ঢাকা ১০:৪৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৫, ২১ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম
আজকের নামাজের সময়সূচি: ০৬ অক্টোবর আফগানিস্তানকে হোয়াইটওয়াশ করল বাংলাদেশ গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি হামলায় আরও অন্তত ৬৬ জন ফিলিস্তিনি নিহত এবং ২৬৫ জন আহত এক নজরে বিশ্ব সংবাদ: ৪ অক্টোবর ২০২৫ আজকে কোন টিভি চ্যানেলে কোন খেলা আজকের নামাজের সময়সূচি: ০৫ অক্টোবর ভারতীয় আধিপত্য তাড়াইয়া আমেরিকা ওয়াশিংটনের আধিপত্যের শিকার হতে চাই না- জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব পাকিস্তানের মানচিত্রে অবস্থান ধরে রাখতে রাষ্ট্রীয় মদদের সন্ত্রাসবাদ অবশ্যই বন্ধ করতে হবে: ভারতীয় সেনাপ্রধান ইসরায়েল সেনাবাহিনীকে গাজায় অভিযান সীমিত করার নির্দেশ দিয়েছে বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু সরকার ট্রাম্পের শান্তি প্রস্তাব নিয়ে কাজ করতে রাজি ইসরায়েল

রাজধানীর খুচরা ও পাইকারিতে পেঁয়াজ ও আদার দাম আরো বেড়েছে

রাজধানীর খুচরা ও পাইকারিতে পেঁয়াজ ও আদার দাম আরো বেড়েছে। এক সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে আরো পাঁচ-দশ টাকা বেড়ে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৭৫ থেকে ৮৫ টাকায়। চীনা আদার আমদানি বন্ধ থাকায় কেজিতে আরো ৩০ থেকে ৫০ টাকা বেড়ে ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ভারত, মিয়ানমার ও ভিয়েতনাম থেকে আসা কেরালা জাতের আদা বিক্রি হচ্ছে কেজি ৩০০ থেকে ৩২০ টাকা।

এদিকে রাজধানীর বাজারগুলোতে সরবরাহ বাড়ায় বেশ কিছু সবজি কেজিতে ১০ থেকে ১৫ টাকা এবং কাঁচা মরিচ কেজিতে ৪০ থেকে ৬০ টাকা পর্যন্ত কমেছে। ফার্মের ডিম গত সপ্তাহে ডজনে পাঁচ থেকে ১০ বেড়ে ১৫০ টাকায় বিক্রি হয়। এখনো এই দামেই ডিম বিক্রি হচ্ছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর কারওয়ান বাজার, শ্যামবাজার, রামপুরা, সেগুনবাগিচা ও বাড্ডা কাঁচাবাজার ঘুরে এবং ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, খুচরায় ভালোমানের পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭৫ থেকে ৮৫ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ৭০ থেকে ৮০ টাকা। রসুনের দামে পরিবর্তন নেই। আমদানি ও দেশি রসুন কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৭০ টাকায়। চীনা আদার আমদানি বন্ধ থাকায় দাম কেজিতে আরো ৩০ থেকে ৫০ টাকা বেড়েছে।

এখন বিক্রি হচ্ছে ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা কেজি। বাজারে কেরালা জাতের পর্যাপ্ত আদা আছে। তার পরও দাম বাড়তি, কেজি ৩০০ থেকে ৩২০ টাকা। কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা কেজি। গত সপ্তাহে খুচরায় কেজি বিক্রি হয় ১৬০ থেকে ১৮০ টাকা।

পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকায় বেশির ভাগ সবজির দাম কেজিতে ১০ থেকে ১৫ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে। খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, আমদানি না হলে পেঁয়াজের দাম কমার সুযোগ নেই। বরং আরো বাড়বে।

দেশীয় কৃষকের উৎপাদিত পেঁয়াজের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিতে গত ১৬ মার্চ থেকে হিলিসহ দেশের সব বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ রয়েছে। এ কারণে বর্তমানে চাহিদার পুরোটা মেটানো হচ্ছে দেশি পেঁয়াজ দিয়ে। পাইকারি বাজারে পাবনা, ফরিদপুর, রাজবাড়ী ও কুষ্টিয়া থেকে পেঁয়াজ আসছে। দেশের প্রধান পেঁয়াজ উৎপাদনকারী এসব জেলাগুলো কৃষকরাই এখন ৬০ টাকার নিচে পেঁয়াজ বিক্রি করছেন না।

আমাদের প্রতিনিধিরা জানিয়েছেন, পাবনায় গত বুধবার কৃষকরা পাইকারদের কাছে পেঁয়াজ বিক্রি করেছেন ৬৫ থেকে ৬৭ টাকা কেজি দরে। ফরিদপুর ও রাজবাড়ীতে কৃষক পর্যায়ে বিক্রি হয়েছে ৬০ থেকে ৬২ টাকায়।

