আজ ১৭ মার্চ, বুধবার। ১৯২০ সালের এই দিনে রাত আটটায় টুঙ্গিপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন শেখ পরিবারের আদরের ‘খোকা’। যিনি ধীরে ধীরে হয়ে উঠেছিলেন বাঙালির ‘মুজিব ভাই’ এবং ‘বঙ্গবন্ধু’। তাঁর হাত ধরেই আসে বাঙালির স্বাধীনতা, জন্ম নেয় বাংলাদেশ। ৫৫ বছর বয়সে কিছু বিপথগামী সেনা কেড়ে নেন তাঁর প্রাণ। কিন্তু দেশের প্রতিটি কোনায় আজ উচ্চারিত হচ্ছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাম। আজ ১০১তম জন্মদিনে তাঁর জন্মক্ষণে সারা দেশে উৎসবের ফোয়ারা ছোটাবে আতশবাজির ঝলকানি আর আলোকসজ্জা।
শোষিত, বঞ্চিত, নিপীড়িত ও নির্যাতিত বাঙালির মুক্তির ইতিহাসে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। এ মহান নেতার জন্ম না হলে স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্ন বাস্তবায়ন ছিল অসম্ভব। তাই বঙ্গবন্ধুর শততম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ২০২০ সালের ১৭ মার্চ থেকে ২০২১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়কে মুজিববর্ষ হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। জন্মদিন উৎযাপনের অনুষ্ঠানের জন্য বর্ণাঢ্য সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
সারা দেশের মতো জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০১ তম জন্মদিন পালনের জন্য ফরিদপুর শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় করা হয়েছে আলোকসজ্জা। জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, পুলিশ সুপারের নবনির্মিত কার্যালয়, জেলা পাসপোর্ট অফিস, সড়ক ও জনপথ বিভাগ, গণপূর্ত বিল্ডিং, জেলা কারাগার, কবি জসিম উদ্দিন হল, ফরিদপুর জেলা পরিষদ, শেখ জামাল স্টেডিয়াম, সিভিল সার্জনের কার্যালয়, ফরিদপুর পৌরসভা, সরকারি রাজেন্দ্র কলেজ, ফরিদপুর ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ ও জজ কোর্ট সহ সকল সরকারি দফতরের ভবনসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় করা হয়োছে ব্যাপক আলোকসজ্জা।



















বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী জাতীয় শিশু দিবসও। দিবসটি উপলক্ষে সরকারি ছুটি। বাংলাদেশ টেলিভিশন, বেসরকারি টিভি চ্যানেল এবং সংবাদপত্রগুলোতে বিশেষ আয়োজন করা হয়েছে।