শনিবার বিকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত এক দিনে মারা যাওয়া ১০১ জনকে নিয়ে দেশে করোনাভাইরাসে মোট ১০ হাজার ২৮৩ জনের মৃত্যু হল।
আর নতুন রোগীদের নিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে সাত লাখ ১৫ হাজার ২৫২ জন হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাবে, বাসা ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও পাঁচ হাজার ৯০৭ জন রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন গত একদিনে। সব মিলিয়ে এ পর্যন্ত সুস্থ রোগীর মোট সংখ্যা বেড়ে ৬ লাখ ৮ হাজার ৮১৫ জন হয়েছে।
বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল গতবছর ৮ মার্চ; তা ছয় লাখ পেরিয়ে যায় গত ১ এপ্রিল।
প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর গত বছরের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এ বছর ৩১ মার্চ তা নয় হাজার ছাড়িয়ে যায়।
জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় বিশ্বে শনাক্তের দিক থেকে ৩৩তম স্থানে আছে বাংলাদেশ, আর মৃতের সংখ্যায় রয়েছে ৩৮তম অবস্থানে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ১২১টি আরটি-পিসিআর ল্যাব, ৩৪টি জিন-এক্সপার্ট ল্যাব ও ১০২টি র্যাপিড অ্যান্টিজেন ল্যাবে অর্থাৎ সর্বমোট ২৫৭টি ল্যাবে ১৬ হাজার ১৮৫টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এ পর্যন্ত পরীক্ষা হয়েছে ৫১ লাখ ৫০ হাজার ৬৬৩টি নমুনা।
২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার ২১ দশমিক ৪৬ শতাংশ, এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৮৯ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৫ দশমিক ১২ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৪ শতাংশ।
সরকারি ব্যবস্থাপনায় এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৩৮ লাখ ৩৪ হাজার ৭১০টি। আর বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হয়েছে ১৩ লাখ ১৫ হাজার ৯৫৩টি।
গত এক দিনে যারা মারা গেছেন, তাদের মধ্যে ৬৯ জন পুরুষ আর নারী ৩২ জন। তাদের ৯৯ জন হাসপাতালে এবং দুইজন বাড়িতে মারা গেছেন।
তাদের মধ্যে ৫৮ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি, ২৯ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছর, আটজনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে, তিনজনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে এবং তিনজনের বয়স ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে ছিল।