রাজধানীর কারওয়ান বাজার ও শ্যামবাজারে গতকাল পাইকারি পর্যায়ে ভালোমানের পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হয়েছে ৭০ থেকে ৭৫ টাকায়। খুচরা ব্যবসায়ীরা বিক্রি করছেন ৮০ থেকে ৮৫ টাকা।

সবজির বাজার : 

বাজারে সবজির সরবরাহ বাড়ায় সপ্তাহের ব্যবধানে দাম কিছুটা কমেছে। দাম কমে কাঁচা মরিচ কেজি ১২০, বেগুন ৫০ থেকে ৭০, পটোল ৬০, টমেটো ৫০, শসা ৪০ থেকে ৬০ টাকা, ঢেঁড়শ ৫০, করলা ৬০ থেকে ৭০, বরবটি ৭০ থেকে ৮০, পেঁপে ৬০ থেকে ৭০, চালকুমড়া প্রতিটি ৫০ থেকে ৬০, মুলা কেজি ৪০, কাঁকরোল ৭০ থেকে ৮০, ঝিঙা ও চিচিঙ্গা ৬০ থেকে ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

রাজধানীর সেগুনবাগিচার কাঁচাবাজারে কথা হয় বেসরকারি এক প্রতিষ্ঠানে কর্মরত নাঈম ইসলামের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘গত সপ্তাহের তুলনায় সবজির দাম কেজিতে কিছুটা কমলেও এখনো তুলনামূলকভাবে বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে। বাজারে সবজির দাম আরো কমা দরকার।’

রাজধানীর উত্তর বাড্ডার সবজি ব্যবসায়ী মো. মেহেদী গতকাল কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘এখন কারওয়ান বাজারে সবজির আমদানি বেড়েছে, যার কারণে বেশির ভাগ সবজির দাম কমে গেছে। সবচেয়ে বেশি কমেছে কাঁচা মরিচের দাম।’

মুরগির বাজার : 

রাজধানীর বাজারগুলোতে মুরগির দাম কিছুটা কমে এখন ব্রয়লার মুরগি কেজি ২০০ টাকা ও সোনালি মুরগি ৩০০ থেকে ৩২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

কারওয়ান বাজারের কিচেন মার্কেটের ব্রয়লার হাউসের ব্যবসায়ী আমজাদ হোসেন গতকাল কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘বেশ কয়েক দিন ধরেই মুরগির দাম কমতির দিকে। এখন খুচরায় ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে কেজি ১৯০ থেকে ২০০ টাকায়। সোনালি মুরগি প্রকারভেদে কেজি ৩০০ থেকে ৩২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বাজারে মুরগির চহিদা কমার কারণে পাইকারিতে মুরগির দর কম। ফলে খুচরা পর্যায়েও কম দামে বিক্রি হচ্ছে।’

Tag :
জনপ্রিয়

আজকের নামাজের সময়সূচি: ০৬ অক্টোবর

রাজধানীর খুচরা ও পাইকারিতে পেঁয়াজ ও আদার দাম আরো বেড়েছে

Update Time : ০৩:১১:০১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ মে ২০২৩

রাজধানীর খুচরা ও পাইকারিতে পেঁয়াজ ও আদার দাম আরো বেড়েছে। এক সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে আরো পাঁচ-দশ টাকা বেড়ে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৭৫ থেকে ৮৫ টাকায়। চীনা আদার আমদানি বন্ধ থাকায় কেজিতে আরো ৩০ থেকে ৫০ টাকা বেড়ে ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ভারত, মিয়ানমার ও ভিয়েতনাম থেকে আসা কেরালা জাতের আদা বিক্রি হচ্ছে কেজি ৩০০ থেকে ৩২০ টাকা।

এদিকে রাজধানীর বাজারগুলোতে সরবরাহ বাড়ায় বেশ কিছু সবজি কেজিতে ১০ থেকে ১৫ টাকা এবং কাঁচা মরিচ কেজিতে ৪০ থেকে ৬০ টাকা পর্যন্ত কমেছে। ফার্মের ডিম গত সপ্তাহে ডজনে পাঁচ থেকে ১০ বেড়ে ১৫০ টাকায় বিক্রি হয়। এখনো এই দামেই ডিম বিক্রি হচ্ছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর কারওয়ান বাজার, শ্যামবাজার, রামপুরা, সেগুনবাগিচা ও বাড্ডা কাঁচাবাজার ঘুরে এবং ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, খুচরায় ভালোমানের পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭৫ থেকে ৮৫ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ৭০ থেকে ৮০ টাকা। রসুনের দামে পরিবর্তন নেই। আমদানি ও দেশি রসুন কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৭০ টাকায়। চীনা আদার আমদানি বন্ধ থাকায় দাম কেজিতে আরো ৩০ থেকে ৫০ টাকা বেড়েছে।

