ঢাকা ০৩:১০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৮ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ফরিদপুরের বদলে যাওয়া ভাঙ্গা: শেখ হাসিনার উন্নয়নের ম্যাজিক

প্রতিদিন সকাল, বিকাল, সন্ধ্যা ও রাতে ফরিদপুরের ভাঙ্গা বিশ্বরোড মোড় গোলচত্বরকে ঘিরে অসংখ্য নারী, পুরুষ, কিশোর, কিশোরী, তরুণ, তরুণীদের ভিড় লেগে থাকে। করোনাকালীন ঈদ সহ বিভিন্ন উৎসবেও থাকে উপচে পড়া ভিড়। দূর দূরান্ত থেকে প্রতিনিয়ত এ চত্বর দেখতে আসেন জেলা ও জেলার বাইরে থেকে অসংখ্য মানুষ। নগরকান্দার রামনগর গ্রাম থেকে আগত কানাই মাতুব্বর (৭৫) বলেন, এখানে উপরে রাস্তা, নিচে রাস্তা, চারপাশে রাস্তা এরকম রাস্তা জীবনেও দেখিনি, রাতে বাত্তি জ্বলে উঠলে সনে হয় বিদেশে আছি। আমাগো প্রধানন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাই, শেষ বয়সেও এসেও দেশের এতো উন্নতি দেখবো ভাবতে পারি নাই।

ভাংঙ্গা বিশ্বরোড মোড় একসময় ছিল চারটি সড়কের সংযোগ স্থান। এখানে ছিল বাসস্টপেজ। সরকার পদ্মা সেতু নির্মাণ প্রকল্প হাতে নিলে পদ্মা সেতু থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত এক্সপ্রেস ওয়ে নির্মাণ করেন। নতুন রুপ পেতে থাকে দক্ষিণাঞ্চলের প্রবেশদ্বার খ্যাত ভাঙ্গা বিশ্বরোড গোল চত্বর। ২০১৪ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় যাওয়ার পর থেকেই ভাঙ্গার গুরুত্ব বাড়তে থাকে।

ভাংঙ্গা মাওয়া মহাসড়কের বাস চালক উজ্জ্বল মাতুব্বর বলেন, প্রথম প্রথম আমিই গাড়ি চালাতে গিয়ে খেই হারিয়ে ফেলতাম। অনেক পরিবহনের চালকদের দেখছি উলটা দিকে চলে গিয়েছে।

ভাঙ্গা রাস্তার মোড় নিয়ে কথা তুলতেই ভাঙ্গা মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ এ এইচ এম রেজাউল করিম বলেন, ভাঙ্গা বিশ্বরোড মোড় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নের এক মহাযজ্ঞ। শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী বলেই এরকম উন্নয়ন সম্ভব।

ভাঙ্গা উপজেলার সদরে এসে কুমার নদ দুটি শাখায় ভাগ হয়েছে। একটি শাখা চলে গিয়েছে দক্ষিনে গোপালগঞ্জের দিকে, আর একটি পূর্ব দিকে মাদারীপুরের দিকে।ভাগ হয়ে যাওয়া কুমার নদের তিন পাড়ে গড়ে ওঠা ভাঙ্গা উপজেলা শহর দেশের দক্ষিন-পশ্চিম অঞ্চলের একুশ জেলার প্রবেশ দ্বার। এ প্রবেশ দ্বার দিয়ে পশ্চিম যাওয়া যাবে গোপালগঞ্জ হয়ে খুলনা, বাগের হাট, সাতক্ষীরা, যশোরের বেনাপোল পর্যন্ত। দক্ষিনে মাদারীপুর, বরিশাল, পটুয়াখালী, বরগুনা, পিরোজপুর, ভোলা, ঝালকাঠি পর্যন্ত। উত্তরে ৩০ কিলোমিটার পার হলেই ফরিদপুর শহর। পূর্বে মাদারীপুরের শিবচর হয়ে পদ্মা সেতু পার হলেই আধা ঘণ্টারও কম সময়ে ঢাকা। ঢাকার জুরাইন থেকে ফরিদপুরের ভাঙ্গা পর্যন্ত ৫৫ কিলোমিটার। এটি এশিয়ান হাইওয়ে করিডর-১ এর অংশ।

ভাঙ্গায় এ কর্মযঞ্জের মুরু হয় ২০১৬ সালে। প্রকল্পটির কাজের অর্থ যোগান দিচ্ছে বাংলাদেশ সড়ক বিভাগ। নির্মাণ কাজের তদারকি করছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ২৪ কনস্ট্রাকশন ব্রিগেড। ঢাকা-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ের সঙ্গে ভাঙ্গার মোড়টিও যান চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হয় ২০২০ সালের ০৮ এপ্রিল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে যান চলাচলের উদ্বোধন করেন।

