ঢাকা ১০:৩৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৫, ২০ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম
ভারতীয় আধিপত্য তাড়াইয়া আমেরিকা ওয়াশিংটনের আধিপত্যের শিকার হতে চাই না- জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব পাকিস্তানের মানচিত্রে অবস্থান ধরে রাখতে রাষ্ট্রীয় মদদের সন্ত্রাসবাদ অবশ্যই বন্ধ করতে হবে: ভারতীয় সেনাপ্রধান ইসরায়েল সেনাবাহিনীকে গাজায় অভিযান সীমিত করার নির্দেশ দিয়েছে বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু সরকার ট্রাম্পের শান্তি প্রস্তাব নিয়ে কাজ করতে রাজি ইসরায়েল জার্মানির আকাশে গত ২৪ ঘণ্টায় একাধিক ড্রোন; বন্ধ হলো মিউনিখ বিমানবন্দর যুক্তরাষ্ট্রের নতুন শান্তি প্রস্তাবে জবাব দিয়েছে হামাস, ইসরায়েলকে বোমাবর্ষণ থামাতে ট্রাম্পের আহ্বান ট্রাম্পের ২০ দফা গাজা পরিকল্পনার বিষয়ে জবাব দিয়েছে হামাস এক নজরে বিশ্ব সংবাদ: ৩ অক্টোবর ২০২৫ আজকে কোন টিভি চ্যানেলে কোন খেলা আজকের নামাজের সময়সূচি: ০৪ অক্টোবর

শনাক্তের ৭৮ শতাংশ ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট: বিপর্যয় ডেকে আনছে, আইইডিসিআর

দেশে চলতি বছরের এপ্রিলের শুরুতে করোনাভাইরাসের ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের অস্তিত্ব মেলে। শনাক্ত হওয়ার পর থেকে দেশে প্রতিদিনই ভারতীয় ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণের হার বাড়ছে। দেশে করোনা আক্রান্তদের নমুনায় ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট মে মাসে ৪৫ শতাংশ ও জুন মাসে ৭৮ শতাংশ পাওয়া যায়। বর্তমানে দেশে করোনা সংক্রমণে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের প্রাধান্য দেখা যাচ্ছে বলে জানিয়েছে রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর)।

রোববার (৪ জুলাই) প্রতিষ্ঠানের এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়।

আইইডিসিআর বলছে, ২০২০ এর ডিসেম্বর থেকে ২০২১ এর ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সব করোনার নমুনায় আলফা ভ্যারিয়েন্ট পাওয়া গেছে। ২০২১ এর মার্চে মোট নমুনার ৮২ শতাংশ বিটা ভ্যারিয়েন্ট এবং ১৭ শতাংশ আলফা ভ্যারিয়েন্ট পাওয়া গেছে। এপ্রিল মাসেও করোনা সংক্রমিতদের মধ্যে বিটা ভ্যারিয়েন্টের প্রাধান্য ছিল।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, করোনা নমুনা পরীক্ষায় যে ধরনের ভ্যারিয়েন্টই পাওয়া যাক না কেন, তা প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণের জন্য সঠিকভাবে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণই করাই একমাত্র উপায়। এর পাশাপাশি করোনা টিকা প্রাপ্তির সঙ্গে সঙ্গে প্রত্যেককে তা নেওয়া প্রয়োজন।

আইইডিসিআর জানায়, বিশ্বময় করোনা সংক্রমণ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভাইরাসটি পরিবর্তিত হয়ে নতুন বৈশিষ্ট্য ধারণ করছে, যা ভ্যারিয়েন্ট নামে পরিচিত। রোগীর মৃত্যুহার ও হাসপাতালে ভর্তির হার, রোগ পরবর্তী ৩ টিকা গ্রহণ পরবর্তী রোগ প্রতিরোধ সক্ষমতা বিবেচনায় কিছু কিছু ভ্যারিয়েন্টকে ‘ভ্যারিয়েন্ট অব কনসার্ন’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এর মধ্যে রয়েছে আলফা, বিটা, গামা ও ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, বাংলাদেশে সংক্রমিত মানুষের মধ্যে ভাইরাসটির ভ্যারিয়েন্ট শনাক্তের জন্য দেশে এ রোগটি শনাক্ত হওয়ার শুরু থেকে আইইডিসিআর, আইসিডিডিআরবি যৌথভাবে কাজ করে আসছে। তারই ধারাবাহিকতায় দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে গত ডিসেম্বর ২০২০ থেকে জুন ২০২১ পর্যন্ত মোট ৬৪৬ টি সংগৃহীত নমুনার জিনোম সিকোয়েন্সিং সম্পন্ন করা হয়েছে। এসব নমুনায় আলফা ভ্যারিয়েন্ট, বিটা ভ্যারিয়েন্ট, ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট, ইটা ভ্যারিয়েন্ট, বি ১.১.৬১৮ ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হয়েছে।

