ঢাকা ০৫:১৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৭ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ফরিদপুরের নগরকান্দায় নববধূর লাশ উদ্ধার, পরিবারের দাবী হত্যা

ফরিদপুরের নগরকান্দায় গৃহবধুর লাশ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ।বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার ডাঙ্গী ইউনিয়নের গোয়াইলপোতা গ্রামের স্বামীর বাড়ী থেকে এ লাশ উদ্ধার করা হয়। গৃহবধূ একই ইউনিয়নের শংকরপাশা গ্রামের আব্দুর রব হাওলাদারের কন্যা মীম আক্তার (১৮)।

জানাগেছে ৫ মাস পূর্বে গোয়াইলপোতা গ্রামের রশিদ মৃর্ধার ছেলে বাবু মৃর্ধার সাথে মীমের বিবাহ হয়। বাবু মৃর্ধা ও মীম কৃষ্ণপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে এ্কই সাথে দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলো। দুজনের এক সঙ্গে স্কুলে আসা যাওয়ায় তাদের মধ্যে গভীর সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বিয়ের বয়স না হলেও দুই পরিবার মিলে বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ করে দেন তাদের।

বাবু মৃর্ধার ভাবী ইভা বেগম জানায়, দুধবার রাতে আমরা যার যার ঘরে ঘুমিয়ে পড়ি। ফজর আজানের পর আমি ঘুম থেকে উঠে বের হয়ে দরজার সামনে ছোট আম গাছে মীমকে গলায় উড়না পেচিয়ে ঝুলেতে দেখি। আমি শোর চিৎকার দিলে প্রতিবেশীরা এসে ওকে মাটিতে নামায়। তখন ও জীবিত ছিল। আমরা তেল পানি মাথায় দিয়ে ডাক্তারের কাছে নেওয়ার প্রস্ততি নেই্। এরই মধ্যে মীম মারা যায়।

মীমের পিতা আব্দুর রব হাওলাদার অভিযোগ করে বলেন, আমি গরীব মানুষ। এলাকার মুরুব্বীদের পরামর্শে এ বিয়েতে রাজী হয়েছিলাম। আমার মেয়েকে ওরা খুন করে ফেলেছে।

বাবু মৃর্ধা পলাতক থাকায় তার  বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

নগরকান্দা থানা ইনচার্জ সেলিম রেজা বিপ্লব বলেন, আভিযোগ পাওয়ার পর লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছিল। ময়না তদন্তের রিপোট পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Tag :

ফরিদপুরের নগরকান্দায় নববধূর লাশ উদ্ধার, পরিবারের দাবী হত্যা

Update Time : ০৫:৪৫:৩৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ মে ২০২১

ফরিদপুরের নগরকান্দায় গৃহবধুর লাশ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ।বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার ডাঙ্গী ইউনিয়নের গোয়াইলপোতা গ্রামের স্বামীর বাড়ী থেকে এ লাশ উদ্ধার করা হয়। গৃহবধূ একই ইউনিয়নের শংকরপাশা গ্রামের আব্দুর রব হাওলাদারের কন্যা মীম আক্তার (১৮)।

জানাগেছে ৫ মাস পূর্বে গোয়াইলপোতা গ্রামের রশিদ মৃর্ধার ছেলে বাবু মৃর্ধার সাথে মীমের বিবাহ হয়। বাবু মৃর্ধা ও মীম কৃষ্ণপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে এ্কই সাথে দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলো। দুজনের এক সঙ্গে স্কুলে আসা যাওয়ায় তাদের মধ্যে গভীর সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বিয়ের বয়স না হলেও দুই পরিবার মিলে বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ করে দেন তাদের।

বাবু মৃর্ধার ভাবী ইভা বেগম জানায়, দুধবার রাতে আমরা যার যার ঘরে ঘুমিয়ে পড়ি। ফজর আজানের পর আমি ঘুম থেকে উঠে বের হয়ে দরজার সামনে ছোট আম গাছে মীমকে গলায় উড়না পেচিয়ে ঝুলেতে দেখি। আমি শোর চিৎকার দিলে প্রতিবেশীরা এসে ওকে মাটিতে নামায়। তখন ও জীবিত ছিল। আমরা তেল পানি মাথায় দিয়ে ডাক্তারের কাছে নেওয়ার প্রস্ততি নেই্। এরই মধ্যে মীম মারা যায়।

মীমের পিতা আব্দুর রব হাওলাদার অভিযোগ করে বলেন, আমি গরীব মানুষ। এলাকার মুরুব্বীদের পরামর্শে এ বিয়েতে রাজী হয়েছিলাম। আমার মেয়েকে ওরা খুন করে ফেলেছে।

বাবু মৃর্ধা পলাতক থাকায় তার  বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

নগরকান্দা থানা ইনচার্জ সেলিম রেজা বিপ্লব বলেন, আভিযোগ পাওয়ার পর লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছিল। ময়না তদন্তের রিপোট পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।