ঢাকা ০৯:০৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০৮ অক্টোবর ২০২৫, ২৩ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম
ভোক্তা পর্যায়ে বোতলজাত এলপিজির দাম কমেছে চলতি বছর পদার্থ বিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন ৩ মার্কিন বিজ্ঞানী ইসরায়েলে হামাসের হামলার ২ বছর পূর্তিতে গাজা থেকে প্রজেক্টাইল নিক্ষেপ ভারত স্বৈরাচারকে আশ্রয় দিয়ে বিরাগভাজন হলে আমাকে আমার দেশের মানুষের সঙ্গেই থাকতে হবে: তারেক রহমান এক নজরে বিশ্ব সংবাদ: ৬ অক্টোবর ২০২৫ আজকে কোন টিভি চ্যানেলে কোন খেলা বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি নির্বাচিত হলেন আমিনুল ইসলাম বুলবুল আজকের নামাজের সময়সূচি: ০৭ অক্টোবর ফরিদপুরে পদ্মা নদী ভাঙ্গন রোধে জিও ব্যাগ ডাম্পিং কাজের উদ্বোধন ফরিদপুরে এস আলমের নিয়োগ দেয়া অযোগ্যদের ছাটাই করে দক্ষ কর্মী নিয়োগের দাবিতে মানববন্ধন

হোসেনি দালানে বোমা হামলা : জেএমবির ২ জনের কারাদণ্ড

  • অনলাইন ডেস্ক
  • Update Time : ০৭:২৬:০৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ মার্চ ২০২২
  • ২০৩ Time View

পবিত্র আশুরা উপলক্ষে তাজিয়া মিছিলের প্রস্তুতিকালে ২০১৫ সালে পুরান ঢাকার হোসেনি দালানে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জেএমবি বোমা হামলার ঘটনায় করা মামলায় দুইজনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়ে রায় দিয়েছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার এই আদেশ দেন ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মজিবুর রহমান। এই মামলায় ছয়জনকে খালাস দিয়েছেন আদালত।

কারাদণ্ড পাওয়া দুই আসামির একজন হলেন আরমান ওরফে মনির।

তাকে দশ বছর কারাদণ্ড দিয়েছেন। আরেক আসামি কবীর হোসেন ওরফে রাশেদ ওরফে আসিফের সাত বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। খালাস পাওয়া আসামিরা হলেন- আবু সাঈদ ওরফে সালমান, রুবেল ইসলাম ওরফে সুমন ওরফে সজীব, চান মিয়া, ওমর ফারুক, হাফেজ আহসান উল্লাহ মাহমুদ ও শাহজালাল।

 

এর আগে সকাল ১১টা ২৩ মিনিটে আসামিদের আদালতে তোলা হয়। এরপর ১১টা ৩৪ মিনিটে আসামিদের উপস্থিতিতে বিচারক রায় পড়া শুরু করেন।

২০১৫ সালের ২৩ অক্টোবর রাতে হোসেনি দালান এলাকায় তাজিয়া মিছিলের প্রস্তুতিকালে সেখানে জঙ্গিরা বোমা হামলা চালায়। ওই ঘটনায় রাজধানীর চকবাজার থানায় এসআই জালাল উদ্দিন মামলা করেন। প্রথমে মামলাটি চকবাজার থানার পুলিশ তদন্ত করে। পরে এর তদন্তের দায়িত্ব ডিবিতে হস্তান্তর করা হয়। তদন্ত শেষে ডিবি দক্ষিণের পরিদর্শক মো. শফিউদ্দিন শেখ ২০১৬ সালের অক্টোবরে ১০ জঙ্গিকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এরপর মামলাটি ঢাকার অষ্টম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতে বদলি করা হয়।

২০১৭ সালের ৩১ মে ১০ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর পর ওই আদালতে মামলার বাদী মো. জালাল উদ্দিন সাক্ষ্য দেন। এরপর ২০১৮ সালের ১৪ মে মামলাটি সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালে বদলি হয়। ট্রাইব্যুনালে ১০ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়। এরই মধ্যে অভিযোগপত্র ১০ আসামির মধ্যে জাহিদ হাসান ও মাসুদ রানার পক্ষে তাঁদের আইনজীবীরা আদালতে দাবি করেন, ওই আসামিরা নাবালক। এর সপক্ষে জন্মসনদ, পরীক্ষার সনদ জমা দেওয়া হয় ট্রাইব্যুনালে।

Tag :
জনপ্রিয়

ভোক্তা পর্যায়ে বোতলজাত এলপিজির দাম কমেছে

হোসেনি দালানে বোমা হামলা : জেএমবির ২ জনের কারাদণ্ড

Update Time : ০৭:২৬:০৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ মার্চ ২০২২

পবিত্র আশুরা উপলক্ষে তাজিয়া মিছিলের প্রস্তুতিকালে ২০১৫ সালে পুরান ঢাকার হোসেনি দালানে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জেএমবি বোমা হামলার ঘটনায় করা মামলায় দুইজনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়ে রায় দিয়েছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার এই আদেশ দেন ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মজিবুর রহমান। এই মামলায় ছয়জনকে খালাস দিয়েছেন আদালত।

কারাদণ্ড পাওয়া দুই আসামির একজন হলেন আরমান ওরফে মনির।

তাকে দশ বছর কারাদণ্ড দিয়েছেন। আরেক আসামি কবীর হোসেন ওরফে রাশেদ ওরফে আসিফের সাত বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। খালাস পাওয়া আসামিরা হলেন- আবু সাঈদ ওরফে সালমান, রুবেল ইসলাম ওরফে সুমন ওরফে সজীব, চান মিয়া, ওমর ফারুক, হাফেজ আহসান উল্লাহ মাহমুদ ও শাহজালাল।

 

এর আগে সকাল ১১টা ২৩ মিনিটে আসামিদের আদালতে তোলা হয়। এরপর ১১টা ৩৪ মিনিটে আসামিদের উপস্থিতিতে বিচারক রায় পড়া শুরু করেন।

২০১৫ সালের ২৩ অক্টোবর রাতে হোসেনি দালান এলাকায় তাজিয়া মিছিলের প্রস্তুতিকালে সেখানে জঙ্গিরা বোমা হামলা চালায়। ওই ঘটনায় রাজধানীর চকবাজার থানায় এসআই জালাল উদ্দিন মামলা করেন। প্রথমে মামলাটি চকবাজার থানার পুলিশ তদন্ত করে। পরে এর তদন্তের দায়িত্ব ডিবিতে হস্তান্তর করা হয়। তদন্ত শেষে ডিবি দক্ষিণের পরিদর্শক মো. শফিউদ্দিন শেখ ২০১৬ সালের অক্টোবরে ১০ জঙ্গিকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এরপর মামলাটি ঢাকার অষ্টম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতে বদলি করা হয়।

২০১৭ সালের ৩১ মে ১০ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর পর ওই আদালতে মামলার বাদী মো. জালাল উদ্দিন সাক্ষ্য দেন। এরপর ২০১৮ সালের ১৪ মে মামলাটি সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালে বদলি হয়। ট্রাইব্যুনালে ১০ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়। এরই মধ্যে অভিযোগপত্র ১০ আসামির মধ্যে জাহিদ হাসান ও মাসুদ রানার পক্ষে তাঁদের আইনজীবীরা আদালতে দাবি করেন, ওই আসামিরা নাবালক। এর সপক্ষে জন্মসনদ, পরীক্ষার সনদ জমা দেওয়া হয় ট্রাইব্যুনালে।