ঢাকা ০৯:২৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩১ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম
তরুণরা জেগে উঠলে কোনো শক্তি দমিয়ে রাখতে পারে না: প্রধান উপদেষ্টা পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন না হলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ফরিদপুরে অবরোধ কর্মসূচির দ্বিতীয় দিনে আন্দোলনরতদের সাথে ব্যাপক সংঘর্ষ, বিভিন্ন স্থাপনায় ভাঙচুর-আগুন পিআর পদ্ধতি বাস্তবায়নসহ পাঁচ দফা দাবিতে জামায়াতের কর্মসূচি ঘোষণা ফরিদপুরের ব্যবসায়ী খান মাহবুব এর ৫ম মৃত্যু বার্ষিকী আজ ইসরায়েলি বাহিনী গাজা সিটিতে ১৬টি ভবন ধ্বংস করেছে, নিহত ৫৩ সারাদেশে ৪ কোটি ৯০ লাখ শিশুকে টাইফয়েডের টিকা দেওয়া হবে এক নজরে বিশ্ব সংবাদ: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫ আজকে কোন টিভি চ্যানেলে কোন খেলা এশিয়া কাপের সবচেয়ে হাইভোল্টেজ ম্যাচে পাকিস্তানকে গুঁড়িয়ে দিলো ভারত

ফরিদপুরে পঠন কথন বাচনে নজরুলের বিদ্রোহী কবিতার শতবর্ষ উদযাপন

  • মাহবুব পিয়াল
  • Update Time : ০২:০৬:৪১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২২
  • ১৫৪ Time View

মাহবুব পিয়াল, ফরিদপুর
ফরিদপুরে পঠন কথন বাচনে নজরুলের বিদ্রোহী কবিতার শতবর্ষ উদযাপন হয়েছে। শনিবার বেলা ১১টার দিকে ফরিদপুর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
‘তাকে চেনা মানের এক বিরাট জয়’- এ আহŸানকে সামনে রেখে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ফরিদপুর নাগরিক মঞ্চের উদ্যোগে।
এ আয়োজনে শব্দ পংক্তি ধরে বিদ্রোহী কবিতার ‘পঠন কথন ও বাচনে সূত্রধর ছিলেন বিশষ্ট নাট্য গবেষক বিপ্লব বালা।
পিন পতন নিস্তব্ধতায় বিদ্রোহী কবিতার প্রতিটি লাইন ধরে ধরে পড়ে প্রতিটি শব্দের মানে পৌরাণিক বিভিন্ন উপমার বিষয়াবলী সম্পর্কে অবগত হন শ্রেতারা।
বিপ্লব বালা বলেন, এ কবিতাটি বিশ্ব সাহিত্যের এক অমর সৃষ্টি। পুরাণকে কবিতার উপজীব্য করে নিজের ভিতরের শক্তিকে জাগিয়ে তোলার প্রেরণা এ কবিতার মধ্যে আমরা পাই।
তিনি বলেন, এ কবিতাটি আমরা গলা মোটা করে পড়ি কিন্তু ভালোমত অর্থ বুঝি না। কবিতার মধ্যে ঢুকে কবিতাকে বোঝা হয়না, যা হয় ভাসা ভাসা। তিনি বলেন, মানুষের জন্য যা কিছু ভালো তা কোন বিশেষ কোন ধর্ম, দেশ বা অঞ্চলের জন্য সত্য নয়, সব মানুষের জন্য সত্য। এ সত্য অনেক সময় আমরা বিস্মৃত হই কিংবা বুঝেও না বোঝার চেষ্টা করি।
অনুষ্ঠানে নজরুলের বিদ্রোহী কবিতা রচনা ও প্রকাশের সময়কালের (১৯২১-১৯২২) রাজিৈনতক ও আর্থ সামজিক প্রেক্ষাপট তুলে ধরে বক্তব্য দেন দৈনিক সমকাল পত্রিকার উপদেষ্টা সম্পাদক আবু সাঈদ খান।
আবু সাঈদ খান বলেন, ওই সময়কালে ভারতীয় উপমহাদেশে বৃটিশ বিরোধী আন্দোলনে কংগ্রেস ও মুসলিম লীগের তোষাণনীতিমূলক রাজনীতি শুরু করে। এ মানসিকতার বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে তরুণ সমাজ অবস্থান নেয়। এ তরুণ সমাজের অধিকাংশ ছিল হিন্দু। সমাজ সচেতন কবি নজরুল এ আন্দোলনে মুসলিম তরুণদের অংশ নেওয়ানোর উদ্যোগ নেন।
তিনি বলেন, নজরুল স্বাধীনতার প্রশ্নে ছিলেন আপোষষহীন কবি। তিনি সমাজে হিন্দু-মুসলিম দ্বন্দের প্রশ্নে, শোষণ অন্যায় অত্যাচার বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে সমাজে সকল বৈষম্যের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছেন। এজন্যই নজরুল বলতে পেরেছিলেন, ‘মহা-বিদ্যেহী রণ ক্লান্ত/ আমি সেই দিন হব শান্ত/ যবে উৎপীরতের ক্রন্দন-রোল আকাশে বাতাশে ধ্বনিবে না-/ অত্যাচারির খরড় কৃপাণ ভীম রণ-ভ‚মে রণিবে না-।’
বিদ্রোহী কবিতা নিয়ে আলোচনায় অংশ নেন ফরিদপুর সরকারি ইয়াছিন কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর শিলা রানী মন্ডল, সরকারি রাজেন্দ্র কলেজের বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম, সরকারি সারদা সুন্দরী মহিলা কলেজের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক তালুকদার আনিসুল ইসলাম।
আলোচনায় অংশ নেন ফরিদপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারি প্রধান শিক্ষক শামীমা বেগম, লেখক শ্যামল বিশ্বাস প্রমুখ।
বিদ্রোহী কবিতার কিছু অংশ পাঠ করে শোনান ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজের সাবেক অধ্যাক্ষ ডাঃ আ স ম জাহাঙ্গীর চৌধুরী টিটো।

