ঢাকা ০১:৫৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৮ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সাবেক খাদ্য মন্ত্রী গৌর চন্দ্র বালার ১৬তম মৃত্যুবার্ষিকী শুক্রবার

মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক, যুক্তফ্রন্ট সরকারের বন ও খাদ্য মন্ত্রী এবং বাংলােদেশের সংবিধানের অন্যতম রচয়িতা গৌর চন্দ্র বালার ১৬তম মৃত্যুবার্ষিকী আগামিকাল ১৮ই জুন শুক্রবার। গৌর চন্দ্র বালার মৃত্যুবার্ষিকী পালন উপলক্ষে প্রয়াত গৌর চন্দ্র বালার ফরিদপুর শহরের ঝিলটুলিস্থ বাস ভবন ‘বালা-বাড়িতে” পারিবারিক মন্ডলে গীতা পাঠ ও পূজা-অর্চণার আয়োজন করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত ২০০৫ সালের এই দিনে তিনি ফরিদপুর শহরের ঝিলটুলিস্থ বাসভবনে ৮২ বছরে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, তিন ছেলে ও দুই মেয়ে রেখে গেছেন।

এক বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনের অধিকারী ছিলেন গৌর চন্দ্র বালা। ১৯৪৫ সালে পাকিস্তান প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচনে ক্ষমতাশীন মুসলিম লীগের মন্ত্রী দ্বারকানাথ বাড়ুরীর জামানত বাজেয়াপ্ত করে নির্বাচিত হন তিনি। ১৯৫৬ সালে তিনি যুক্তফ্রন্ট মন্ত্রী পরিষদে প্রথম বন ও পরে খাদ্য মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৬২ থেকে ১৯৬৯ পর্যন্ত স্বৈরাচারী আইউব বিরোধী আন্দোলনে তিনি সক্রিয়ভাবে অংশ নেন। সত্তুরের নির্বাচনে তিনি তৎকালীন ফরিদপুর-০৩ (বালিয়াকান্দি- মধুখালী) আসন থেকে প্রাদেষিক পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন।১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময তিনি দক্ষিণ- পশ্চিমাঞ্চলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ত পালন করেন।

Tag :
জনপ্রিয়

সাবেক খাদ্য মন্ত্রী গৌর চন্দ্র বালার ১৬তম মৃত্যুবার্ষিকী শুক্রবার

Update Time : ১২:২৮:০৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ জুন ২০২১

মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক, যুক্তফ্রন্ট সরকারের বন ও খাদ্য মন্ত্রী এবং বাংলােদেশের সংবিধানের অন্যতম রচয়িতা গৌর চন্দ্র বালার ১৬তম মৃত্যুবার্ষিকী আগামিকাল ১৮ই জুন শুক্রবার। গৌর চন্দ্র বালার মৃত্যুবার্ষিকী পালন উপলক্ষে প্রয়াত গৌর চন্দ্র বালার ফরিদপুর শহরের ঝিলটুলিস্থ বাস ভবন ‘বালা-বাড়িতে” পারিবারিক মন্ডলে গীতা পাঠ ও পূজা-অর্চণার আয়োজন করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত ২০০৫ সালের এই দিনে তিনি ফরিদপুর শহরের ঝিলটুলিস্থ বাসভবনে ৮২ বছরে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, তিন ছেলে ও দুই মেয়ে রেখে গেছেন।

এক বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনের অধিকারী ছিলেন গৌর চন্দ্র বালা। ১৯৪৫ সালে পাকিস্তান প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচনে ক্ষমতাশীন মুসলিম লীগের মন্ত্রী দ্বারকানাথ বাড়ুরীর জামানত বাজেয়াপ্ত করে নির্বাচিত হন তিনি। ১৯৫৬ সালে তিনি যুক্তফ্রন্ট মন্ত্রী পরিষদে প্রথম বন ও পরে খাদ্য মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৬২ থেকে ১৯৬৯ পর্যন্ত স্বৈরাচারী আইউব বিরোধী আন্দোলনে তিনি সক্রিয়ভাবে অংশ নেন। সত্তুরের নির্বাচনে তিনি তৎকালীন ফরিদপুর-০৩ (বালিয়াকান্দি- মধুখালী) আসন থেকে প্রাদেষিক পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন।১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময তিনি দক্ষিণ- পশ্চিমাঞ্চলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ত পালন করেন।