ঢাকা ১০:১৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৭ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ফরিদপুরের শহীদ জায়া, শহীদ জননী  চারুবালা বিশ্বাস মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সাথে দেখা করতে চান

ফরিদপুর চরভদ্রাসন উপজেলার গাজীরটেক ইউনিয়নের রমেশবালা ডাঙ্গী গ্রামের শহীদ জায়া, শহীদ জননী  চারুবালা বিশ্বাস কে মুক্তিযুদ্ধে তার অবদানের জন্য ফরিদপুরের জেলা প্রশাসন চারুবালা বিশ্বাসকে বীরঙ্গনা হিসেবে স্বীকৃতি প্রদানের জন্য ইতি মধ্যেই  মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রনালয়ে সুপারিশ পাঠিয়েছেন। অন্যদিকে ৭০ বছর বয়সে জীবনের শেষ প্রান্তে এসে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার সাথে দেখা করার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন চারুবালা বিশ্বাস ।

আজ সোমবার সকাল ১১টায় ফরিদপুর শহরের ষ্টেশন রোডস্থ্য কার্যালয়ে শহীদ স্মৃতি সংরক্ষণ কমিটির উদ্যোগে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে শহীদ জননী চারুবালা বিশ্বাস  বলেন,স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় পাকিস্তানী হায়নারা আমার উপর অমানবিক নির্যাতন চালায়।আমার স্বামী  চন্দ্র কান্ত বিশ্বাসকে গুলি করে হত্যা করে  এমনকি আমার কোলে থাকা দুই বছরের শিশু কন্যা পাবর্তীকে কয়েকদফা আছড়ায়ে মেরে ফেলে।ঘটে যাওয়া সেই বিভিষিকাময় দিনগুলো আজও আমার চোখে ভাসে। ভয়াল সেই দিনের কথা মনে পরলে এখনো আতকে উঠি।

বতমানে চারুবালা বিশ্বাস  ভাইয়ের বাড়িতে খুপড়ি ঘড়ে থেকে শাকস্বজী বিক্রি ও ভিক্ষাবৃত্তি করে চলছে তারজীবন। জীবনের শেষ প্রান্তে এসে বঙ্গবন্ধুর কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সাথে দেখা করে মরতে চান তিনি । সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ফরিদপুর শহীদ স্মৃতি সংরক্ষণ কমিটির প্রতিষ্ঠাতা আহবায়ক মোঃ সাজ্জাদুল হক সাজ্জাদ, সদস্য সচিব উৎপল সরকার সাগর, সিনিয়র যুগ্ন- আহবায়ক নুর মোহাম্মদ, যুগ্ম আহ্বায়ক জাকারিয়া মাতুব্বর জাকির, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ নুরুল ইসলাম মিন্টু, কার্যকরী সদস্য বাবলু গোস্বামী, বীনা সাজ্জাদ লক্ষী প্রমুখ। এসময় সংগঠনের আহবায়ক মোঃ সাজ্জাদুল হক সাজ্জাদ  শহীদ পরিবারের সদস্যাদের রাষ্ট্রিয় স্বীকৃতির দাবী জানান ।

Tag :

ফরিদপুরের শহীদ জায়া, শহীদ জননী  চারুবালা বিশ্বাস মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সাথে দেখা করতে চান

Update Time : ০৮:৩৯:২৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৬ এপ্রিল ২০২১

ফরিদপুর চরভদ্রাসন উপজেলার গাজীরটেক ইউনিয়নের রমেশবালা ডাঙ্গী গ্রামের শহীদ জায়া, শহীদ জননী  চারুবালা বিশ্বাস কে মুক্তিযুদ্ধে তার অবদানের জন্য ফরিদপুরের জেলা প্রশাসন চারুবালা বিশ্বাসকে বীরঙ্গনা হিসেবে স্বীকৃতি প্রদানের জন্য ইতি মধ্যেই  মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রনালয়ে সুপারিশ পাঠিয়েছেন। অন্যদিকে ৭০ বছর বয়সে জীবনের শেষ প্রান্তে এসে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার সাথে দেখা করার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন চারুবালা বিশ্বাস ।

আজ সোমবার সকাল ১১টায় ফরিদপুর শহরের ষ্টেশন রোডস্থ্য কার্যালয়ে শহীদ স্মৃতি সংরক্ষণ কমিটির উদ্যোগে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে শহীদ জননী চারুবালা বিশ্বাস  বলেন,স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় পাকিস্তানী হায়নারা আমার উপর অমানবিক নির্যাতন চালায়।আমার স্বামী  চন্দ্র কান্ত বিশ্বাসকে গুলি করে হত্যা করে  এমনকি আমার কোলে থাকা দুই বছরের শিশু কন্যা পাবর্তীকে কয়েকদফা আছড়ায়ে মেরে ফেলে।ঘটে যাওয়া সেই বিভিষিকাময় দিনগুলো আজও আমার চোখে ভাসে। ভয়াল সেই দিনের কথা মনে পরলে এখনো আতকে উঠি।

বতমানে চারুবালা বিশ্বাস  ভাইয়ের বাড়িতে খুপড়ি ঘড়ে থেকে শাকস্বজী বিক্রি ও ভিক্ষাবৃত্তি করে চলছে তারজীবন। জীবনের শেষ প্রান্তে এসে বঙ্গবন্ধুর কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সাথে দেখা করে মরতে চান তিনি । সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ফরিদপুর শহীদ স্মৃতি সংরক্ষণ কমিটির প্রতিষ্ঠাতা আহবায়ক মোঃ সাজ্জাদুল হক সাজ্জাদ, সদস্য সচিব উৎপল সরকার সাগর, সিনিয়র যুগ্ন- আহবায়ক নুর মোহাম্মদ, যুগ্ম আহ্বায়ক জাকারিয়া মাতুব্বর জাকির, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ নুরুল ইসলাম মিন্টু, কার্যকরী সদস্য বাবলু গোস্বামী, বীনা সাজ্জাদ লক্ষী প্রমুখ। এসময় সংগঠনের আহবায়ক মোঃ সাজ্জাদুল হক সাজ্জাদ  শহীদ পরিবারের সদস্যাদের রাষ্ট্রিয় স্বীকৃতির দাবী জানান ।