ফরিদপুরের বোয়ালমারীতেএক অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য ও তার ছেলেকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার রুপাপাত ইউনিয়নের মোড়া গ্রামে। গত রবিবার রাতে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় সোমবার বোয়ালমারী থানায় নিজে বাদী হয়ে মোড়া গ্রামের বাসিন্দা অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য মো. মিজানুর রহমান একটি মামলাদায়ের করেছেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায় গত রবিবার অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য মিজানুর রহমান (৫১) ও তার ছেলে মেহেদী হাসান মামুন (২৩) রাত ৮টার দিকে মোড়া বাজারে সেকেন্দারের চায়ের দোকানে বসে লোকজনের সাথে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় শেষে বাড়ি ফিরছিলেন। চায়ের দোকান পার হওয়ার পর পুর্ব শক্রতার জের ধরে মোড়া গ্রামের বাসিন্দা মো রবিউল মোল্লা (৪০) ও তার সহযোগীরা তার তাদের উপরে হামলা করে। হামলাকারীদের দেশীয় অস্ত্রের কোপে মামুন মারাত্মক আহত হয়। আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। অবসরপ্রাপ্ত সেনাসদস্য মিজানুর রহমানকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।
এ ব্যাপারে রবিউল মোল্লা বলেন, কোন হামলার ঘটনা ঘটেনি। আমি শুনেছি ওখানে মারামারি হয়েছে। তিনি বলেন, যখন ওই এলাকায় মারামারি হয়েছে তখন তিনি অন্য এক জায়গায় শালিসে ব্যস্ত ছিলেন। তাই ওই মারামারির ঘটনায় আমার জড়িত থাকার কোন প্রশ্নই ওঠে না।
আমি ওই মারামারি সময় ঘটনা স্থলে ছিলাম না। বোয়ালমারী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) তোতা মিয়া বলেন, সেনা সদস্য ও তার ছেলেকে মারধরের লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।