ঢাকা ০৭:২৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৩ অক্টোবর ২০২৫, ১৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম
আগামী ৫ দিন বজ্রসহ ভারি বৃষ্টি হতে পারে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ফুটবলে প্রথমবারের মতো রেফারির সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করতে কোচের হাতে উঠল ‘গ্রিন কার্ড’ অসহনীয় মাছ-মাংসের দাম; বৃষ্টিকে পুঁজি করে বাড়িয়েছে সব ধরনের সবজির দাম ফ্লোটিলার ত্রাণ বহনকারী একমাত্র নৌযানটিও ভূমধ্যসাগরে ইসরাইলি বাহিনীর হাতে আটক হয়েছে আফগানিস্তানের ১৫১ রান তাড়া করে বাংলাদেশ ৮ বল ও ৪ উইকেট হাতে রেখে জিতেছে অব্যাহত হামলায় ফিলিস্তিনের গাজা ভূখণ্ডে একদিনে আরও অন্তত ৫৩ জনের প্রাণহানি ফ্লোটিলা সদস্যদের আটকের ঘটনায় বাংলাদেশের গভীর নিন্দা মার্কিন সরকারে দ্বিতীয় দিনের মতো চলছে শাটডাউন গাজা সিটিজুড়ে ইসরায়েলি বাহিনী ঘোষণা: এটাই পালানোর শেষ সুযোগ গাজা উপত্যকার দিকে ছুটছে ফ্লোটিলার সর্বশেষ পোল্যান্ডের পতাকাবাহী জাহাজ ‘দ্য ম্যারিনেট’

ফরিদপুরে কবি হাবীবুল্লাহ সিরিজীর স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত

একুশে পদকপ্রাপ্ত বিশিষ্ট কবি, বাংলা একাডেমীর মহাপরিচালক, ফরিদপুরের কৃতি সন্তান হাবীবুল্লাহ সিরাজী স্মরণে এক স্মরণসভা ফরিদপুরে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ফরিদপুরের সাহিত্য পরিষদের আয়োজনে অনুষ্ঠিত স্মরণ সভার সভাপতিত্ব করেন ফরিদপুর সাহিত্য পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক আলতাফ হোসেন। সভায় কবি হাবীবুল্লাহ সিরাজীর জীবন ও কর্মের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন ফরিদপুর সাহিত্য পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক এম. এ. সামাদ, যশোর মাধ্যমিক উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের সাবেক চেয়াম্যান প্রফেসর এ বি এম সাত্তার, দৈনিক ইত্তেফাকের সহকারী সম্পাদক ও চলচ্চিত্র নির্মাতা অদ্বয় দত্ত, সাহিত্য পরিষদের সহ-সভাপতি অধ্রক্ষ আব্দুল্লাহ আল মামুন, সাধারন সম্পাদক মফিজ ইমাম মিলন, বিশিষ্ট নাট্যকার ম আহমেদ নিজাম, কবি হাবিবুল্লাহ সিরাজীর পরিবারের পক্ষে কামরুল হাসান জুযেল সহ অন্যান্যরা।

সভায় কবিতা আবৃত্তি করেন কবি মাজেদুল হক লিটু, কবি শুভ রহমান, কবি আলীম আল রাজি আজাদ, কবি রুবিয়া ইয়াসমিন, কবি তারিন তাসনিম, কবি মাসুদ হোসেনসহ অণ্যান্যরা। স্মরণ সভাটি পরিচালনা করেন ফরিদপুর সাহিত্য পরিষদের যুগ্ম সম্পাদক মৃধা রেজাউল করিম।