বাংলাদেশ
যে দেশটির সাথে ভারতের দীর্ঘ সীমান্ত সেই বাংলাদেশে মে মাসের মাঝামাঝি থেকে নতুন করে সংক্রমণ বাড়তে শুরু করে। সরকারি এক সমীক্ষায় দেখা গেছে ২৫ মে থেকে ৭ জুন পর্যন্ত রাজধানী ঢাকায় যতজন কোভিড পজিটিভ রোগী পাওয়া গেছে, তাদের ৬৮ শতাংশই ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত ছিল।
সংক্রমণ সামাল দিতে বাংলাদেশে এখন দেশজুড়ে কঠোর লক-ডাউন চলছে।
বাংলাদেশ অন্য অনেক দেশের আগেই টিকা কর্মসূচি শুরু করলেও, গতি খুবই মন্থর। ভ্যাকসিনের অভাবে এপ্রিলে টিকা দেওয়া স্থগিত করে দিতে হয়। ভারত থেকে পাওয়া এবং কেনা অ্যাস্ট্রাজেনেকার ১৬ লাখ ডোজ টিকা বাংলাদেশে গেলেও, ভারত রপ্তানি বন্ধ করে দিলে শুরু হয় সংকট।
চীনের কাছ থেকে অনুদান হিসাবে পাওয়া কিছু ভ্যাকসিন দিয়ে ২২ জুন থেকে স্বল্প মাত্রায় টিকাদান শুরু করে বাংলাদেশ। অবশ্য সরকার বলছে তাদের কাছে সিনোফার্ম, মডার্না এবং ফাইজারের ৫৭ লাখ ডোজ টিকা এসেছে যা দিয়ে যত দ্রুত সম্ভব নতুন করে পুরোমাত্রায় টিকা দেওয়া শুরু হবে।
তবে জুনের শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার ৩ শতাংশেরও কম মানুষের দুই ডোজ টিকা হয়েছে।
Tag :
জনপ্রিয়

ভারতীয় আধিপত্য তাড়াইয়া আমেরিকা ওয়াশিংটনের আধিপত্যের শিকার হতে চাই না- জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব

শনাক্তের ৭৮ শতাংশ ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট: বিপর্যয় ডেকে আনছে, আইইডিসিআর

Update Time : ০৬:৪৭:৩৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ৪ জুলাই ২০২১

দেশে চলতি বছরের এপ্রিলের শুরুতে করোনাভাইরাসের ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের অস্তিত্ব মেলে। শনাক্ত হওয়ার পর থেকে দেশে প্রতিদিনই ভারতীয় ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণের হার বাড়ছে। দেশে করোনা আক্রান্তদের নমুনায় ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট মে মাসে ৪৫ শতাংশ ও জুন মাসে ৭৮ শতাংশ পাওয়া যায়। বর্তমানে দেশে করোনা সংক্রমণে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের প্রাধান্য দেখা যাচ্ছে বলে জানিয়েছে রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর)।

রোববার (৪ জুলাই) প্রতিষ্ঠানের এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়।

