ঢাকা ০২:২২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৫, ২৬ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম
বাংলাদেশি পাসপোর্ট দেখে ইসরায়েলি সেনারা আরও ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে মাটিতে ছুড়ে ফেলে: শহিদুল আলম গাজাবাসীদের ওপর যে নির্যাতন হয়, তার তুলনায় আমাদের সঙ্গে যা হয়েছে, তা কিছুই নয় ট্রাম্পকে নোবেল শান্তি পুরস্কার উৎসর্গ করলেন মারিয়া কোরিনা মাচাদো ট্রাম্পকে নোবেল না দেয়া নোবেল কমিটির রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত: হোয়াইট হাউজ চলতি বছর শান্তিতে নোবেল পেয়েছেন ভেনেজুয়েলার মারিয়া কোরিনা মাচাদো এক নজরে বিশ্ব সংবাদ: ১০ অক্টোবর ২০২৫ আজকে কোন টিভি চ্যানেলে কোন খেলা আজকের নামাজের সময়সূচি: ১১ অক্টোবর ফিলিপাইনে শক্তিশালী ভূমিকম্পের জেরে ইন্দোনেশিয়ার উপকূলে ছোট আকারের সুনামি আঘাত হেনেছে যুদ্ধবিরতি চুক্তি অনুমোদনের পরও গাজায় নতুন করে বিমান হামলা করেছে ইসরায়েলি বাহিনী

কারাবন্দির নারীসঙ্গ জঘন্যতম অপরাধ: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল

কারাবন্দি অবস্থায় নারীসঙ্গের ঘটনা জঘন্যতম অপরাধ বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তিনি বলেছেন, কারাগারের ভেতরে এ ধরনের ঘটনাকে প্রশ্রয় দেওয়া যায় না। যেই এ ধরনের কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকবে, বিধি অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
শনিবার গণমাধ্যমকে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এই ঘটনায় ইতোমধ্যেই মন্ত্রণালয় থেকে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এরই মধ্যে অভিযুক্ত তিনজনকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। বিধি অনুযায়ী শাস্তি পাবে অভিযুক্তরা।
গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগার পার্ট-১ এর বন্দি হলমার্ক কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িত জিএম তুষার আহমেদকে কারাগারে নারী সঙ্গীর ব্যবস্থা করে দেয়ার অভিযোগ উঠে। এ ঘটনায় তিনজনকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। শুক্রবার সহকারী কারা মহাপরিদর্শক (প্রশাসন) মাইন উদ্দিন ভূইয়া তিনজনকে প্রত্যাহারের আদেশ দেন।
প্রত্যাহারকৃতরা হলেন- কাশিমপুর কারাগার পার্ট-১ এর ডেপুটি জেলার গোলাম সাকলাইন, সার্জেন্ট ইন্সট্রাক্টর মো. আব্দুল বারী ও সহকারী প্রধান কারারক্ষী মো. খলিলুর রহমান।
কারা অধিদপ্তরের দেওয়া গত ১৮ জানুয়ারির এক আদেশনামায় দেখা গেছে, পরবর্তী আদেশ না দেওয়া পর্যন্ত কাশিমপুর কারাগার পার্ট-১ এর ডেপুটি জেলার গোলাম সাকলাইন, সার্জেন্ট ইন্সট্রাক্টর মো. আব্দুল বারী ও সহকারী প্রধান কারারক্ষী মো. খলিলুর রহমানকে কাশিমপুর কারাগার পার্ট-১ থেকে প্রত্যাহার করে কারা অধিদপ্তরে সংযুক্ত করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, দেশের আর্থিক খাতের অন্যতম কেলেঙ্কারি হলমার্কের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর মাহমুদের ভায়রা ও হলমার্কের মহাব্যবস্থাপক তুষার আহমদকে কারা কর্মকর্তাদের কক্ষে নারীসঙ্গের ব্যবস্থা করে দেয়ার অভিযোগ উঠে।
এ ঘটনায় গত বৃহস্পতিবার অতিরিক্ত কারা মহাপরিদর্শক আবরার হোসেনকে প্রধান করে উপসচিব (সুরক্ষা বিভাগ) আবু সাঈদ মোল্লাহ ও ডিআইজি (ময়মনসিংহ বিভাগ) জাহাঙ্গীর কবিরকে সদস্য করে একটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছে।
এছাড়া একই ঘটনায় গত ১২ জানুয়ারি গাজীপুর জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আরেকটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (এডিএম) আবুল কালামকে প্রধান করে গাজীপুরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উম্মে হাবিবা ফারজানা ও ওয়াসিউজ্জামান চৌধুরীকে নিয়ে তিন সদস্যবিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়েছিল।
কারাগারের সিসি ফুটেজে দেখা গেছে, গত ৬ জানুয়ারি কারাগারে প্রবেশের মাঝে কর্মকর্তাদের অফিস এলাকায় কালো রংয়ের জামাকাপড় পরে স্বাচ্ছন্দ্যে ঘোরাফেরা করছেন হলমার্ক কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িত হলমার্কের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) তুষার আহমেদ। তিনি আসার কিছু সময় পর বাইরে থেকে বেগুনি রংয়ের সালোয়ার কামিজ পরা এক নারী সেখানে প্রবেশ করেন।
কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার রত্না রায় ও ডেপুটি জেলার সাকলাইনের উপস্থিতিতেই ওই নারীকে সেখানে দেখা যায়। তাদের সহযোগিতার বিষয়টিও সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা গেছে। দুপুর ১২টা ৫৫ মিনিটে কারাগারের দুই যুবকের সঙ্গে ওই নারী কারাগারের কর্মকর্তাদের কক্ষ এলাকায় প্রবেশ করে।
তাকে সেখানে রিসিভ করেন খোদ ডেপুটি জেলার সাকলায়েন। ওই নারী সেখানে প্রবেশ করার পর অফিস থেকে বেরিয়ে যান ডেপুটি জেলার সাকলায়েন। প্রায় ১০ মিনিট পর কারাগারে বন্দি হলমার্কের জিএম তুষার আহমদকে নিয়ে আসেন।
গাজীপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (এডিএম) আবুল কালাম বলেন, ঘটনাটি তদন্ত করা হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে।
Tag :
জনপ্রিয়