উত্তর-দক্ষিন, পূর্ব-পশ্চিম যেদিকেই যাওয়া যাক না কেন, ভাঙ্গায় যানজটে পড়তে হবে না।প্রয়োজন হবে না গাড়ির ব্রেক চাপার। ভাঙ্গার চার রাস্তার মোড়ে নির্মাণ করা হয়েছে চারটি আন্ডার পাস, একিট ফ্লাই ওভার, চারটি লেন। গাড়ি চলছে প্রতিটি লেন ধরেই। ঢাকার জুরাইন থেকে পদ্মা সেতুর উত্তর প্রান্ত পর্যন্ত ৩৫ কিলোমিটার। পদ্মা সেতুর দক্ষিণ প্রান্ত থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত ২০ কিলোমিটার। পদ্মা সেতু চালু হলে ভাঙ্গা পর্যন্ত যেতে সময় লাগবে ৪২ মিনিট।

ভাঙ্গার প্রবীণ মুক্তিযোদ্ধা, আলগী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান, কৃষক লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি মিয়ান আব্দুল ওয়াদুদ বলেন, শেখ হাসিনার হাতের ছোয়ায় বদলে যাচ্ছে আমাদের জীবন, যোগাযোগ সহ সবকিছু। ভাঙ্গা গোলচত্বর দেখতে বিভিন্ন জেলা থেকে মানুষ আসে। আবার পদ্মা সেতু চালু হলে ভাঙ্গায় রেলওয়ের জংশন হবে।শেখ হাসিনার হাতে যেন উন্নয়নের যাদু।

ভাঙ্গা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এস এম হাবিবুর রহমান বলেন, ভাঙ্গাবাসির পক্ষ থেকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে কৃতজ্ঞতা জানাই। তিনি পদ্মা সেতুর পাশা পাশি ভাঙ্গায় ফ্লাই ওভার, আনডার পাস সহ দৃষ্টি ন্ন্দন গোলচত্বর আমাদের উপহার দিয়েছেন।

 

Tag :
জনপ্রিয়

ফরিদপুরের বদলে যাওয়া ভাঙ্গা: শেখ হাসিনার উন্নয়নের ম্যাজিক

Update Time : ০৬:৫০:২৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ জুন ২০২১

প্রতিদিন সকাল, বিকাল, সন্ধ্যা ও রাতে ফরিদপুরের ভাঙ্গা বিশ্বরোড মোড় গোলচত্বরকে ঘিরে অসংখ্য নারী, পুরুষ, কিশোর, কিশোরী, তরুণ, তরুণীদের ভিড় লেগে থাকে। করোনাকালীন ঈদ সহ বিভিন্ন উৎসবেও থাকে উপচে পড়া ভিড়। দূর দূরান্ত থেকে প্রতিনিয়ত এ চত্বর দেখতে আসেন জেলা ও জেলার বাইরে থেকে অসংখ্য মানুষ। নগরকান্দার রামনগর গ্রাম থেকে আগত কানাই মাতুব্বর (৭৫) বলেন, এখানে উপরে রাস্তা, নিচে রাস্তা, চারপাশে রাস্তা এরকম রাস্তা জীবনেও দেখিনি, রাতে বাত্তি জ্বলে উঠলে সনে হয় বিদেশে আছি। আমাগো প্রধানন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাই, শেষ বয়সেও এসেও দেশের এতো উন্নতি দেখবো ভাবতে পারি নাই।

ভাংঙ্গা বিশ্বরোড মোড় একসময় ছিল চারটি সড়কের সংযোগ স্থান। এখানে ছিল বাসস্টপেজ। সরকার পদ্মা সেতু নির্মাণ প্রকল্প হাতে নিলে পদ্মা সেতু থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত এক্সপ্রেস ওয়ে নির্মাণ করেন। নতুন রুপ পেতে থাকে দক্ষিণাঞ্চলের প্রবেশদ্বার খ্যাত ভাঙ্গা বিশ্বরোড গোল চত্বর। ২০১৪ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় যাওয়ার পর থেকেই ভাঙ্গার গুরুত্ব বাড়তে থাকে।

ভাংঙ্গা মাওয়া মহাসড়কের বাস চালক উজ্জ্বল মাতুব্বর বলেন, প্রথম প্রথম আমিই গাড়ি চালাতে গিয়ে খেই হারিয়ে ফেলতাম। অনেক পরিবহনের চালকদের দেখছি উলটা দিকে চলে গিয়েছে।

