ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে এক তরুণীর অস্ত্রোপচারের পর পেটের মধ্যেই কাঁচি রেখে সেলাই করে দেয়ার ৬৪৩ দিন পর অপসারণের ঘটনায় দুই কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে সরকারকে আইনি নোটিশ দেয়া হয়েছে।
আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) আইনজীবী মো: শাহীনুজ্জামান ও আইনজীবী সৈয়দা নাসরিন রেজিস্ট্রি ডাকযোগে বুধবার এ নোটিশ পাঠান।
স্বাস্থ্য সচিব, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক, ফরিদপুরের সিভিল সার্জন, ফরিদুপরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব কলেজ হসপিটালের পরিচালক, সার্জারি ইউনিটের অধ্যাপক ড. রতন কুমার সাহা, রেজিস্ট্রার ডা: সালেহ মো: সৌরভ এবং সার্জারি বিভাগ ইউনিট ২-এর ডা: সরফউদ্দিন বরাবরে এ নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
পরে শাহীনুজ্জামান বলেন, দায়ীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ এবং তাদের অবহেলার কারণে ভিকটিমকে ২ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দেয়ার জন্য এ নোটিশ দেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে পদক্ষেপ না নিলে হাইকোর্টে রিট করা হবে।
ওই তরুণীর নাম মনিরা খাতুন (১৯)। তিনি গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের ঝুটিগ্রামের বাসিন্দা খাইরুল মিয়ার মেয়ে। দুই ভাই ও দুই বোনের মনে মনিরা তৃতীয়।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ওই হাসপাতালের পরিচালক সাইফুর রহমান বলেন, ঘটনাটি কীভাবে ঘটেছে, তা খতিয়ে দেখার জন্য একটি কমিটি করা হবে। কমিটির সিদ্ধান্তের আলোকে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল কলেজ সূত্রে জানা যায়, ২০২০ সালের ৩ মার্চ ওই হাসপাতালের সার্জারি বিভাগ ইউনিট ২-এর সহযোগী অধ্যাপক মোল্লা সরফউদ্দিনের অধীন ভর্তি ও অস্ত্রোপচার করা হয় মনিরার। তরুণীটি মেজিনট্রিক ফিস্টজনিত (রক্তের দলা) সমস্যা নিয়ে ভর্তি হয়েছিলেন। ওই সময় তরুণীর পেটের মধ্যে চিকিৎসকদের অজ্ঞাতসারে ছয় ইঞ্চি লম্বা মিডিয়াম সাইজ অর্টারি ফরসেপ রেখে সেলাই করা হয়।