ঢাকা ০৪:২০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৮ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ফরিদপুরে ডুবে যাওয়ার ১৮ ঘন্টা পর নদীতে ভেসে উঠল শিশুর মরদেহ

ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় বারাশিয়া নদীতে ডুবে যাওয়ার ১৮ ঘন্টা পর ফাতেমা খানম নামে ৩ বছরের এক শিশুর লাশ ভেসে ওঠে নদীতে। গতকাল বুধবার (৯ জুন) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে শিশুটির বাড়ির সামনে বারাসিয়া নদী থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।

আলফাডাঙ্গা সদর ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান এ কে এম আহাদুল হাসান বলেন,   ফাতেমা উপজেলার সদর ইউনিয়নের জাটিগ্রামের ফায়েক মোল্লার মেয়ে। ফায়েক মোল্লা রিক্সা ভ্যানে করে ঝালমুড়ি বিক্রি করে সংসার চালায়। তাঁর দুই ছেলে-মেয়ের মধ্যে ছোট ফাতেমা।ফাতেমা শারীরিক প্রতিবন্ধী ছিল।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ফায়েক মোল্লা প্রায় পাঁচ বছর ধরে জাটিগ্রাম বাজার সংলগ্ন বারাশিয়া নদীর বেড়িবাঁধে পরিবার নিয়ে বসবাস করছেন। গত মঙ্গলবার দুপুর আড়াইটার দিকে পরিবারের সদস্যদের অজান্তে শিশুটি ঘরের পাশে বারাশিয়া নদীতে পড়ে ডুবে যায়।

তাৎক্ষণিকভাবে স্থানীয় লোকজন নদীতে অনুসন্ধান করে তাঁকে উদ্ধার করতে পারেননি। পরে বিকালে গোপালগঞ্জ থেকে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে উদ্ধার তৎপরতা চালায়। কিন্তু তাদের ডুবুরি দলের সদস্য না থাকার কারণে খুলনা থেকে তিন সদস্যের ডুবুরি দল এনে সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত উদ্ধার অভিযান চালিয়েও শিশুটির সন্ধান না পেয়ে তারা চলে যায়।

গতকাল বুধবার সকালে শিশুটির মরদেহ নদীতে ভাসতে দেখে তার স্বজনেরা লাশটি উদ্ধার করে।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে আলফাডাঙ্গা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) উত্তম কুমার সেন বলেন, শিশু নিখোঁজের খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করি। শিশুটিকে উদ্ধারে খুলনা থেকে ডুবুরি দল এনে নদীতে অনেক উদ্ধার তৎপরতা চালিয়েও কোন খোঁজ পাওয়া যায়নি। এরপর নিখোঁজের ১৮ ঘন্টাপর শিশুটির মরদেহ নদীতে ভাসতে দেখে উদ্ধার করা হয়।

Tag :
জনপ্রিয়

ফরিদপুরে ডুবে যাওয়ার ১৮ ঘন্টা পর নদীতে ভেসে উঠল শিশুর মরদেহ

Update Time : ০১:৪০:২২ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ জুন ২০২১

ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় বারাশিয়া নদীতে ডুবে যাওয়ার ১৮ ঘন্টা পর ফাতেমা খানম নামে ৩ বছরের এক শিশুর লাশ ভেসে ওঠে নদীতে। গতকাল বুধবার (৯ জুন) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে শিশুটির বাড়ির সামনে বারাসিয়া নদী থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।

আলফাডাঙ্গা সদর ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান এ কে এম আহাদুল হাসান বলেন,   ফাতেমা উপজেলার সদর ইউনিয়নের জাটিগ্রামের ফায়েক মোল্লার মেয়ে। ফায়েক মোল্লা রিক্সা ভ্যানে করে ঝালমুড়ি বিক্রি করে সংসার চালায়। তাঁর দুই ছেলে-মেয়ের মধ্যে ছোট ফাতেমা।ফাতেমা শারীরিক প্রতিবন্ধী ছিল।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ফায়েক মোল্লা প্রায় পাঁচ বছর ধরে জাটিগ্রাম বাজার সংলগ্ন বারাশিয়া নদীর বেড়িবাঁধে পরিবার নিয়ে বসবাস করছেন। গত মঙ্গলবার দুপুর আড়াইটার দিকে পরিবারের সদস্যদের অজান্তে শিশুটি ঘরের পাশে বারাশিয়া নদীতে পড়ে ডুবে যায়।

তাৎক্ষণিকভাবে স্থানীয় লোকজন নদীতে অনুসন্ধান করে তাঁকে উদ্ধার করতে পারেননি। পরে বিকালে গোপালগঞ্জ থেকে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে উদ্ধার তৎপরতা চালায়। কিন্তু তাদের ডুবুরি দলের সদস্য না থাকার কারণে খুলনা থেকে তিন সদস্যের ডুবুরি দল এনে সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত উদ্ধার অভিযান চালিয়েও শিশুটির সন্ধান না পেয়ে তারা চলে যায়।

গতকাল বুধবার সকালে শিশুটির মরদেহ নদীতে ভাসতে দেখে তার স্বজনেরা লাশটি উদ্ধার করে।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে আলফাডাঙ্গা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) উত্তম কুমার সেন বলেন, শিশু নিখোঁজের খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করি। শিশুটিকে উদ্ধারে খুলনা থেকে ডুবুরি দল এনে নদীতে অনেক উদ্ধার তৎপরতা চালিয়েও কোন খোঁজ পাওয়া যায়নি। এরপর নিখোঁজের ১৮ ঘন্টাপর শিশুটির মরদেহ নদীতে ভাসতে দেখে উদ্ধার করা হয়।