মাহবুব পিয়াল 
ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে খনন যন্ত্র দিয়ে কুমার নদের মাটি তুলে বিক্রি করার অভিযোগে এক ব্যাক্তিকে তিন লাখ টাকা জরিমানা এবং এক মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। জরিমানা অনাদায়ে ওই ব্যাক্তিকে আরও ১৫ দিন বিনাম্রম কারাদন্ড ভোগ করতে হবে।
একই আদালত মাটি কাটার কাজে সাহায্য করায় আরও তিন ব্যাক্তির প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে ১৫ দিন করে বিনাশ্রম কারাদন্ড দিয়েছেন।
গত শনিবার সন্ধ্যায় উপজেলার পরমেশ্বরদী ইউনিয়নের ধুলজোড়া গ্রামের শরীফ বাড়ির নিকটবর্তী কুমার নদের পাড়ে পরিচালিত এ অভিযানে নেতৃত্ব দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রেজাউল করিম।
আদালত সূত্রে জানা যায়, গত কয়েকদিন ধরে উপজেলার পরমেশ্বরদী ইউনিয়নের ধুলজোড়া গ্রামের শরীফ বাড়ির নিকটকুমার নদের পাড় থেকে মাটি উত্তোলন করছিলেন একই গ্রামের বাসিন্দা মো. মিজান শরীফ। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শনিবার (১৫ জানুয়ারি) বিকেলে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে কুমার নদের মাটি উত্তোলন ও বিক্রয় করার অপরাধে মো. মিজান শরীফকে তিন লক্ষ টাকা জরিমানা এবং এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়। জরিমানার টাকা অনাদায়ে তাকে আরও পনেরো দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে।
এছাড়া একাজে এক্সকেভেটর দিয়ে মাটি তোলা এবং গাড়ি দিয়ে মাটি পরিবহন করার কাজে সহযোগিতা করার অপরাধে তিনজনের প্রতেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদাযেয় ১৫ দিন করে বানাশ্রম করাদন্ড দেওয়া হয়।
এ তিন ব্যাক্তি হলেন হলেন উপজেলার চতুল ইউনিয়নের হাসামদিয়া গ্রামের টুটুল ফকির, পরমেশ্বরদী ইউনিয়নের পরমেশ্বরদী গ্রামের মোঃ মতি মোল্লা এবং ফরিদপুর সদর উপজেলার মো. সাকিব মাতুব্বর। এর মধ্যে টুটুল ফকির ও মতি মোল্লা তাৎক্ষণিকভাবে জরিমানার টাকা পরিশোধ করায় তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়। মো. সাকিব মোল্লা জরিমানার টাকা না দেওয়ায় তাকে ১৫ দিনের জন্য জেল দেওয়া হয়।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বোয়ালমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রেজাউল করিম বলেন, ২০১০ সালের বালু ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইনে এই জরিমানা ও কারাদণ্ড প্রদান করা হয়।
