ঢাকা ০৯:৩৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১১ অক্টোবর ২০২৫, ২৬ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম
ট্রাম্পকে নোবেল শান্তি পুরস্কার উৎসর্গ করলেন মারিয়া কোরিনা মাচাদো ট্রাম্পকে নোবেল না দেয়া নোবেল কমিটির রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত: হোয়াইট হাউজ চলতি বছর শান্তিতে নোবেল পেয়েছেন ভেনেজুয়েলার মারিয়া কোরিনা মাচাদো এক নজরে বিশ্ব সংবাদ: ১০ অক্টোবর ২০২৫ আজকে কোন টিভি চ্যানেলে কোন খেলা আজকের নামাজের সময়সূচি: ১১ অক্টোবর ফিলিপাইনে শক্তিশালী ভূমিকম্পের জেরে ইন্দোনেশিয়ার উপকূলে ছোট আকারের সুনামি আঘাত হেনেছে যুদ্ধবিরতি চুক্তি অনুমোদনের পরও গাজায় নতুন করে বিমান হামলা করেছে ইসরায়েলি বাহিনী গাজায় যুদ্ধবিরতি আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যকর হয়েছে হামাসের সঙ্গে হওয়া যুদ্ধবিরতি চুক্তির অনুমোদন করেছে ইসরায়েল সরকার

রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে না নিলে অশান্তির আশঙ্কা রয়েছে : পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন

রাখাইন থেকে জোরপূর্বক বিতাড়িত সকল রোহিঙ্গাকে ফিরিয়ে নিতে চলতি বছরে প্রত্যাবাসন শুরু করতে মিয়ানমারকে আহ্বান জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। তিনি এও বলেছেন, রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে না নিলে অশান্তির আশঙ্কা রয়েছে।

রোববার (৩ জানুয়ারি) নিজ দফতরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের এসব কথা জানান।

নানা চেষ্টার পর বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের সাড়ে তিন বছর পরও রোহিঙ্গাদের একজনকেও মিয়ানমারের রাখাইনে ফেরত পাঠানো যায়নি। তারপরও বাংলাদেশের এ বছর রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু করতে চান।

এ বিষয়ে রোববার নিজ কার্যালয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন আমাদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। আমরা এ বছর প্রত্যাবাসন শুরু করতে চাই।

নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানিয়ে ১ জানুয়ারি মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সেলরের দপ্তরের মন্ত্রী টিন্ট সোয়েকে চিঠি লিখেছি। চিঠিতে তাঁকে লিখেছি, এ বছর প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শুরু হোক।

মিয়ানমারকে রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেওয়ার অঙ্গীকারের বিষয়টি মনে করিয়ে দিয়ে মিয়ানমারের মন্ত্রী টিন্ট সোয়েকে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেন বলেন, আপনারা রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তা দিয়ে ফিরিয়ে নেবেন বলেছেন। প্রত্যাবাসনের পরিবেশ তৈরির কথা দিয়েছেন। কিন্তু কোনো অগ্রগতি হয়নি। এ জন্য দরকার রাজনৈতিক সদিচ্ছা।কাজেই নববর্ষে আমাদের প্রত্যাশা, আপনারা কথা রাখেন। অতীতে কথা রেখেছেন। নিজেদের লোকগুলো নিয়ে যান। কাজে লাগবে। আর তাদের ফিরিয়ে না নিলে অশান্তির আশঙ্কা আছে।

এক প্রশ্নের উত্তরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, চীনের পাশাপাশি জাপানের কাছ থেকেও বাংলাদেশ প্রত্যাবাসনের বিষয়ে সহযোগিতা চায়।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জাপানের অনেক বড় আকারের বিনিয়োগ আছে মিয়ানমারে। তাই তাদের আমরা মিয়ানমারের সঙ্গে আলোচনা করতে অনুরোধ জানিয়েছি। জাপান আমাদের মিয়ানমারের সঙ্গে আলোচনার বিষয়ে আশ্বস্ত করেছে।

Tag :
জনপ্রিয়

ট্রাম্পকে নোবেল শান্তি পুরস্কার উৎসর্গ করলেন মারিয়া কোরিনা মাচাদো

রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে না নিলে অশান্তির আশঙ্কা রয়েছে : পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন

Update Time : ০৪:৪৮:৪৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩ জানুয়ারী ২০২১

রাখাইন থেকে জোরপূর্বক বিতাড়িত সকল রোহিঙ্গাকে ফিরিয়ে নিতে চলতি বছরে প্রত্যাবাসন শুরু করতে মিয়ানমারকে আহ্বান জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। তিনি এও বলেছেন, রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে না নিলে অশান্তির আশঙ্কা রয়েছে।

রোববার (৩ জানুয়ারি) নিজ দফতরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের এসব কথা জানান।

নানা চেষ্টার পর বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের সাড়ে তিন বছর পরও রোহিঙ্গাদের একজনকেও মিয়ানমারের রাখাইনে ফেরত পাঠানো যায়নি। তারপরও বাংলাদেশের এ বছর রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু করতে চান।

এ বিষয়ে রোববার নিজ কার্যালয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন আমাদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। আমরা এ বছর প্রত্যাবাসন শুরু করতে চাই।

নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানিয়ে ১ জানুয়ারি মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সেলরের দপ্তরের মন্ত্রী টিন্ট সোয়েকে চিঠি লিখেছি। চিঠিতে তাঁকে লিখেছি, এ বছর প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শুরু হোক।

মিয়ানমারকে রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেওয়ার অঙ্গীকারের বিষয়টি মনে করিয়ে দিয়ে মিয়ানমারের মন্ত্রী টিন্ট সোয়েকে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেন বলেন, আপনারা রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তা দিয়ে ফিরিয়ে নেবেন বলেছেন। প্রত্যাবাসনের পরিবেশ তৈরির কথা দিয়েছেন। কিন্তু কোনো অগ্রগতি হয়নি। এ জন্য দরকার রাজনৈতিক সদিচ্ছা।কাজেই নববর্ষে আমাদের প্রত্যাশা, আপনারা কথা রাখেন। অতীতে কথা রেখেছেন। নিজেদের লোকগুলো নিয়ে যান। কাজে লাগবে। আর তাদের ফিরিয়ে না নিলে অশান্তির আশঙ্কা আছে।

এক প্রশ্নের উত্তরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, চীনের পাশাপাশি জাপানের কাছ থেকেও বাংলাদেশ প্রত্যাবাসনের বিষয়ে সহযোগিতা চায়।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জাপানের অনেক বড় আকারের বিনিয়োগ আছে মিয়ানমারে। তাই তাদের আমরা মিয়ানমারের সঙ্গে আলোচনা করতে অনুরোধ জানিয়েছি। জাপান আমাদের মিয়ানমারের সঙ্গে আলোচনার বিষয়ে আশ্বস্ত করেছে।