Tag :
জনপ্রিয়

তরুণরা জেগে উঠলে কোনো শক্তি দমিয়ে রাখতে পারে না: প্রধান উপদেষ্টা

ফরিদপুরে পঠন কথন বাচনে নজরুলের বিদ্রোহী কবিতার শতবর্ষ উদযাপন

Update Time : ০২:০৬:৪১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২২

মাহবুব পিয়াল, ফরিদপুর
ফরিদপুরে পঠন কথন বাচনে নজরুলের বিদ্রোহী কবিতার শতবর্ষ উদযাপন হয়েছে। শনিবার বেলা ১১টার দিকে ফরিদপুর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
‘তাকে চেনা মানের এক বিরাট জয়’- এ আহŸানকে সামনে রেখে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ফরিদপুর নাগরিক মঞ্চের উদ্যোগে।
এ আয়োজনে শব্দ পংক্তি ধরে বিদ্রোহী কবিতার ‘পঠন কথন ও বাচনে সূত্রধর ছিলেন বিশষ্ট নাট্য গবেষক বিপ্লব বালা।
পিন পতন নিস্তব্ধতায় বিদ্রোহী কবিতার প্রতিটি লাইন ধরে ধরে পড়ে প্রতিটি শব্দের মানে পৌরাণিক বিভিন্ন উপমার বিষয়াবলী সম্পর্কে অবগত হন শ্রেতারা।
বিপ্লব বালা বলেন, এ কবিতাটি বিশ্ব সাহিত্যের এক অমর সৃষ্টি। পুরাণকে কবিতার উপজীব্য করে নিজের ভিতরের শক্তিকে জাগিয়ে তোলার প্রেরণা এ কবিতার মধ্যে আমরা পাই।
তিনি বলেন, এ কবিতাটি আমরা গলা মোটা করে পড়ি কিন্তু ভালোমত অর্থ বুঝি না। কবিতার মধ্যে ঢুকে কবিতাকে বোঝা হয়না, যা হয় ভাসা ভাসা। তিনি বলেন, মানুষের জন্য যা কিছু ভালো তা কোন বিশেষ কোন ধর্ম, দেশ বা অঞ্চলের জন্য সত্য নয়, সব মানুষের জন্য সত্য। এ সত্য অনেক সময় আমরা বিস্মৃত হই কিংবা বুঝেও না বোঝার চেষ্টা করি।
অনুষ্ঠানে নজরুলের বিদ্রোহী কবিতা রচনা ও প্রকাশের সময়কালের (১৯২১-১৯২২) রাজিৈনতক ও আর্থ সামজিক প্রেক্ষাপট তুলে ধরে বক্তব্য দেন দৈনিক সমকাল পত্রিকার উপদেষ্টা সম্পাদক আবু সাঈদ খান।
আবু সাঈদ খান বলেন, ওই সময়কালে ভারতীয় উপমহাদেশে বৃটিশ বিরোধী আন্দোলনে কংগ্রেস ও মুসলিম লীগের তোষাণনীতিমূলক রাজনীতি শুরু করে। এ মানসিকতার বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে তরুণ সমাজ অবস্থান নেয়। এ তরুণ সমাজের অধিকাংশ ছিল হিন্দু। সমাজ সচেতন কবি নজরুল এ আন্দোলনে মুসলিম তরুণদের অংশ নেওয়ানোর উদ্যোগ নেন।
তিনি বলেন, নজরুল স্বাধীনতার প্রশ্নে ছিলেন আপোষষহীন কবি। তিনি সমাজে হিন্দু-মুসলিম দ্বন্দের প্রশ্নে, শোষণ অন্যায় অত্যাচার বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে সমাজে সকল বৈষম্যের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছেন। এজন্যই নজরুল বলতে পেরেছিলেন, ‘মহা-বিদ্যেহী রণ ক্লান্ত/ আমি সেই দিন হব শান্ত/ যবে উৎপীরতের ক্রন্দন-রোল আকাশে বাতাশে ধ্বনিবে না-/ অত্যাচারির খরড় কৃপাণ ভীম রণ-ভ‚মে রণিবে না-।’
বিদ্রোহী কবিতা নিয়ে আলোচনায় অংশ নেন ফরিদপুর সরকারি ইয়াছিন কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর শিলা রানী মন্ডল, সরকারি রাজেন্দ্র কলেজের বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম, সরকারি সারদা সুন্দরী মহিলা কলেজের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক তালুকদার আনিসুল ইসলাম।
আলোচনায় অংশ নেন ফরিদপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারি প্রধান শিক্ষক শামীমা বেগম, লেখক শ্যামল বিশ্বাস প্রমুখ।
বিদ্রোহী কবিতার কিছু অংশ পাঠ করে শোনান ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজের সাবেক অধ্যাক্ষ ডাঃ আ স ম জাহাঙ্গীর চৌধুরী টিটো।