ফরিদপুরে করোনা সনাক্তের সংখ্যা ১১ হাজার ছাড়ালো। মোট মৃত্যু হয়েছে ১৮৮ জনের।
ফরিদপুরের করোনা পরিস্থিতির অবনতি অব্যাহত রয়েছে। গত সোমবার নতুন করে আরও ৯৩ জনের করোনা সনাক্ত হয়েছে। এর ফলে জেলায় করোনা সনাক্তের সংখ্যা এগারো হাজার অতিক্রম করেছে।
এদিকে জেলার করোনা পরিস্থিতির অবনতির মুখে গত সোমবার বিকেল ৩টায় করোনা নিয়ন্ত্রণ কমিটির জরুরী সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ফরিদপুর করোনা সনাক্তকরণ ল্যাব সূত্রে জানা গেছে , সোমার সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৪০ জনের করোনা সনাক্তকরণ পরীক্ষা করে সনাক্ত হয়েছে ৯৩ জনের। করোনা সনা্ক্তের হার ৩৮ দশমিক ৭৫ ভাগ।
গত রবিবার শনাক্তের হার ছিল ৫৫ দশমিক ০৬ ভাগ। এর আগের দিন গত শনিবার সনাক্তের হার ছিল ৪৫ দশমিক ১৬ ভাগ। গত শুক্রবার ১১ জুন সনাক্তের হার ছিল ২৪ দশমিক ৬৩ ভাগ। গত বৃহস্পতিবার সনাক্তের হার ছিল ৩০ দশমিক ০৬ জন।
ফরিদপুরের সিভিল সার্জন ডাঃ সিদ্দীকুর রহমান বলেন, ফরিদপুরের করোনা ফরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। পাশাপাশি পরিস্থিতি অস্থিতিশীল। একদিন বাড়ছে তো আরেকদিন কমছে। গত রবিবার ৫৫ দশমিক০৬ ভাগ অথচ সোমবার সনাক্তের হার ৩৮ দশমিক ৭৫ ভাগ। শনিবার শনাক্তের হার ছিল ৪৫ দশমিক ১৬ ভাগ অথচ শুক্রবার সনাক্তের হার ছির ২৪ দশমিক ৬৩। এর কারণটি আমরা ঠিক বুঝে উঠতে পারছি না। ফরিদপুর বিএমএর’র সভাপতি আ স ম জাহাঙ্গীর চৌধুরী বলেন, করোনা সনাক্তের হার ৩০ ভাগ অতিক্রম করলেই সে ঘটনাএক সিরিয়াস ঘটনা হিসেবে আখ্যায়িত করে সব মহলের সতৃক না হলে মহা বিপদ ঘটে যেতে পারে।
জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে ফরিদপুরে সোমবার পর্যন্ত করোনা সনাক্ত হয়েছে ১১ হাজার ৯০ জনের। সুস্থ হয়েছেন ১০ হাজার ৩৪৭ জন। ফরিদপুরে এ পর্যন্ত মারা গেছেন ১৮৮ জন। এর মধ্যে ফরিদপরের বাসিন্দা ৬৯ জন। বাকিরা আশেপাশের বিভিন্ন জেলার।
ফরিদপুরে করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতাল সূত্র জানা গেছে সোমবার এ হাসপাতালে ৯১ জন করোনা সনাক্ত ব্যক্তি চিকিৎসাধীন ছিলেন। এর মধ্যে আইসিউ চিকিৎসাধীন রয়েছেন ১৩।
এদিকে সোমবার (১৪জুন) বিকেল ৩টায় করোনা নিয়ন্ত্রণ কমিটির জরুরী সভা অনুষ্ঠিত হয়। জুম অ্যাপসের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত এ সভায় করোনা রোগীদের চিকিৎসা সেবা প্রদান করার জন্য করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালের পাশাপাশি ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতালকে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়, আক্রান্ত রোগীদের বিচ্ছিন্নকরণ নিশ্চিত করা সহ নজরদারি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া যায় কিনা সে বিষয়ে সিভিল সার্জনকে অনুরোধ জানানো হয় এবং দেশে চলমান বিধিনিষেধ কঠোর ভাবে প্রতিপালন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
ওই সভায় ফরিদপুরের পুরিশ সুপার মো আলিমুজ্জামান বলেন, লত ডাউন করতে হলে কঠোর লকডাউন করতে হবে। কাউকে সাত দিনের জন্য বাড়ি থেকে বের হতে দেয়া যাবে না। ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, ব্যাংক, বীমা খোলা রেখে করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলা করা যাবে না।
ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক অতুল সরকার বলেন, সকলকে নিজ নিজ অবস্থানে থেকে কাজ করতে হবে। এখন থেকে রাত ৮টার পর ঔষধ, হোটেল, নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী ছাড়া সকল প্রকার দোকান বন্ধ থাকার নির্দেশ কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করা হবে। ফরিদপুরের সার্বিক করোনা পরিস্থিতি উপজেলা ভিত্তিক মূল্যায়নের মাধ্যমে আগামী দুই এক দিনের মধ্যে পরবর্তী সভা আয়োজন করে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।