কবি হাবীবুল্লাহ সিরাজী পেশায় ছিলেন প্রকৌশলী। তবে তিনি সবার কাছে কবি হিসেবেই পরিচিত ছিলেন। ফরিদপুরের রসুরপুরে তার জন্ম ১৯৪৮ সালের ৩১শে ডিসেম্বর। বাবা আবুর হোসেন সিরাজী, মা জাহানারা বেগম। ফরিদপুর জিলা ন্কুল থেকে ১৯৬৪ সালে মাধ্যমিক ও ফরিদপুর রাজেন্দ্র কলেজ থেকে ১৯ ৬৬ সালে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করে তিনি বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) থেকে ১৯৭০ সালে স্নাতক ডিগ্রি নেন।

ছাত্র জীবন থেকেই হাবীবুল্লাহ সিরিজী সাহিত্য চর্চা করতেন। কবিতাই তার প্রদান ক্ষেত্র। তবে অনুবাদ, প্রবন্ধ, শিমুতোষ রচনা আর উপন্যাসো রচনা করেছেন। গত শতকের আশির দশকে জাতিয় কবিতা পরিষদ গঠনে বিমেষ ভূমিকা রাকেন। চারবার তিনি সংগঠণটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।

কবি হাবীবুল্লাহ সিরাজীর প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থের সংক্রা ৩০টির বেশি। এ ছাড়া ছড়া, উপন্যাস, প্রবন্ধ, অসুবাদ মিলিযে গ্রন্থসংখ্যা অর্ধশতাধিক । উল্লেখ যোগ্য গ্রন্থের মধ্যে রযেছে ‘দাও বৃক্ষ দাও দিন’, ‘নোনা জলে বুনো সংসার’, সিংগদরজা, ‘সারিবদ্ধ জোৎস্না’, ‘স্বপ্নহীনতার পক্ষে’ ‘একা ও করুণা’, ‘কবিরাজ বিল্ডিংয়ের ছাদ’ ইত্যাদি।

সাহিত্যকর্মে অবদানের জন্য হাবীবুল্লাহ সিরাজী একুশে পদক, বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার, জতীয় কবিতা পরিষদ পুরস্কার, আলাওল সাহিত্র পুরস্কার, বিষ্ণুদে পুরস্কারসহ দেশে-বিদেশে অনেক পুরস্কার ও সম্মাননা পেয়েছেন।

বিশিষ্ট এই কবি গত ২৪ মে রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকায় ইন্তেকাল করেন। পরদিন ২৫মে সর্বসাধারনের শ্রদ্ধা জ্ঞাপনের জন্য সকাল ১০টায় বাংলা একাডেমিতে নেওয়া হয়। সেখানে জানাজা ও শ্রদ্ধা জ্ঞাপনকরা হয়। পরে কবি হাবিবুল্লাহ সিরাজীর দ্বিতিয় জানাজা আজিমপুর কবরস্থানে অনুষ্ঠিত হবার পর সেখানেই তাকে দাফন করা হয়।

Tag :
জনপ্রিয়

আগামী ৫ দিন বজ্রসহ ভারি বৃষ্টি হতে পারে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে

ফরিদপুরে কবি হাবীবুল্লাহ সিরিজীর স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত

Update Time : ১১:৫৬:৩৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১১ জুন ২০২১

একুশে পদকপ্রাপ্ত বিশিষ্ট কবি, বাংলা একাডেমীর মহাপরিচালক, ফরিদপুরের কৃতি সন্তান হাবীবুল্লাহ সিরাজী স্মরণে এক স্মরণসভা ফরিদপুরে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ফরিদপুরের সাহিত্য পরিষদের আয়োজনে অনুষ্ঠিত স্মরণ সভার সভাপতিত্ব করেন ফরিদপুর সাহিত্য পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক আলতাফ হোসেন। সভায় কবি হাবীবুল্লাহ সিরাজীর জীবন ও কর্মের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন ফরিদপুর সাহিত্য পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক এম. এ. সামাদ, যশোর মাধ্যমিক উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের সাবেক চেয়াম্যান প্রফেসর এ বি এম সাত্তার, দৈনিক ইত্তেফাকের সহকারী সম্পাদক ও চলচ্চিত্র নির্মাতা অদ্বয় দত্ত, সাহিত্য পরিষদের সহ-সভাপতি অধ্রক্ষ আব্দুল্লাহ আল মামুন, সাধারন সম্পাদক মফিজ ইমাম মিলন, বিশিষ্ট নাট্যকার ম আহমেদ নিজাম, কবি হাবিবুল্লাহ সিরাজীর পরিবারের পক্ষে কামরুল হাসান জুযেল সহ অন্যান্যরা।