এখন বিক্রি হচ্ছে ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা কেজি। বাজারে কেরালা জাতের পর্যাপ্ত আদা আছে। তার পরও দাম বাড়তি, কেজি ৩০০ থেকে ৩২০ টাকা। কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা কেজি। গত সপ্তাহে খুচরায় কেজি বিক্রি হয় ১৬০ থেকে ১৮০ টাকা।

পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকায় বেশির ভাগ সবজির দাম কেজিতে ১০ থেকে ১৫ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে। খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, আমদানি না হলে পেঁয়াজের দাম কমার সুযোগ নেই। বরং আরো বাড়বে।

দেশীয় কৃষকের উৎপাদিত পেঁয়াজের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিতে গত ১৬ মার্চ থেকে হিলিসহ দেশের সব বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ রয়েছে। এ কারণে বর্তমানে চাহিদার পুরোটা মেটানো হচ্ছে দেশি পেঁয়াজ দিয়ে। পাইকারি বাজারে পাবনা, ফরিদপুর, রাজবাড়ী ও কুষ্টিয়া থেকে পেঁয়াজ আসছে। দেশের প্রধান পেঁয়াজ উৎপাদনকারী এসব জেলাগুলো কৃষকরাই এখন ৬০ টাকার নিচে পেঁয়াজ বিক্রি করছেন না।

আমাদের প্রতিনিধিরা জানিয়েছেন, পাবনায় গত বুধবার কৃষকরা পাইকারদের কাছে পেঁয়াজ বিক্রি করেছেন ৬৫ থেকে ৬৭ টাকা কেজি দরে। ফরিদপুর ও রাজবাড়ীতে কৃষক পর্যায়ে বিক্রি হয়েছে ৬০ থেকে ৬২ টাকায়।

রাজধানীর কারওয়ান বাজার ও শ্যামবাজারে গতকাল পাইকারি পর্যায়ে ভালোমানের পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হয়েছে ৭০ থেকে ৭৫ টাকায়। খুচরা ব্যবসায়ীরা বিক্রি করছেন ৮০ থেকে ৮৫ টাকা।

সবজির বাজার : 

বাজারে সবজির সরবরাহ বাড়ায় সপ্তাহের ব্যবধানে দাম কিছুটা কমেছে। দাম কমে কাঁচা মরিচ কেজি ১২০, বেগুন ৫০ থেকে ৭০, পটোল ৬০, টমেটো ৫০, শসা ৪০ থেকে ৬০ টাকা, ঢেঁড়শ ৫০, করলা ৬০ থেকে ৭০, বরবটি ৭০ থেকে ৮০, পেঁপে ৬০ থেকে ৭০, চালকুমড়া প্রতিটি ৫০ থেকে ৬০, মুলা কেজি ৪০, কাঁকরোল ৭০ থেকে ৮০, ঝিঙা ও চিচিঙ্গা ৬০ থেকে ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

রাজধানীর সেগুনবাগিচার কাঁচাবাজারে কথা হয় বেসরকারি এক প্রতিষ্ঠানে কর্মরত নাঈম ইসলামের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘গত সপ্তাহের তুলনায় সবজির দাম কেজিতে কিছুটা কমলেও এখনো তুলনামূলকভাবে বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে। বাজারে সবজির দাম আরো কমা দরকার।’

রাজধানীর উত্তর বাড্ডার সবজি ব্যবসায়ী মো. মেহেদী গতকাল কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘এখন কারওয়ান বাজারে সবজির আমদানি বেড়েছে, যার কারণে বেশির ভাগ সবজির দাম কমে গেছে। সবচেয়ে বেশি কমেছে কাঁচা মরিচের দাম।’

মুরগির বাজার : 

রাজধানীর বাজারগুলোতে মুরগির দাম কিছুটা কমে এখন ব্রয়লার মুরগি কেজি ২০০ টাকা ও সোনালি মুরগি ৩০০ থেকে ৩২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

কারওয়ান বাজারের কিচেন মার্কেটের ব্রয়লার হাউসের ব্যবসায়ী আমজাদ হোসেন গতকাল কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘বেশ কয়েক দিন ধরেই মুরগির দাম কমতির দিকে। এখন খুচরায় ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে কেজি ১৯০ থেকে ২০০ টাকায়। সোনালি মুরগি প্রকারভেদে কেজি ৩০০ থেকে ৩২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বাজারে মুরগির চহিদা কমার কারণে পাইকারিতে মুরগির দর কম। ফলে খুচরা পর্যায়েও কম দামে বিক্রি হচ্ছে।’