ঢাকা ০৫:১৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৭ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ফরিদপুরের নগরকান্দায় শতবর্ষী বৃদ্ধা মাকে গোয়াল ঘরে আটকে রাখার অভিযোগ

নগরকান্দায় শতবর্ষী এক বৃদ্ধা মাকে পরিত্যক্ত গোয়াল ঘরে আটকে রাখার অভিযোগ পাওয়া গেছে একমাত্র ছেলের বিরুদ্ধে।

ফরিদপুরের নগরকান্দা পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ড করপাড়া এলাকার রমেন মন্ডল তার শতবর্ষী মা রাজেশ্বরী মন্ডল কে একটি পরিত্যক্ত ঘরে তালাবদ্ধ অবস্থায় আটকে রাখছেন দীর্ঘদিন যাবত। রমেন মন্ডল উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত থেকে সম্প্রতি অবসরে আছেন।

গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সরেজমিনে গিয়ে দেখাগেছে, একটি পরিত্যক্ত তালাবদ্ধ ঘরে জরাজীর্ণ অবস্থায় তাকে রাখা হয়েছে। তালা খুলে দেখাগেছে ঐ শতবর্ষী মা ময়লা আবর্জনার ভিতর তীব্র গরমে কাতরাচ্ছে। ঘরের মধ্যে কোন ফ্যান নেই, না পাচ্ছে ঠিকমতো খাবার, না পাচ্ছে একটু পানি। একমাত্র ছেলে ছেলের বউ আরাম আয়াসে আলিশান ঘরে থাকলেও সেই ঘরে জায়গা হয়নি বৃদ্ধা মায়ের। দরজার তালা খোলা মাত্রই এই প্রতিনিধিকে দেখেই হাউমাও করে কেঁদে উঠেন ঐ বৃদ্ধা। পরে তাকে উদ্ধার করে ছেলের ঘরে নিয়ে ফ্যানের নীচে বসালে তিনি স্বস্থির নিঃশ্বাস ফেলেন।

এ ব্যাপারে ছেলে রমেন মন্ডল ঘটনাটির সত্যতা স্বীকার করে বলেন, দরজা খোলা থাকলে বিভিন্ন দিকে চলে যায়। তাই আমি তাকে আটকিয়ে রাখি। আমার ভুল হয়েছে। আমি না বুঝে অনেক বড় ভুল করেছি।

Tag :
জনপ্রিয়

ফরিদপুরের নগরকান্দায় শতবর্ষী বৃদ্ধা মাকে গোয়াল ঘরে আটকে রাখার অভিযোগ

Update Time : ০৯:৩৭:১০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ মে ২০২১

নগরকান্দায় শতবর্ষী এক বৃদ্ধা মাকে পরিত্যক্ত গোয়াল ঘরে আটকে রাখার অভিযোগ পাওয়া গেছে একমাত্র ছেলের বিরুদ্ধে।

ফরিদপুরের নগরকান্দা পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ড করপাড়া এলাকার রমেন মন্ডল তার শতবর্ষী মা রাজেশ্বরী মন্ডল কে একটি পরিত্যক্ত ঘরে তালাবদ্ধ অবস্থায় আটকে রাখছেন দীর্ঘদিন যাবত। রমেন মন্ডল উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত থেকে সম্প্রতি অবসরে আছেন।

গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সরেজমিনে গিয়ে দেখাগেছে, একটি পরিত্যক্ত তালাবদ্ধ ঘরে জরাজীর্ণ অবস্থায় তাকে রাখা হয়েছে। তালা খুলে দেখাগেছে ঐ শতবর্ষী মা ময়লা আবর্জনার ভিতর তীব্র গরমে কাতরাচ্ছে। ঘরের মধ্যে কোন ফ্যান নেই, না পাচ্ছে ঠিকমতো খাবার, না পাচ্ছে একটু পানি। একমাত্র ছেলে ছেলের বউ আরাম আয়াসে আলিশান ঘরে থাকলেও সেই ঘরে জায়গা হয়নি বৃদ্ধা মায়ের। দরজার তালা খোলা মাত্রই এই প্রতিনিধিকে দেখেই হাউমাও করে কেঁদে উঠেন ঐ বৃদ্ধা। পরে তাকে উদ্ধার করে ছেলের ঘরে নিয়ে ফ্যানের নীচে বসালে তিনি স্বস্থির নিঃশ্বাস ফেলেন।

এ ব্যাপারে ছেলে রমেন মন্ডল ঘটনাটির সত্যতা স্বীকার করে বলেন, দরজা খোলা থাকলে বিভিন্ন দিকে চলে যায়। তাই আমি তাকে আটকিয়ে রাখি। আমার ভুল হয়েছে। আমি না বুঝে অনেক বড় ভুল করেছি।