সাম্প্রতিক সময়ে দেশে সহিংস আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে হামলা ঠেকাতে সিলেট জেলার সকল থানা, ফাঁড়ি ও স্থাপনায় বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। বসানো হয়েছে এলএমজি পোস্ট। সেই সাথে ঝুঁকি বিবেচনায় প্রতিটি থানায় ৩০ থেকে ৫০ জন সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৮ এপ্রিল) সকাল থেকে যেকোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে জেলার গুরুত্বপূর্ণ সড়কে চেকপোস্ট বসিয়ে কড়া নজরদারি করছে পুলিশ। সরকারি স্থাপনার নিরাপত্তা নিশ্চিতে পুলিশের বিভিন্ন মোবাইল টিম সার্বক্ষণিক প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
গেল কয়েক দিন ধরে দেশের বিভিন্ন স্থানে একটি উগ্রবাদীগোষ্ঠী নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে। সরকারি-বেসরকারি স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে তারা। ভাংচুর ও আগুন দিয়ে রাষ্ট্রীয় ও ব্যক্তি-মালিকানাধীন সম্পদ নষ্ট করেছে। এরই ধারাবাহিকতায় এ ধরনের হামলা ঠেকাতে এ ব্যবস্থা নেয়ার জন্য পুলিশ সদর দপ্তর থেকে সারা দেশে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশের এক কর্মকর্তা।
বৃহস্পতিবার দুপুরে সিলেট মহানগর পুলিশের (এসএমপি) কোতোয়ালি থানায় গিয়ে দেখা যায়, থানার গোলঘরে সিমেন্টের বস্তা দিয়ে তৈরি করা হয়েছে পোস্ট। সেখানে দায়িত্বরত এক পুলিশ সদস্য এলএমজি তাক করে বসে আছেন। এছাড়া অতিরিক্ত ৫০ জন্য পুলিশ সদস্য থানায় মোতায়েন করা হয়েছে। ঝুঁকি বিবেচনা করে কিছু থানার ছাদে ও সামনের ফাঁকা স্থানে এ ধরনের পোস্ট দেখা যায়।
সব থানা, ফাঁড়ি ও স্থাপনায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রতিটি স্থাপনায় এলএমজি পোস্ট বসানো হয়েছে। ইতোমধ্যে সব স্থাপনায় এলএমজি পোস্ট বসানোর কাজ শেষ হয়েছে।
শুধু থানা ফাঁড়ি নয় সরকারি সব স্থাপনার নিরাপত্তা নিশ্চিতে বাড়তি ফোর্স তৈরি রাখা হয়েছে। কেউ অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটানোর চেষ্টা করলে কঠোর হস্তে দমন করা হবে বলে তিনি জানান।
একই অবস্থা সিলেট জেলার ১১টি থানাতেও এলএমজি পোস্ট বসানোর কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার ফরিদ উদ্দিন। তিনি জানান, ইতোমধ্যেই সব থানায় এলএমজি সরবরাহ করা হয়েছে। এছাড়া ঝুঁকির মাত্রা বিবেচনায় প্রতিটি থানায় অতিরিক্ত ফোর্স মোতায়েন করা হয়েছে। দুষ্কৃতকারীরা কোনো ধরনের হামলা চালানোর চেষ্টা করে আর পার পাবে না। প্রয়োজনীয় সব ধরনের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।