বাংলাদেশি পাসপোর্ট দেখে ইসরায়েলি সেনারা আরও ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে মাটিতে ছুড়ে ফেলে: শহিদুল আলম

কারাবন্দির নারীসঙ্গ জঘন্যতম অপরাধ: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল

Update Time : ০৫:১০:১৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২১
কারাবন্দি অবস্থায় নারীসঙ্গের ঘটনা জঘন্যতম অপরাধ বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তিনি বলেছেন, কারাগারের ভেতরে এ ধরনের ঘটনাকে প্রশ্রয় দেওয়া যায় না। যেই এ ধরনের কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকবে, বিধি অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
শনিবার গণমাধ্যমকে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এই ঘটনায় ইতোমধ্যেই মন্ত্রণালয় থেকে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এরই মধ্যে অভিযুক্ত তিনজনকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। বিধি অনুযায়ী শাস্তি পাবে অভিযুক্তরা।
গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগার পার্ট-১ এর বন্দি হলমার্ক কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িত জিএম তুষার আহমেদকে কারাগারে নারী সঙ্গীর ব্যবস্থা করে দেয়ার অভিযোগ উঠে। এ ঘটনায় তিনজনকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। শুক্রবার সহকারী কারা মহাপরিদর্শক (প্রশাসন) মাইন উদ্দিন ভূইয়া তিনজনকে প্রত্যাহারের আদেশ দেন।
প্রত্যাহারকৃতরা হলেন- কাশিমপুর কারাগার পার্ট-১ এর ডেপুটি জেলার গোলাম সাকলাইন, সার্জেন্ট ইন্সট্রাক্টর মো. আব্দুল বারী ও সহকারী প্রধান কারারক্ষী মো. খলিলুর রহমান।
কারা অধিদপ্তরের দেওয়া গত ১৮ জানুয়ারির এক আদেশনামায় দেখা গেছে, পরবর্তী আদেশ না দেওয়া পর্যন্ত কাশিমপুর কারাগার পার্ট-১ এর ডেপুটি জেলার গোলাম সাকলাইন, সার্জেন্ট ইন্সট্রাক্টর মো. আব্দুল বারী ও সহকারী প্রধান কারারক্ষী মো. খলিলুর রহমানকে কাশিমপুর কারাগার পার্ট-১ থেকে প্রত্যাহার করে কারা অধিদপ্তরে সংযুক্ত করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, দেশের আর্থিক খাতের অন্যতম কেলেঙ্কারি হলমার্কের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর মাহমুদের ভায়রা ও হলমার্কের মহাব্যবস্থাপক তুষার আহমদকে কারা কর্মকর্তাদের কক্ষে নারীসঙ্গের ব্যবস্থা করে দেয়ার অভিযোগ উঠে।
এ ঘটনায় গত বৃহস্পতিবার অতিরিক্ত কারা মহাপরিদর্শক আবরার হোসেনকে প্রধান করে উপসচিব (সুরক্ষা বিভাগ) আবু সাঈদ মোল্লাহ ও ডিআইজি (ময়মনসিংহ বিভাগ) জাহাঙ্গীর কবিরকে সদস্য করে একটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছে।
এছাড়া একই ঘটনায় গত ১২ জানুয়ারি গাজীপুর জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আরেকটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (এডিএম) আবুল কালামকে প্রধান করে গাজীপুরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উম্মে হাবিবা ফারজানা ও ওয়াসিউজ্জামান চৌধুরীকে নিয়ে তিন সদস্যবিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়েছিল।
কারাগারের সিসি ফুটেজে দেখা গেছে, গত ৬ জানুয়ারি কারাগারে প্রবেশের মাঝে কর্মকর্তাদের অফিস এলাকায় কালো রংয়ের জামাকাপড় পরে স্বাচ্ছন্দ্যে ঘোরাফেরা করছেন হলমার্ক কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িত হলমার্কের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) তুষার আহমেদ। তিনি আসার কিছু সময় পর বাইরে থেকে বেগুনি রংয়ের সালোয়ার কামিজ পরা এক নারী সেখানে প্রবেশ করেন।
কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার রত্না রায় ও ডেপুটি জেলার সাকলাইনের উপস্থিতিতেই ওই নারীকে সেখানে দেখা যায়। তাদের সহযোগিতার বিষয়টিও সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা গেছে। দুপুর ১২টা ৫৫ মিনিটে কারাগারের দুই যুবকের সঙ্গে ওই নারী কারাগারের কর্মকর্তাদের কক্ষ এলাকায় প্রবেশ করে।
তাকে সেখানে রিসিভ করেন খোদ ডেপুটি জেলার সাকলায়েন। ওই নারী সেখানে প্রবেশ করার পর অফিস থেকে বেরিয়ে যান ডেপুটি জেলার সাকলায়েন। প্রায় ১০ মিনিট পর কারাগারে বন্দি হলমার্কের জিএম তুষার আহমদকে নিয়ে আসেন।
গাজীপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (এডিএম) আবুল কালাম বলেন, ঘটনাটি তদন্ত করা হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে।