ঢাকা ০৭:০১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৮ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম
নিরপেক্ষতার জন্য তফসিলের আগেই উপদেষ্টা পরিষদ থেকে দুই ছাত্র প্রতিনিধিকে পদত্যাগের দাবি জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় আগামী ২৪ ঘণ্টায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে জাকসু নির্বাচন: সন্ধ্যা নয়, ফলাফল হতে পারে রাত ১০টার পর জাকসু নির্বাচন : দায়িত্ব পালনকালে শিক্ষিকার মৃত্যু কয়েক সপ্তাহ ধরেই চড়া সবজির বাজার এখনো উত্তাপ ছড়াচ্ছে, বেড়েছে মুরগির দাম কোনো ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র হবে না: নেতানিয়াহু ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে নির্বাচনের বিকল্প আমাদের হাতে নেই: প্রধান উপদেষ্টা জাকসুর ভোট গণনা শুরু, প্রদর্শিত হচ্ছে এলইডি স্ক্রিনে এক নজরে বিশ্ব সংবাদ: ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ আজকে কোন টিভি চ্যানেলে কোন খেলা

ফরিদপুরে গণ ধর্ষণের শিকার নারী

ফরিদপুরে ৪০ বছর বয়সী এক নারী গণ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। অসুস্থ অবস্থায় ওই নারী বর্তমানে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

এ ব্যাপারে থানায় মামলা হয়েছে। পুলিশ এ ঘটনার সাথে জড়িত পাঁচ জনকে গ্রেফতার করেছে। এর মধ্যে একজন ইতিমধ্যে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন।

গত শনিবার (১২জুন) বিকেল ৩টার দিকে মধুখালী উপজেলার গাজনা ইউনিয়নের আশাপুর দাসপাড়া এলাকায় একটি মৎস খামারে দোচালা ঘরে এ ধর্ষনের ঘটনা ঘটে। এ ব্যাপারে ওই নারী গত রবিবার রাতে মধুখালী থানায় পাঁচজনকে আসামি করে ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলাদায়ের করেছেন।

গ্রেফতার হওয়া ওই পাঁচ আসামি হলেন, মধুখালী গাজনা ইউনিয়নের আশাপুর গ্রামের মো: ইমদাদুল (৪০) , ফরহাদ শেখ (৩০), জুয়েল শেখ (২৮) এবং রাজবাড়ী জেলার বালিয়াকান্দি উপজেলার চরপাড়া খামার মাগুরা গ্রামের লিটন মোল্লা (৩৯) ও ফরিদ মোল্লা (২৪)।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মধুখালী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রথীন্দ্রনাথ তরফদার জানান, গত রবিবার রাতে মামলা হওয়ার পর ওই রাতেই অভিযান চালিয়ে মো: ইমদাদুলকে গ্রেফতার করা হয়। তিনি দায় স্বীকার করে গত সোমবার বিকেলে জেলায় পাঁচ নম্বর আমলি আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। তিনি আরও বলেন, পরে গত সোমবার এ মামলার বাকি চারজন আসামিকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের মঙ্গলবার আদালতের সোর্পদ করা হয়। এ দিকে ওসিসিতে চিকিৎসাধীন ওই নারীর শরীর বর্তমানে উন্নতির দিকে। মঙ্গলবার ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার শারীরিক পরীক্ষা করা হয়েছে।

মামলার এজহারে ওই নারী জানিয়েছেন, তিনি একজন বীমা কর্মী। বীমা খোলার কথা বলে ইমদাদুল তাকে আশাপুরের ওই মৎস খামারে ডেকে নেন। এর পর তাকে একটি টিনের ঘরে নিয়ে তিনজন ধর্ষণ করেন। তাদের একাজে সাহায্য করেছে অপর দুই ব্যক্তি। এক পর্যায়ে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন।

Tag :
জনপ্রিয়

নিরপেক্ষতার জন্য তফসিলের আগেই উপদেষ্টা পরিষদ থেকে দুই ছাত্র প্রতিনিধিকে পদত্যাগের দাবি জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব

ফরিদপুরে গণ ধর্ষণের শিকার নারী

Update Time : ০৬:১১:২৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ জুন ২০২১

ফরিদপুরে ৪০ বছর বয়সী এক নারী গণ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। অসুস্থ অবস্থায় ওই নারী বর্তমানে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

এ ব্যাপারে থানায় মামলা হয়েছে। পুলিশ এ ঘটনার সাথে জড়িত পাঁচ জনকে গ্রেফতার করেছে। এর মধ্যে একজন ইতিমধ্যে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন।

গত শনিবার (১২জুন) বিকেল ৩টার দিকে মধুখালী উপজেলার গাজনা ইউনিয়নের আশাপুর দাসপাড়া এলাকায় একটি মৎস খামারে দোচালা ঘরে এ ধর্ষনের ঘটনা ঘটে। এ ব্যাপারে ওই নারী গত রবিবার রাতে মধুখালী থানায় পাঁচজনকে আসামি করে ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলাদায়ের করেছেন।

গ্রেফতার হওয়া ওই পাঁচ আসামি হলেন, মধুখালী গাজনা ইউনিয়নের আশাপুর গ্রামের মো: ইমদাদুল (৪০) , ফরহাদ শেখ (৩০), জুয়েল শেখ (২৮) এবং রাজবাড়ী জেলার বালিয়াকান্দি উপজেলার চরপাড়া খামার মাগুরা গ্রামের লিটন মোল্লা (৩৯) ও ফরিদ মোল্লা (২৪)।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মধুখালী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রথীন্দ্রনাথ তরফদার জানান, গত রবিবার রাতে মামলা হওয়ার পর ওই রাতেই অভিযান চালিয়ে মো: ইমদাদুলকে গ্রেফতার করা হয়। তিনি দায় স্বীকার করে গত সোমবার বিকেলে জেলায় পাঁচ নম্বর আমলি আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। তিনি আরও বলেন, পরে গত সোমবার এ মামলার বাকি চারজন আসামিকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের মঙ্গলবার আদালতের সোর্পদ করা হয়। এ দিকে ওসিসিতে চিকিৎসাধীন ওই নারীর শরীর বর্তমানে উন্নতির দিকে। মঙ্গলবার ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার শারীরিক পরীক্ষা করা হয়েছে।

মামলার এজহারে ওই নারী জানিয়েছেন, তিনি একজন বীমা কর্মী। বীমা খোলার কথা বলে ইমদাদুল তাকে আশাপুরের ওই মৎস খামারে ডেকে নেন। এর পর তাকে একটি টিনের ঘরে নিয়ে তিনজন ধর্ষণ করেন। তাদের একাজে সাহায্য করেছে অপর দুই ব্যক্তি। এক পর্যায়ে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন।