ঢাকা ০৫:৪৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৫, ১৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম
এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ নিশ্চিত করল টাইগাররা বাংলাদেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বজায় রাখতে ‘অক্ষম’ অন্তর্বর্তীকালীন সরকার; অন্যের ওপর দোষ চাপানো: ভারত ড. ইউনূসের জাতিসংঘ সফর: যে ৬ সাফল্যের কথা তুলে ধরলেন প্রেস সচিব এনসিপি প্রতীক হিসেবে শাপলা বরাদ্দ পেতে দলটি একটি ব্যাখ্যা দিয়েছে আগামী বছর আমিরাতে পবিত্র রমজান মাস শুরু হতে পারে বৃহস্পতিবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) ইসরায়েলি অবরোধ ভাঙতে নতুন করে রওনা হয়েছে আরও ১১টি জাহাজের বহর আগামী ৫ দিন বজ্রসহ ভারি বৃষ্টি হতে পারে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ফুটবলে প্রথমবারের মতো রেফারির সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করতে কোচের হাতে উঠল ‘গ্রিন কার্ড’ অসহনীয় মাছ-মাংসের দাম; বৃষ্টিকে পুঁজি করে বাড়িয়েছে সব ধরনের সবজির দাম ফ্লোটিলার ত্রাণ বহনকারী একমাত্র নৌযানটিও ভূমধ্যসাগরে ইসরাইলি বাহিনীর হাতে আটক হয়েছে

ফরিদপুরে মানি লন্ডারিং মামলায় এবার গ্রেফতার ১৭ নং ওয়াড পৌর কাউন্সিলর

ফরিদপুরের আলোচিত দুই ভাই সাজ্জাদ হোসেন বরকত ও ইমতিয়াজ হাসান রুবেলের বিরুদ্ধে ঢাকার সিআইডির দুই হাজার কোটি টাকার মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় ফরিদপুর পৌরসভার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ মো: জলিল (৪৮) গ্রেফতার হয়েছেন।
ফরিদপুর কোতয়ালী থানার পুলিশ বৃহস্পতিবার দুপুর ১টার দিকে ফরিদপুর শহরের রেলস্টেশন বাজার এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে।
শেখ মো: জলিল শহরের লক্ষ্মীপুর মহল্লার ডেকরেটশন ব্যবসায়ী মৃত শেখ মো: আলাউদ্দিনের ছেলে। তিনি আগামী ১০ ডিসেম্বর ফরিদপুর পৌরসভার নির্বাচনে ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদে নির্বাচনের জন্য মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ফরিদপুর কোতয়ালী থানার ওসি মোরশেদ আলম বলেন, বরকত-রুবেলের নামে দায়ের করা মানি লন্ডারিং মামলায় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) ঢাকার চাহিদা অনুযায়ী ওই মামলার আসামি হিসেবে জলিলকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
ওসি জানান, বৃহস্পতিবার বিকেলে জলিলকে জেলার চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়। তাকে পরে সিআইডি ঢাকা তাকে ফরিদপুর জেল থেকে তাদের হেফাজতে নেবে বলে জানান তিনি।
জানা গেছে, জলিলের বিরুদ্ধে টেপাখোলা গরু হাটে চাঁদাবাজীর অভিযোগে ফরিদপুর কোতয়ালী থানায় একটি মামলা রয়েছে। তবে ওই মামলায় তিনি বর্তমানে জামিনে আছেন। এছাড়া তার বিরুদ্ধে জমি দখল ও রেলওয়ের জমি দখল করে নিজে ব্যবহার ও ভাড়া দেয়ার অভিযোগ রয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ২৬ জুন সিআইডির পরিদর্শক এস এম মিরাজ আল মাহমুদ ঢাকার কাফরুল থানায় মানি লন্ডালিংয়ের অভিযোগ এনে বরকত ও রুবেলের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। এ মানি লন্ডারিং মামলায় ওই দুই ভায়ের বিরুদ্ধে দুই হাজার কোটি টাকার সম্পদ অবৈধ উপায়ে উপার্জন ও পাচারের অভিযোগ আনা হয়। ২০১২ সালের মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন সংশোধনী ২০১৫ এর ৪(২) ধারায় এ মামলাটি দায়ের করা হয়। এ মামলাটি তদন্ত করছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পশ্চিম বাংলাদেশ পুলিশ সিআইডি ঢাকার সহকারী পুলিশ সুপার উত্তম কুমার বিশ্বাস।
উত্তম কুমার বিশ্বাস বলেন, বরকত ও রুবেলসহ মানি লন্ডারিং মামলায় এ পর্যন্ত ১০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার এ মামলার আসামি হিসেবে ফরিদপুরে শেখ মো: জলিলকে গ্রেফতার করেছে কোতয়ালী থানা পুলিশ। তাকে জলিলকে নিয়ে এ মামলায় গ্রেফতারের সংখ্যা হবে ১১ জন।
Tag :
জনপ্রিয়

এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ নিশ্চিত করল টাইগাররা

ফরিদপুরে মানি লন্ডারিং মামলায় এবার গ্রেফতার ১৭ নং ওয়াড পৌর কাউন্সিলর

Update Time : ০৭:৫২:২০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ নভেম্বর ২০২০
ফরিদপুরের আলোচিত দুই ভাই সাজ্জাদ হোসেন বরকত ও ইমতিয়াজ হাসান রুবেলের বিরুদ্ধে ঢাকার সিআইডির দুই হাজার কোটি টাকার মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় ফরিদপুর পৌরসভার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ মো: জলিল (৪৮) গ্রেফতার হয়েছেন।
ফরিদপুর কোতয়ালী থানার পুলিশ বৃহস্পতিবার দুপুর ১টার দিকে ফরিদপুর শহরের রেলস্টেশন বাজার এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে।
শেখ মো: জলিল শহরের লক্ষ্মীপুর মহল্লার ডেকরেটশন ব্যবসায়ী মৃত শেখ মো: আলাউদ্দিনের ছেলে। তিনি আগামী ১০ ডিসেম্বর ফরিদপুর পৌরসভার নির্বাচনে ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদে নির্বাচনের জন্য মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ফরিদপুর কোতয়ালী থানার ওসি মোরশেদ আলম বলেন, বরকত-রুবেলের নামে দায়ের করা মানি লন্ডারিং মামলায় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) ঢাকার চাহিদা অনুযায়ী ওই মামলার আসামি হিসেবে জলিলকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
ওসি জানান, বৃহস্পতিবার বিকেলে জলিলকে জেলার চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়। তাকে পরে সিআইডি ঢাকা তাকে ফরিদপুর জেল থেকে তাদের হেফাজতে নেবে বলে জানান তিনি।
জানা গেছে, জলিলের বিরুদ্ধে টেপাখোলা গরু হাটে চাঁদাবাজীর অভিযোগে ফরিদপুর কোতয়ালী থানায় একটি মামলা রয়েছে। তবে ওই মামলায় তিনি বর্তমানে জামিনে আছেন। এছাড়া তার বিরুদ্ধে জমি দখল ও রেলওয়ের জমি দখল করে নিজে ব্যবহার ও ভাড়া দেয়ার অভিযোগ রয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ২৬ জুন সিআইডির পরিদর্শক এস এম মিরাজ আল মাহমুদ ঢাকার কাফরুল থানায় মানি লন্ডালিংয়ের অভিযোগ এনে বরকত ও রুবেলের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। এ মানি লন্ডারিং মামলায় ওই দুই ভায়ের বিরুদ্ধে দুই হাজার কোটি টাকার সম্পদ অবৈধ উপায়ে উপার্জন ও পাচারের অভিযোগ আনা হয়। ২০১২ সালের মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন সংশোধনী ২০১৫ এর ৪(২) ধারায় এ মামলাটি দায়ের করা হয়। এ মামলাটি তদন্ত করছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পশ্চিম বাংলাদেশ পুলিশ সিআইডি ঢাকার সহকারী পুলিশ সুপার উত্তম কুমার বিশ্বাস।
উত্তম কুমার বিশ্বাস বলেন, বরকত ও রুবেলসহ মানি লন্ডারিং মামলায় এ পর্যন্ত ১০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার এ মামলার আসামি হিসেবে ফরিদপুরে শেখ মো: জলিলকে গ্রেফতার করেছে কোতয়ালী থানা পুলিশ। তাকে জলিলকে নিয়ে এ মামলায় গ্রেফতারের সংখ্যা হবে ১১ জন।