সারদা সুন্দরী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক
আজমল হোসেন এর মরদেহ উদ্ধার করে বুধবার রাতে জানাযা শেষে সাড়ে ১২ টায় শহরের আলিপুর গোরস্থানে দাফন করা হয়েছে।
তবে অপর শিক্ষক আলমগীর হোসেন এর মরদেহ এখনো খুঁজে পাওয়া যায়নি।
ফরিদপুরের পুলিশ সুপার মো: আলীমুজ্জামান জানান, ফরিদপুরে সিএন্ডবি ঘাটে নৌকাডুবির ৮ দিন পর প্রায় ১০০ কিমি ভাটিতে পদ্মা সেতুর ৩৩ নং পিলার সংলগ্ন এলাকায় তার মরদেহ ভেসে ওঠে। এটি শরীয়তপুর জেলার জাজিরা থানার পূর্ব নাওডুবা ইউনিয়নের মাঝির কান্দি গ্রামে অবস্থিত।
বুধবার দুপুরে স্থানীয় যুবক রুবেল এর মাধ্যমে সংবাদ পেয়ে জাজিরা নৌ পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা উদ্ধার অভিযান চালায় এবং মরদেহ জাজিরা থানা নিয়ে আসে।
এ সময় নিহতের নিকট আত্মীয় স্বজন ও ফরিদপুর কোতয়ালী থানার এসআই নজরুল ইসলামের নেতৃত্বে একটি টিম
আজমল হোসেন এর মরদেহ শনাক্ত করে। মরদেহের প্যান্টের পকেটে তার ভোটার আইডি কার্ড, মানিব্যাগ মোটর সাইকেলের চাবি ও কিছু নগদ টাকা পাওয়া যায়।
জাজিরা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, মুহম্মদ মাহাবুবুর রহমান রাত ৯ টা আজমল হোসেন এর মরদেহ তার নিকট আত্মীয় স্বজনের কাছে লাশ হস্তান্তর করে।
আজমল হোসেন এর লাশ পাওয়া গেছে খবর শুনে গোয়ালচামট এলাকার ১ নং সড়কে মধ্যরাতে শত শত বন্ধুবান্ধব,সহকর্মী,প্রতিবেশী ,আত্মীয়-স্বজন, শিক্ষার্থী-অভিভাবক হাজির হয়।
রাত সাড়ে এগারোটায় বাবরি মসজিদে জানাজা শেষে তাকে আলীপুর গোরস্থানে দাফন করা হয়। গত ২৫ আগস্ট ফরিদপুরের বিভিন্ন স্কুলের ১৪ জন শিক্ষকের সাথে তিনি নৌভ্রমণে বের হন। সি এন্ড বি ঘাট হতে ফেরার পথে নৌকাডুবি শিকার হন ও পদ্মায় তলিয়ে যান।
তার সাথে তলিয়ে যান ফরিদপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আলমগীর হোসেন। তবে তার লাশ এখনো পাওয়া যায়নি। নিখোঁজ দুই শিক্ষকের শোকে নিজ নিজ এলাকায় ও পাড়া মহল্লায় কান্নার রোল ও শোকের ছায়া নেমে এসেছে।