ঢাকা ০৪:২৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২০ অগাস্ট ২০২৫, ৪ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নড়াইলে লাখো প্রদীপ জ্বালিয়ে ভাষাশহীদদের স্মরণ

  • অনলাইন ডেস্ক
  • Update Time : ০৪:৫৪:৫৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২১
  • ৩৯০ Time View

প্রতি বছরের মতো এবারও লাখো মোমবাতি জ্বেলে ভাষাশহীদদের স্মরণ করেছে নড়াইলবাসী। একইসঙ্গে ভাষা দিবসের ৭০তম বার্ষিকীতে ৭০টি ফানুস উড়িয়েছে তারা। রোববার সন্ধ্যা ৬টা ২০ মিনিটে নড়াইল শহরের কুরিরডোব মাঠে একসঙ্গে জ্বলে ওঠে লাখো প্রদীপ। একইসঙ্গে ভাষা দিবসের ৭০তম বার্ষিকীতে ৭০টি ফানুস উড়িয়েছে তারা। রোববার সন্ধ্যা ৬টা ২০ মিনিটে নড়াইল শহরের কুরিরডোব মাঠে একসঙ্গে জ্বলে ওঠে লাখো প্রদীপ।

ভাষাশহীদদের স্মরণে নড়াইলের এবারের লাখো মোমবাতি প্রজ্বালন অনুষ্ঠান হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে তার নামে উৎসর্গ করা হয়েছে। এর আগে প্রদীপ প্রজ্বালনের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে একুশ আলোর সভাপতি অধ্যাপক মুন্সি মো. হাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নিজাম উদ্দিন খান নিলু, নড়াইল পৌরসভার নবনির্বাচিত মেয়র আনজুমান আরা, একুশের আলোর সহ সভাপতি আ্যাডভোকেট ওমর ফারুক ও সাধারণ সম্পাদক নাট্যব্যক্তিত্ব কচি খন্দকার।

অধ্যাপক মুন্সি হাফিজুর রহমান বলেন, আমাদের লক্ষ্য এই মঙ্গল প্রদীপের আলো পৃথিবীর সব ভাষা ও সংস্কৃতিকে আলোকিত করবে। বিশ্বের কোথাও এ ধরনের ব্যতিক্রমী অনুষ্ঠান হয় না। তাই অনুষ্ঠানটির মূল্যায়ন করে রেকর্ড বুকে তালিকা করার আহ্বান তার।

ছয় একরের বিশাল কুরিরডোব মাঠে শহীদ মিনার, বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি, বাংলা বর্ণমালা ও বিভিন্ন ধরনের আল্পনা তুলে ধরা হয়। সন্ধ্যার আগে মোমবাতি প্রজ্বালনে কয়েক হাজার শিশু-কিশোর অংশগ্রহণ নেয়।

এরপর সন্ধ্যায় লাখো মোমবাতি জ্বলে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি, আমি কি ভুলিতে পারি’ গানের মধ্য দিয়ে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের গণসংগীত শুরু হয়। নান্দনিক এ অনুষ্ঠানটি জেলা ও জেলার বাইরের কয়েক হাজার দর্শক উপভোগ করেন। এছাড়া বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল মাছরাঙ্গা অনুষ্ঠানটি সরাসরি সম্প্রচার করে।

১৯৯৮ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি নড়াইলে ব্যতিক্রমী এ অনুষ্ঠানটির শুরু হয়। এবার এ আয়োজন সফল করতে এক মাস আগে থেকে কাজ শুরু করেছিলেন সংস্কৃতিকর্মী, স্বেচ্ছাসেবক ও শ্রমিকরা। এছাড়া তিন শতাধিক পুলিশ ও স্বেচ্ছাসেবক মাঠের চারপাশের সার্বিক নিরাপত্তা রক্ষা করেন।

Tag :

নড়াইলে লাখো প্রদীপ জ্বালিয়ে ভাষাশহীদদের স্মরণ

Update Time : ০৪:৫৪:৫৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২১

প্রতি বছরের মতো এবারও লাখো মোমবাতি জ্বেলে ভাষাশহীদদের স্মরণ করেছে নড়াইলবাসী। একইসঙ্গে ভাষা দিবসের ৭০তম বার্ষিকীতে ৭০টি ফানুস উড়িয়েছে তারা। রোববার সন্ধ্যা ৬টা ২০ মিনিটে নড়াইল শহরের কুরিরডোব মাঠে একসঙ্গে জ্বলে ওঠে লাখো প্রদীপ। একইসঙ্গে ভাষা দিবসের ৭০তম বার্ষিকীতে ৭০টি ফানুস উড়িয়েছে তারা। রোববার সন্ধ্যা ৬টা ২০ মিনিটে নড়াইল শহরের কুরিরডোব মাঠে একসঙ্গে জ্বলে ওঠে লাখো প্রদীপ।

ভাষাশহীদদের স্মরণে নড়াইলের এবারের লাখো মোমবাতি প্রজ্বালন অনুষ্ঠান হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে তার নামে উৎসর্গ করা হয়েছে। এর আগে প্রদীপ প্রজ্বালনের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে একুশ আলোর সভাপতি অধ্যাপক মুন্সি মো. হাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নিজাম উদ্দিন খান নিলু, নড়াইল পৌরসভার নবনির্বাচিত মেয়র আনজুমান আরা, একুশের আলোর সহ সভাপতি আ্যাডভোকেট ওমর ফারুক ও সাধারণ সম্পাদক নাট্যব্যক্তিত্ব কচি খন্দকার।

অধ্যাপক মুন্সি হাফিজুর রহমান বলেন, আমাদের লক্ষ্য এই মঙ্গল প্রদীপের আলো পৃথিবীর সব ভাষা ও সংস্কৃতিকে আলোকিত করবে। বিশ্বের কোথাও এ ধরনের ব্যতিক্রমী অনুষ্ঠান হয় না। তাই অনুষ্ঠানটির মূল্যায়ন করে রেকর্ড বুকে তালিকা করার আহ্বান তার।

ছয় একরের বিশাল কুরিরডোব মাঠে শহীদ মিনার, বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি, বাংলা বর্ণমালা ও বিভিন্ন ধরনের আল্পনা তুলে ধরা হয়। সন্ধ্যার আগে মোমবাতি প্রজ্বালনে কয়েক হাজার শিশু-কিশোর অংশগ্রহণ নেয়।

এরপর সন্ধ্যায় লাখো মোমবাতি জ্বলে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি, আমি কি ভুলিতে পারি’ গানের মধ্য দিয়ে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের গণসংগীত শুরু হয়। নান্দনিক এ অনুষ্ঠানটি জেলা ও জেলার বাইরের কয়েক হাজার দর্শক উপভোগ করেন। এছাড়া বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল মাছরাঙ্গা অনুষ্ঠানটি সরাসরি সম্প্রচার করে।

১৯৯৮ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি নড়াইলে ব্যতিক্রমী এ অনুষ্ঠানটির শুরু হয়। এবার এ আয়োজন সফল করতে এক মাস আগে থেকে কাজ শুরু করেছিলেন সংস্কৃতিকর্মী, স্বেচ্ছাসেবক ও শ্রমিকরা। এছাড়া তিন শতাধিক পুলিশ ও স্বেচ্ছাসেবক মাঠের চারপাশের সার্বিক নিরাপত্তা রক্ষা করেন।