ভাঙ্গা রাস্তার মোড় নিয়ে কথা তুলতেই ভাঙ্গা মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ এ এইচ এম রেজাউল করিম বলেন, ভাঙ্গা বিশ্বরোড মোড় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নের এক মহাযজ্ঞ। শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী বলেই এরকম উন্নয়ন সম্ভব।

ভাঙ্গা উপজেলার সদরে এসে কুমার নদ দুটি শাখায় ভাগ হয়েছে। একটি শাখা চলে গিয়েছে দক্ষিনে গোপালগঞ্জের দিকে, আর একটি পূর্ব দিকে মাদারীপুরের দিকে।ভাগ হয়ে যাওয়া কুমার নদের তিন পাড়ে গড়ে ওঠা ভাঙ্গা উপজেলা শহর দেশের দক্ষিন-পশ্চিম অঞ্চলের একুশ জেলার প্রবেশ দ্বার। এ প্রবেশ দ্বার দিয়ে পশ্চিম যাওয়া যাবে গোপালগঞ্জ হয়ে খুলনা, বাগের হাট, সাতক্ষীরা, যশোরের বেনাপোল পর্যন্ত। দক্ষিনে মাদারীপুর, বরিশাল, পটুয়াখালী, বরগুনা, পিরোজপুর, ভোলা, ঝালকাঠি পর্যন্ত। উত্তরে ৩০ কিলোমিটার পার হলেই ফরিদপুর শহর। পূর্বে মাদারীপুরের শিবচর হয়ে পদ্মা সেতু পার হলেই আধা ঘণ্টারও কম সময়ে ঢাকা। ঢাকার জুরাইন থেকে ফরিদপুরের ভাঙ্গা পর্যন্ত ৫৫ কিলোমিটার। এটি এশিয়ান হাইওয়ে করিডর-১ এর অংশ।

ভাঙ্গায় এ কর্মযঞ্জের মুরু হয় ২০১৬ সালে। প্রকল্পটির কাজের অর্থ যোগান দিচ্ছে বাংলাদেশ সড়ক বিভাগ। নির্মাণ কাজের তদারকি করছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ২৪ কনস্ট্রাকশন ব্রিগেড। ঢাকা-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ের সঙ্গে ভাঙ্গার মোড়টিও যান চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হয় ২০২০ সালের ০৮ এপ্রিল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে যান চলাচলের উদ্বোধন করেন।

উত্তর-দক্ষিন, পূর্ব-পশ্চিম যেদিকেই যাওয়া যাক না কেন, ভাঙ্গায় যানজটে পড়তে হবে না।প্রয়োজন হবে না গাড়ির ব্রেক চাপার। ভাঙ্গার চার রাস্তার মোড়ে নির্মাণ করা হয়েছে চারটি আন্ডার পাস, একিট ফ্লাই ওভার, চারটি লেন। গাড়ি চলছে প্রতিটি লেন ধরেই। ঢাকার জুরাইন থেকে পদ্মা সেতুর উত্তর প্রান্ত পর্যন্ত ৩৫ কিলোমিটার। পদ্মা সেতুর দক্ষিণ প্রান্ত থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত ২০ কিলোমিটার। পদ্মা সেতু চালু হলে ভাঙ্গা পর্যন্ত যেতে সময় লাগবে ৪২ মিনিট।

ভাঙ্গার প্রবীণ মুক্তিযোদ্ধা, আলগী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান, কৃষক লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি মিয়ান আব্দুল ওয়াদুদ বলেন, শেখ হাসিনার হাতের ছোয়ায় বদলে যাচ্ছে আমাদের জীবন, যোগাযোগ সহ সবকিছু। ভাঙ্গা গোলচত্বর দেখতে বিভিন্ন জেলা থেকে মানুষ আসে। আবার পদ্মা সেতু চালু হলে ভাঙ্গায় রেলওয়ের জংশন হবে।শেখ হাসিনার হাতে যেন উন্নয়নের যাদু।

ভাঙ্গা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এস এম হাবিবুর রহমান বলেন, ভাঙ্গাবাসির পক্ষ থেকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে কৃতজ্ঞতা জানাই। তিনি পদ্মা সেতুর পাশা পাশি ভাঙ্গায় ফ্লাই ওভার, আনডার পাস সহ দৃষ্টি ন্ন্দন গোলচত্বর আমাদের উপহার দিয়েছেন।