সভায় কবিতা আবৃত্তি করেন কবি মাজেদুল হক লিটু, কবি শুভ রহমান, কবি আলীম আল রাজি আজাদ, কবি রুবিয়া ইয়াসমিন, কবি তারিন তাসনিম, কবি মাসুদ হোসেনসহ অণ্যান্যরা। স্মরণ সভাটি পরিচালনা করেন ফরিদপুর সাহিত্য পরিষদের যুগ্ম সম্পাদক মৃধা রেজাউল করিম।

কবি হাবীবুল্লাহ সিরাজী পেশায় ছিলেন প্রকৌশলী। তবে তিনি সবার কাছে কবি হিসেবেই পরিচিত ছিলেন। ফরিদপুরের রসুরপুরে তার জন্ম ১৯৪৮ সালের ৩১শে ডিসেম্বর। বাবা আবুর হোসেন সিরাজী, মা জাহানারা বেগম। ফরিদপুর জিলা ন্কুল থেকে ১৯৬৪ সালে মাধ্যমিক ও ফরিদপুর রাজেন্দ্র কলেজ থেকে ১৯ ৬৬ সালে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করে তিনি বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) থেকে ১৯৭০ সালে স্নাতক ডিগ্রি নেন।

ছাত্র জীবন থেকেই হাবীবুল্লাহ সিরিজী সাহিত্য চর্চা করতেন। কবিতাই তার প্রদান ক্ষেত্র। তবে অনুবাদ, প্রবন্ধ, শিমুতোষ রচনা আর উপন্যাসো রচনা করেছেন। গত শতকের আশির দশকে জাতিয় কবিতা পরিষদ গঠনে বিমেষ ভূমিকা রাকেন। চারবার তিনি সংগঠণটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।

কবি হাবীবুল্লাহ সিরাজীর প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থের সংক্রা ৩০টির বেশি। এ ছাড়া ছড়া, উপন্যাস, প্রবন্ধ, অসুবাদ মিলিযে গ্রন্থসংখ্যা অর্ধশতাধিক । উল্লেখ যোগ্য গ্রন্থের মধ্যে রযেছে ‘দাও বৃক্ষ দাও দিন’, ‘নোনা জলে বুনো সংসার’, সিংগদরজা, ‘সারিবদ্ধ জোৎস্না’, ‘স্বপ্নহীনতার পক্ষে’ ‘একা ও করুণা’, ‘কবিরাজ বিল্ডিংয়ের ছাদ’ ইত্যাদি।

সাহিত্যকর্মে অবদানের জন্য হাবীবুল্লাহ সিরাজী একুশে পদক, বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার, জতীয় কবিতা পরিষদ পুরস্কার, আলাওল সাহিত্র পুরস্কার, বিষ্ণুদে পুরস্কারসহ দেশে-বিদেশে অনেক পুরস্কার ও সম্মাননা পেয়েছেন।

বিশিষ্ট এই কবি গত ২৪ মে রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকায় ইন্তেকাল করেন। পরদিন ২৫মে সর্বসাধারনের শ্রদ্ধা জ্ঞাপনের জন্য সকাল ১০টায় বাংলা একাডেমিতে নেওয়া হয়। সেখানে জানাজা ও শ্রদ্ধা জ্ঞাপনকরা হয়। পরে কবি হাবিবুল্লাহ সিরাজীর দ্বিতিয় জানাজা আজিমপুর কবরস্থানে অনুষ্ঠিত হবার পর সেখানেই তাকে দাফন করা হয়।