ঢাকা ০৯:৫৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩০ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম
ফরিদা পারভীনের মৃত্যুতে প্রধান উপদেষ্টার শোক দেশবরেণ্য লালন সংগীত শিল্পী ফরিদা পারভীন আর নেই এক নজরে বিশ্ব সংবাদ: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫ আজকে কোন টিভি চ্যানেলে কোন খেলা আজকের নামাজের সময়সূচি ১৪ সেপ্টেম্বর অন্তর্বর্তী সরকার ও উপদেষ্টারা মাহফুজদের যথেচ্ছা ব্যবহার করে এখন মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিচ্ছে: নাহিদ ইসলাম শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে টানা ১২ দিন ছুটি থাকবে জাকসু নির্বাচন: হল সংসদের ভিপি-জিএস হলেন যারা চূড়ান্ত ফলে ভিপি জিতু, জিএস-এজিএসসহ ১৯ পদে যাদের নাম শোনা যাচ্ছে জাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনের ফল আজ সন্ধ্যা ৭টার মধ্যে ঘোষণা হতে পারে: প্রধান নির্বাচন কমিশনার

ফরিদপুরে ধর্ষণ ও হত্যার দায়ে একজনের যাবজ্জীবন

ফরিদপুরে শিউলী আকতার (৩২) নামে এক এনজিও কর্মীকে ধর্ষণ ও হত্যার দায়ে দোষী সাব্যস্ত করে রিপন মোল্লা (৩৯) নামে এক ব্যাক্তিকে যাবজ্জীবন কারদন্ড দিয়েছেন আদালত। একই সাথে ওই ব্যাক্তিকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে এ আদেশ দিয়েছেন জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক(জেলা ও দায়রা জজ) প্রদীপ কুমার রায়।
এ মামলার আসামি রিপন আগে থেকেই জেল হাজতে ছিলেন। সকালে তাকে জেলখানা থেকে আদালতে আনা হয়। আদালত রিপনের সামনেই রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার পর তাকেপুলিশ প্রহড়ায় জেলা কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে রাষ্ট্রপক্ষের পিপি স্বপন কুমার পাল বলেন, এ হত্যা মামলায় রিপনসহ মোট নয় জন আসামি ছিলেন। অন্য আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়া তাদের বেকসুর খালাস দেন আদালত।
এ হত্যা মামলার নথি সুত্রে জানা গেছে, শিউলী আক্তার ফরিদুপরের বোয়ালমারী উপজেলার দাদপুর উত্তর পাড়া গ্রামের বাসিন্দা। তিনি বিবাহিত এবং তার স্বামী মালয়েশিয়া চাকুরি করেন। তার একটি মেয়ে সন্তান রয়েছে। শিউলী এস ডি সি নামে একটিএনজিওর বোয়ালমারী শাখায় কাজ করতেন।
২০০৯ সালের ১২ জুলাই কাজ শেষ করে শিউলী বোয়ালমারীর দাদপুর গ্রামে খালা লাইলী বেগমের বাড়িতে আসতেই পথে রাত হয়ে যায়।ওই সময় খালা লাইলী শিউলিকে হেরিকেন নিয়ে এগিয়ে যেতে চাইলে তাদের প্রতিবেশী রিপন মোল্লা শিউলিকে পৌঁছিয়ে দেওয়ার কথা বলে নিয়ে যান।পরে ওই রাতেই বাড়ির পাশে একটি পাট ক্ষেতে শিউলীকে গলায় ওরনা পেচানো মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়।
এ ঘটনায় শিউলীর বাবা বারেক মোল্লা বাদী হয়ে পর দিন ১৩ জুলাই রিপন মোল্লাসহ চারজনের নাম উল্লেখ করে ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ একটি মামলা দায়ের করেন।
এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বোয়ালমারী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) কেরামত আলী গত ২০০৯ সালের ১২ অক্টোবর ও ২০১০ সালের ১৪ জানুয়ারি দুই দফায় রিপন মোল্লাসহ মোট নয় জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।

Tag :
জনপ্রিয়

ফরিদা পারভীনের মৃত্যুতে প্রধান উপদেষ্টার শোক

ফরিদপুরে ধর্ষণ ও হত্যার দায়ে একজনের যাবজ্জীবন

Update Time : ০৩:০২:১৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ অক্টোবর ২০২১

ফরিদপুরে শিউলী আকতার (৩২) নামে এক এনজিও কর্মীকে ধর্ষণ ও হত্যার দায়ে দোষী সাব্যস্ত করে রিপন মোল্লা (৩৯) নামে এক ব্যাক্তিকে যাবজ্জীবন কারদন্ড দিয়েছেন আদালত। একই সাথে ওই ব্যাক্তিকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে এ আদেশ দিয়েছেন জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক(জেলা ও দায়রা জজ) প্রদীপ কুমার রায়।
এ মামলার আসামি রিপন আগে থেকেই জেল হাজতে ছিলেন। সকালে তাকে জেলখানা থেকে আদালতে আনা হয়। আদালত রিপনের সামনেই রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার পর তাকেপুলিশ প্রহড়ায় জেলা কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে রাষ্ট্রপক্ষের পিপি স্বপন কুমার পাল বলেন, এ হত্যা মামলায় রিপনসহ মোট নয় জন আসামি ছিলেন। অন্য আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়া তাদের বেকসুর খালাস দেন আদালত।
এ হত্যা মামলার নথি সুত্রে জানা গেছে, শিউলী আক্তার ফরিদুপরের বোয়ালমারী উপজেলার দাদপুর উত্তর পাড়া গ্রামের বাসিন্দা। তিনি বিবাহিত এবং তার স্বামী মালয়েশিয়া চাকুরি করেন। তার একটি মেয়ে সন্তান রয়েছে। শিউলী এস ডি সি নামে একটিএনজিওর বোয়ালমারী শাখায় কাজ করতেন।
২০০৯ সালের ১২ জুলাই কাজ শেষ করে শিউলী বোয়ালমারীর দাদপুর গ্রামে খালা লাইলী বেগমের বাড়িতে আসতেই পথে রাত হয়ে যায়।ওই সময় খালা লাইলী শিউলিকে হেরিকেন নিয়ে এগিয়ে যেতে চাইলে তাদের প্রতিবেশী রিপন মোল্লা শিউলিকে পৌঁছিয়ে দেওয়ার কথা বলে নিয়ে যান।পরে ওই রাতেই বাড়ির পাশে একটি পাট ক্ষেতে শিউলীকে গলায় ওরনা পেচানো মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়।
এ ঘটনায় শিউলীর বাবা বারেক মোল্লা বাদী হয়ে পর দিন ১৩ জুলাই রিপন মোল্লাসহ চারজনের নাম উল্লেখ করে ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ একটি মামলা দায়ের করেন।
এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বোয়ালমারী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) কেরামত আলী গত ২০০৯ সালের ১২ অক্টোবর ও ২০১০ সালের ১৪ জানুয়ারি দুই দফায় রিপন মোল্লাসহ মোট নয় জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।