ঢাকা ০৭:২৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৫, ২৭ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম
ফরিদপুরে মাসব্যাপী টাইফয়েড টিকা দান ক্যাম্পেইনের উদ্বোধন ফরিদপুরে ক্যাশলেস বাংলাদেশ বিষয়ক সেমিনার গাজার মতো ইউক্রেনের যুদ্ধ থামিয়ে দিতে ট্রাম্পকে জেলেনস্কির অনুরোধ দেশে প্রথমবারের মতো শুরু হয়েছে টাইফয়েড টিকাদান কর্মসূচি এক নজরে বিশ্ব সংবাদ: ১১ অক্টোবর ২০২৫ আজকে কোন টিভি চ্যানেলে কোন খেলা আজকের নামাজের সময়সূচি: ১২ অক্টোবর বাংলাদেশি পাসপোর্ট দেখে ইসরায়েলি সেনারা আরও ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে মাটিতে ছুড়ে ফেলে: শহিদুল আলম গাজাবাসীদের ওপর যে নির্যাতন হয়, তার তুলনায় আমাদের সঙ্গে যা হয়েছে, তা কিছুই নয় ট্রাম্পকে নোবেল শান্তি পুরস্কার উৎসর্গ করলেন মারিয়া কোরিনা মাচাদো

আপাতত লকডাউনের পরিকল্পনা নেই সরকারের

করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ফের বাড়লেও নতুন করে লকডাউনে যাচ্ছে না সরকার। তার পরিবর্তে মাস্ক পরাসহ করোনা নিয়ন্ত্রণে অন্যান্য বিধিবিধান কঠোরভাবে পালনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। আজ মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিবের সঙ্গে এক বৈঠকে যোগ দেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশীদ আলম।

বৈঠক শেষে অধিদপ্তরে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, কঠোর লকডাউনের বিষয়ে আমাদের কোনো নির্দেশনা দেওয়া হয় নাই। তবে আগের যে স্বাস্থ্যবিধি ছিল, সেগুলো বেশি বেশি করে মানা, সেগুলো প্রচার করা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আমাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে- রেস্তোরাঁ, পরিবহনে ভিড় এড়ানো, সবাইকে মাস্ক পরানো, পর্যটন কেন্দ্রগুলোয় যেন লোকজন ভিড় না করে।

গতবছর করোনা ভাইরাসের প্রকোপ বাড়তে শুরু করলে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মত বাংলাদেশেও মার্চের শেষ দিকে শুরু হয় ‘লকডাউনের’ বিধিনিষেধ। অফিস-আদালত, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, কল-কারাখানা, বিপণি বিতান ও উপাসনালয় বন্ধ রাখার পাশাপাশি যানবাহন চলাচলেও নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে সবাইকে যার যার বাড়িতে থাকার নির্দেশ দেওয়ায় দেশের ১৭ কোটি মানুষও ঘরবন্দি দশার মধ্যে পড়ে।

টানা ৬৬ দিনের লকডাউন ওঠার পর ৩১ মে থেকে অফিস খোলার পাশাপাশি গণপরিবহন চলাচালের অনুমতি দেয় সরকার। ধীরে ধীরে শুরু হয় ফ্লাইট চলাচল। অগাস্টে বিনোদন কেন্দ্রও খুলে দেওয়া শুরু হয়।

ভাইরাসের বিস্তার নিয়ন্ত্রণে রেখেই অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড সচল রাখার ভাবনা থেকে মাঝে পুরো দেশকে লাল, হলুদ ও সবুজ জোনে ভাগ করে পরিস্থিতি অনুযায়ী লকডাউনের বিধিনিষেধ আরোপের পরিকল্পনা হয়েছিল। পরীক্ষামূলকভাবে কয়েকটি এলাকায় সেই ব্যবস্থা চালানোও হয়েছিল। কিন্তু পরে আর তা এগোয়নি।

ডিসেম্বরের পর দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের মাত্রা ধীরে ধীরে কমতে থাকলেও চলতি মার্চের শুরু থেকে তা আবার উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে। দৈনিক শনাক্ত রোগীর সংখ্যা আবার ১৭ শর ঘরে উঠেছে, যা এক মাস আগেও তিনশর ঘরে ছিল। গত দুই দিনেই ২৬ জন করে মারা গেছেন এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে।

আজ মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিবের সঙ্গে এক বৈঠকে যোগ দেওয়ার পর স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে ফিরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন মহাপরিচালক। তিনি বলেন, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের করণীয় বিষয়ে বৈঠকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করার ওপর। এজন্য প্রয়োজনে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সাহায্য নিতে আমাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে গত জুলাই মাসের শেষ দিকে বাসার বাইরে সব জায়গায় সবার মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করে সরকার। এরপর ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে মাস্ক না পরার অপরাধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল বেশ কিছুদিন। তবে বছরের শেষ দিকে এসে সংক্রমণের মাত্রা কমতে শুরু করলে মাস্ক নিয়েও কড়াকড়ি কমে যায়। এখন আবার সেই কঠোর নিয়ম বাস্তবায়ন করতে ভ্রাম্যমাণ আদালত নামানো হবে বলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী সোমবারই ইঙ্গিত দিয়েছেন।
দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৫ লাখ ৬০ হাজার ৮৮৭ জন হয়েছে। এই রোগে এখন পর্যন্ত মারা গেছেন ৮ হাজার ৫৯৭ জন।
Tag :
জনপ্রিয়

ফরিদপুরে মাসব্যাপী টাইফয়েড টিকা দান ক্যাম্পেইনের উদ্বোধন

আপাতত লকডাউনের পরিকল্পনা নেই সরকারের

Update Time : ১২:৫৭:১৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ মার্চ ২০২১

করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ফের বাড়লেও নতুন করে লকডাউনে যাচ্ছে না সরকার। তার পরিবর্তে মাস্ক পরাসহ করোনা নিয়ন্ত্রণে অন্যান্য বিধিবিধান কঠোরভাবে পালনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। আজ মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিবের সঙ্গে এক বৈঠকে যোগ দেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশীদ আলম।

বৈঠক শেষে অধিদপ্তরে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, কঠোর লকডাউনের বিষয়ে আমাদের কোনো নির্দেশনা দেওয়া হয় নাই। তবে আগের যে স্বাস্থ্যবিধি ছিল, সেগুলো বেশি বেশি করে মানা, সেগুলো প্রচার করা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আমাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে- রেস্তোরাঁ, পরিবহনে ভিড় এড়ানো, সবাইকে মাস্ক পরানো, পর্যটন কেন্দ্রগুলোয় যেন লোকজন ভিড় না করে।

গতবছর করোনা ভাইরাসের প্রকোপ বাড়তে শুরু করলে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মত বাংলাদেশেও মার্চের শেষ দিকে শুরু হয় ‘লকডাউনের’ বিধিনিষেধ। অফিস-আদালত, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, কল-কারাখানা, বিপণি বিতান ও উপাসনালয় বন্ধ রাখার পাশাপাশি যানবাহন চলাচলেও নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে সবাইকে যার যার বাড়িতে থাকার নির্দেশ দেওয়ায় দেশের ১৭ কোটি মানুষও ঘরবন্দি দশার মধ্যে পড়ে।

টানা ৬৬ দিনের লকডাউন ওঠার পর ৩১ মে থেকে অফিস খোলার পাশাপাশি গণপরিবহন চলাচালের অনুমতি দেয় সরকার। ধীরে ধীরে শুরু হয় ফ্লাইট চলাচল। অগাস্টে বিনোদন কেন্দ্রও খুলে দেওয়া শুরু হয়।

ভাইরাসের বিস্তার নিয়ন্ত্রণে রেখেই অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড সচল রাখার ভাবনা থেকে মাঝে পুরো দেশকে লাল, হলুদ ও সবুজ জোনে ভাগ করে পরিস্থিতি অনুযায়ী লকডাউনের বিধিনিষেধ আরোপের পরিকল্পনা হয়েছিল। পরীক্ষামূলকভাবে কয়েকটি এলাকায় সেই ব্যবস্থা চালানোও হয়েছিল। কিন্তু পরে আর তা এগোয়নি।

ডিসেম্বরের পর দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের মাত্রা ধীরে ধীরে কমতে থাকলেও চলতি মার্চের শুরু থেকে তা আবার উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে। দৈনিক শনাক্ত রোগীর সংখ্যা আবার ১৭ শর ঘরে উঠেছে, যা এক মাস আগেও তিনশর ঘরে ছিল। গত দুই দিনেই ২৬ জন করে মারা গেছেন এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে।

আজ মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিবের সঙ্গে এক বৈঠকে যোগ দেওয়ার পর স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে ফিরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন মহাপরিচালক। তিনি বলেন, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের করণীয় বিষয়ে বৈঠকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করার ওপর। এজন্য প্রয়োজনে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সাহায্য নিতে আমাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে গত জুলাই মাসের শেষ দিকে বাসার বাইরে সব জায়গায় সবার মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করে সরকার। এরপর ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে মাস্ক না পরার অপরাধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল বেশ কিছুদিন। তবে বছরের শেষ দিকে এসে সংক্রমণের মাত্রা কমতে শুরু করলে মাস্ক নিয়েও কড়াকড়ি কমে যায়। এখন আবার সেই কঠোর নিয়ম বাস্তবায়ন করতে ভ্রাম্যমাণ আদালত নামানো হবে বলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী সোমবারই ইঙ্গিত দিয়েছেন।
দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৫ লাখ ৬০ হাজার ৮৮৭ জন হয়েছে। এই রোগে এখন পর্যন্ত মারা গেছেন ৮ হাজার ৫৯৭ জন।