পরিষদ চত্বরে ঢুকে ফুলগাছের পাতা খেয়ে নষ্ট করে ফেলে। এসময় নির্দেশ পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিরাপত্তাকর্মী ওই ছাগলটি আটক করে। পরে ছাগলের মালিক সাহারা খাতুন ছাগলটি খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে উপজেলা চত্বরের ভেতর ছাগল বেঁধে রাখা অবস্থায় দেখতে পান। তিনি ছাগল আনতে গেলে তাকে ফিরিয়ে দেন ওই নিরাপত্তাকর্মী। এরপর তাকে জানানো হয়, ফুলগাছের পাতা খাওয়ার অপরাধে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে দুই হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানার টাকা দিয়ে ছাগল ছাড়িয়ে নিয়ে যেতে বলা হয়। কিন্তু গরীব সাহারা খাতুন টাকা পরিশোধ করতে না পারায় ছাগলও নিতে পারেননি। সাহারা খাতুন সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করে বলেন, তাকে ছাগলটি না দিয়ে তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে এবং স্থানীয় বাজারে ছাগলটি পাঁচ হাজার টাকায় বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে। পরে ইউএনও তার বাসার গৃহকর্মী মারফত সাহারা খাতুনকে খবর পাঠিয়েছেন, জরিমানার দুই হাজার টাকা বাদ দিয়ে তিন হাজার টাকা নিয়ে যেতে।

এ ব্যাপারে বৃহস্পতিবার (২৭ মে) ইউএনও সীমা শারমিনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, জরিমানার টাকা পরিশোধ না করায় ছাগলটি ভিন্ন স্থানে এক ব্যক্তির জিম্মায় রাখা হয়েছিল। ছাগলটি বিক্রির সংবাদ সঠিক নয়। ছাগলের মালিক সাহারা খাতুনকে ইউএনও অফিসে ডেকে সতর্ক করে ছাগলটি ফেরত দেওয়া হয় এবং জরিমানার টাকা আমি নিজে পরিশোধ করে দিয়েছি। এ সময় উপজেলা চেয়ারম্যান ও স্থানীয় সাংবাদিকেরা উপস্থিত ছিলেন।

Tag :

গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত প্রায় ১৯ হাজার শিশু

ছাগল কান্ড: জরিমানা অবশেষে পরিশোধ করলেন ইউএনও

Update Time : ০৬:১৫:২৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ মে ২০২১

বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলা পরিষদ চত্বরের বাগানের ফুলগাছ খাওয়ার অপরাধে ছাগলের মালিককে ভ্রাম্যমাণ আদালতে দুই হাজার টাকা জরিমানা করা নিয়ে দেশজুড়ে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। ছাগলের মালিক জরিমানার ২ হাজার টাকা না দেওয়ায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ছাগলটি পাঁচ হাজার টাকায় বিক্রি করে দেন বলে অভিযোগ ওঠে। অবশেষে ওই ছাগলের অপরাধের জরিমানা ইউএনও নিজেই পরিশোধ করেছেন।

সাখারা খাতুনের সেই ছাগল ছবি: ইন্টারনেট থেকে

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলা পরিষদ চত্বরের ডাকবাংলো-সংলগ্ন বাসিন্দা জিল্লুর রহমানের স্ত্রী সাহারা খাতুন মুরগি ও ছাগল পালন করেন। তার একটি ছাগল গত ১৭ মে দিনের বেলা উপজেলা পরিষদ চত্বরে ঢুকে ফুলগাছের পাতা খেয়ে নষ্ট করে ফেলে। এসময় নির্দেশ পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিরাপত্তাকর্মী ওই ছাগলটি আটক করে। পরে ছাগলের মালিক সাহারা খাতুন ছাগলটি খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে উপজেলা চত্বরের ভেতর ছাগল বেঁধে রাখা অবস্থায় দেখতে পান। তিনি ছাগল আনতে গেলে তাকে ফিরিয়ে দেন ওই নিরাপত্তাকর্মী। এরপর তাকে জানানো হয়, ফুলগাছের পাতা খাওয়ার অপরাধে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে দুই হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানার টাকা দিয়ে ছাগল ছাড়িয়ে নিয়ে যেতে বলা হয়। কিন্তু গরীব সাহারা খাতুন টাকা পরিশোধ করতে না পারায় ছাগলও নিতে পারেননি। সাহারা খাতুন সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করে বলেন, তাকে ছাগলটি না দিয়ে তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে এবং স্থানীয় বাজারে ছাগলটি পাঁচ হাজার টাকায় বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে। পরে ইউএনও তার বাসার গৃহকর্মী মারফত সাহারা খাতুনকে খবর পাঠিয়েছেন, জরিমানার দুই হাজার টাকা বাদ দিয়ে তিন হাজার টাকা নিয়ে যেতে।

এ ব্যাপারে বৃহস্পতিবার (২৭ মে) ইউএনও সীমা শারমিনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, জরিমানার টাকা পরিশোধ না করায় ছাগলটি ভিন্ন স্থানে এক ব্যক্তির জিম্মায় রাখা হয়েছিল। ছাগলটি বিক্রির সংবাদ সঠিক নয়। ছাগলের মালিক সাহারা খাতুনকে ইউএনও অফিসে ডেকে সতর্ক করে ছাগলটি ফেরত দেওয়া হয় এবং জরিমানার টাকা আমি নিজে পরিশোধ করে দিয়েছি। এ সময় উপজেলা চেয়ারম্যান ও স্থানীয় সাংবাদিকেরা উপস্থিত ছিলেন।