আইইডিসিআর বলছে, ২০২০ এর ডিসেম্বর থেকে ২০২১ এর ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সব করোনার নমুনায় আলফা ভ্যারিয়েন্ট পাওয়া গেছে। ২০২১ এর মার্চে মোট নমুনার ৮২ শতাংশ বিটা ভ্যারিয়েন্ট এবং ১৭ শতাংশ আলফা ভ্যারিয়েন্ট পাওয়া গেছে। এপ্রিল মাসেও করোনা সংক্রমিতদের মধ্যে বিটা ভ্যারিয়েন্টের প্রাধান্য ছিল।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, করোনা নমুনা পরীক্ষায় যে ধরনের ভ্যারিয়েন্টই পাওয়া যাক না কেন, তা প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণের জন্য সঠিকভাবে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণই করাই একমাত্র উপায়। এর পাশাপাশি করোনা টিকা প্রাপ্তির সঙ্গে সঙ্গে প্রত্যেককে তা নেওয়া প্রয়োজন।

আইইডিসিআর জানায়, বিশ্বময় করোনা সংক্রমণ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভাইরাসটি পরিবর্তিত হয়ে নতুন বৈশিষ্ট্য ধারণ করছে, যা ভ্যারিয়েন্ট নামে পরিচিত। রোগীর মৃত্যুহার ও হাসপাতালে ভর্তির হার, রোগ পরবর্তী ৩ টিকা গ্রহণ পরবর্তী রোগ প্রতিরোধ সক্ষমতা বিবেচনায় কিছু কিছু ভ্যারিয়েন্টকে ‘ভ্যারিয়েন্ট অব কনসার্ন’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এর মধ্যে রয়েছে আলফা, বিটা, গামা ও ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, বাংলাদেশে সংক্রমিত মানুষের মধ্যে ভাইরাসটির ভ্যারিয়েন্ট শনাক্তের জন্য দেশে এ রোগটি শনাক্ত হওয়ার শুরু থেকে আইইডিসিআর, আইসিডিডিআরবি যৌথভাবে কাজ করে আসছে। তারই ধারাবাহিকতায় দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে গত ডিসেম্বর ২০২০ থেকে জুন ২০২১ পর্যন্ত মোট ৬৪৬ টি সংগৃহীত নমুনার জিনোম সিকোয়েন্সিং সম্পন্ন করা হয়েছে। এসব নমুনায় আলফা ভ্যারিয়েন্ট, বিটা ভ্যারিয়েন্ট, ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট, ইটা ভ্যারিয়েন্ট, বি ১.১.৬১৮ ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হয়েছে।

বাংলাদেশ
যে দেশটির সাথে ভারতের দীর্ঘ সীমান্ত সেই বাংলাদেশে মে মাসের মাঝামাঝি থেকে নতুন করে সংক্রমণ বাড়তে শুরু করে। সরকারি এক সমীক্ষায় দেখা গেছে ২৫ মে থেকে ৭ জুন পর্যন্ত রাজধানী ঢাকায় যতজন কোভিড পজিটিভ রোগী পাওয়া গেছে, তাদের ৬৮ শতাংশই ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত ছিল।
সংক্রমণ সামাল দিতে বাংলাদেশে এখন দেশজুড়ে কঠোর লক-ডাউন চলছে।
বাংলাদেশ অন্য অনেক দেশের আগেই টিকা কর্মসূচি শুরু করলেও, গতি খুবই মন্থর। ভ্যাকসিনের অভাবে এপ্রিলে টিকা দেওয়া স্থগিত করে দিতে হয়। ভারত থেকে পাওয়া এবং কেনা অ্যাস্ট্রাজেনেকার ১৬ লাখ ডোজ টিকা বাংলাদেশে গেলেও, ভারত রপ্তানি বন্ধ করে দিলে শুরু হয় সংকট।
চীনের কাছ থেকে অনুদান হিসাবে পাওয়া কিছু ভ্যাকসিন দিয়ে ২২ জুন থেকে স্বল্প মাত্রায় টিকাদান শুরু করে বাংলাদেশ। অবশ্য সরকার বলছে তাদের কাছে সিনোফার্ম, মডার্না এবং ফাইজারের ৫৭ লাখ ডোজ টিকা এসেছে যা দিয়ে যত দ্রুত সম্ভব নতুন করে পুরোমাত্রায় টিকা দেওয়া শুরু হবে।
তবে জুনের শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার ৩ শতাংশেরও কম মানুষের দুই ডোজ টিকা হয়েছে।