২০১৫ সালে ‘ভালোবাসা সীমাহীন’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে বড় পর্দায় অভিষেক হয় পরী মনির। সে বছর ‘রানা প্লাজা’ ছবিতে চুক্তিবদ্ধ হয়ে আলোচনায় আসেন তিনি, যদিও এখনো মুক্তি পায়নি ছবিটি।
ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই পরীকে নিয়ে নানান জল্পনায় মুখর থাকতো চলচ্চিত্রপাড়া। পরীর খামখেয়ালি স্বভাব, প্রেম, প্রেমিকের সঙ্গে অবকাশ যাপন, বিবাহ কিংবা বিচ্ছেদ সবকিছু মিলিয়েই বিভিন্ন সময়ে বারবার খবরের শিরোনাম হয়েছেন পরী।
২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে পরী মনি ও সৌরভের কয়েকটি ঘনিষ্ঠ ছবি ছড়িয়ে পড়েছিল ফেসবুকে। পাওয়া গিয়েছিল বিয়ের কাবিননামার একটি কপিও। এরপরই পরী মনির বিয়ের খবর দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। পরে এটা নিয়ে খবরও প্রকাশ হয় বিভিন্ন মিডিয়ায়। সেসব খবরে সৌরভের সঙ্গে তোলা পরীমনির ছবি ও কাবিননামাও জুড়ে দেওয়া হয়। সবকিছু অস্বীকার করেছিলেন পরী।
২০১৬ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি এক সাংবাদিকের সঙ্গে পরীমনির প্রেমের খবর প্রকাশিত হয়। ২০১৯ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি বেশ ঢাকঢোল পিটিয়ে তাদের বাগদান সম্পন্ন হয়। শোনা গিয়েছিল, পরের বছর ভালোবাসা দিবসে বিয়ে করবেন তারা। সে বছর জুনে এক সাক্ষাৎকারে পরীমনি তাদের সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার কথা জানান। এর আগেও একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে পরী মনির। ভেঙেও যায়।
পরবর্তীতে ২০২০ সালের ১০ মার্চ হুট করেই নির্মাতা কামরুজ্জামান রনিকে বিয়ে করেন পরী। ‘জানেন, আমরা তিন টাকায় বিয়ে করেছি! কিউট না? আমাদের বিয়ের দেনমোহর তিন টাকা’- এভাবেই গতবছরের মার্চ মাসে হঠাৎ বিয়ের খবর জানিয়েছিলেন ঢালিউডের আলোচিত এই নায়িকা। অথচ কামরুজ্জামান রনির সঙ্গে বিয়ের পর পাচ মাস কেটে গেলেও পরীমনির স্বামী বা সংসারের কোনো খবর ছিল না। এমনকি নানা সময়ে ফেসবুকে নিজের অনেক ছবি পোস্ট করলেও স্বামীর সঙ্গে কোনো ছবি শেয়ার করেননি পরীমনি। শুধু তা-ই নয়, স্বামী ও সংসার নিয়ে কিছু জানতে চাইলেও এড়িয়ে যেতেন তিনি। ঘনিষ্ঠ সুত্রের বরাতে সে সময় জানা যায় যে পরীর সঙ্গে আর কোনো সম্পর্ক নেই এই স্বামীর।
অল্প কদিনের পরিচয়ে হুট করেই রনিকে বিয়ে করার খবর জানালে সে সময় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকে মন্তব্য করেছিলেন, আসলে পরী ফোকাসে থাকার জন্য, আলোচনায় থাকার জন্য এমন অদ্ভুত সব কাণ্ড ঘটান।