ঢাকা ১১:৩৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম
ফের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ২০ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমেছে বিশ্বের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশ ভারতে শুরু হচ্ছে অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচন আজ আজ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন এবার ইরানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাল ইসরায়েল ঢাকা ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকার নামাজের সময়সূচি আজকে কোন টিভি চ্যানেলে কোন খেলা গত দুইদিন দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গায়, হিট এলার্ট জারি মিয়ানমারের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের যোগাযোগ রাখাটা নিজেদের ঝুঁকিতে ফেলে দেওয়ার মতো: সেনাপ্রধান ইরানের ওপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা করেছে যুক্তরাষ্ট্র মাত্র আট দিনের ব্যবধানে দেশের বাজারে স্বর্ণের সর্বোচ্চ দাম

ময়মনসিংহের যুদ্ধাপরাধী ৬ আসামির রায় আজ

  • অনলাইন ডেস্ক
  • Update Time : ০৪:২৯:৫৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৩
  • ৭৫ Time View

মুক্তিযুদ্ধের সময় হত্যা, গণহত্যাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার ছয় আসামির বিষয়ে আজ সোমবার (২৩ জানুয়ারি) রায় ঘোষণা করা হবে।

রবিবার (২২ জানুয়ারি) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল এ আদেশ দেন। এ সময় আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের শুনানিতে ছিলেন প্রসিকিউটর সুলতান মাহমুদ সিমন। সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার তাপস কান্তি বল। আসামিপক্ষে ছিলেন এডভোকেট গাজী এম এইচ তামিম।

মামলার আসামিরা হলেন- মো. মোখলেসুর রহমান মুকুল, মো. সাইদুল রহমান রতন, শামসুল হক ফকির, নুরুল হক ফকির, মো. সুলতান মাহমুদ ফকির এবং নাকিব হোসেন আদিল সরকার। এদের সবাই বর্তমানে পলাতক রয়েছেন।

গত বছরের ৫ ডিসেম্বর মামলাটির রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে হয়। রায় ঘোষণার জন্য যে কোনো দিন অপেক্ষমাণ (সিএভি) ঘোষণা করেছিলেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। সেই ধারাবাহিকতায় গতকাল রবিবার আজকের দিন রায় ঘোষণার দিন ধার্য করে ট্রাইব্যুনাল।

ব্যারিস্টার তাপস কান্তি বল গণমাধ্যমকে বলেন, এই মামলায় আসামি ছিলেন মোট ৯ জন। তাদের মধ্যে গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে ছিলেন দুজন। সেই দুজন ও পলাতক একজনসহ মোট তিনজন মারা গেছেন। আর বাকি ছয় আসামির সবাই পলাতক। মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে আটক, অপহরণ, নির্যাতন, হত্যাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের ছয়টি অভিযোগ আনা হয়েছে।

২০১৮ সালের ১২ জুলাই অভিযোগপত্র দাখিলের পর ওই বছরের ৫ ডিসেম্বর চার্জগঠনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় আনুষ্ঠানিক বিচার। চার্জ গঠনের সময় আসামির সংখ্যা ছিল ৯ জন। এর আগে ২০১৭ সালের ২৬ জানুয়ারি মামলার তদন্ত শুরু করে ২০১৭ সালের ৩১ ডিসেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন ট্রাইব্যুনালে জমা দেওয়া হয়।

এরপর ২০১৯ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি এই মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। ২০২০ সালের ৫ জানুয়ারির মধ্যে মামলার তদন্ত কর্মকর্তাসহ (আইও) রাষ্ট্রপক্ষের মোট ১৯ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। একই বছরের ৫ ডিসেম্বর শেষ হয় যুক্তিতর্ক।

Tag :

ফের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ২০ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমেছে

ময়মনসিংহের যুদ্ধাপরাধী ৬ আসামির রায় আজ

Update Time : ০৪:২৯:৫৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৩

মুক্তিযুদ্ধের সময় হত্যা, গণহত্যাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার ছয় আসামির বিষয়ে আজ সোমবার (২৩ জানুয়ারি) রায় ঘোষণা করা হবে।

রবিবার (২২ জানুয়ারি) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল এ আদেশ দেন। এ সময় আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের শুনানিতে ছিলেন প্রসিকিউটর সুলতান মাহমুদ সিমন। সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার তাপস কান্তি বল। আসামিপক্ষে ছিলেন এডভোকেট গাজী এম এইচ তামিম।

মামলার আসামিরা হলেন- মো. মোখলেসুর রহমান মুকুল, মো. সাইদুল রহমান রতন, শামসুল হক ফকির, নুরুল হক ফকির, মো. সুলতান মাহমুদ ফকির এবং নাকিব হোসেন আদিল সরকার। এদের সবাই বর্তমানে পলাতক রয়েছেন।

গত বছরের ৫ ডিসেম্বর মামলাটির রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে হয়। রায় ঘোষণার জন্য যে কোনো দিন অপেক্ষমাণ (সিএভি) ঘোষণা করেছিলেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। সেই ধারাবাহিকতায় গতকাল রবিবার আজকের দিন রায় ঘোষণার দিন ধার্য করে ট্রাইব্যুনাল।

ব্যারিস্টার তাপস কান্তি বল গণমাধ্যমকে বলেন, এই মামলায় আসামি ছিলেন মোট ৯ জন। তাদের মধ্যে গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে ছিলেন দুজন। সেই দুজন ও পলাতক একজনসহ মোট তিনজন মারা গেছেন। আর বাকি ছয় আসামির সবাই পলাতক। মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে আটক, অপহরণ, নির্যাতন, হত্যাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের ছয়টি অভিযোগ আনা হয়েছে।

২০১৮ সালের ১২ জুলাই অভিযোগপত্র দাখিলের পর ওই বছরের ৫ ডিসেম্বর চার্জগঠনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় আনুষ্ঠানিক বিচার। চার্জ গঠনের সময় আসামির সংখ্যা ছিল ৯ জন। এর আগে ২০১৭ সালের ২৬ জানুয়ারি মামলার তদন্ত শুরু করে ২০১৭ সালের ৩১ ডিসেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন ট্রাইব্যুনালে জমা দেওয়া হয়।

এরপর ২০১৯ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি এই মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। ২০২০ সালের ৫ জানুয়ারির মধ্যে মামলার তদন্ত কর্মকর্তাসহ (আইও) রাষ্ট্রপক্ষের মোট ১৯ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। একই বছরের ৫ ডিসেম্বর শেষ হয় যুক্তিতর্ক।