ঢাকা ০১:৩৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই ২০২৫, ১৬ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম
মেসির জোড়া অ্যাসিস্টে অ্যাটলাসকে ২-১ গোলে হারিয়েছে ইন্টার মায়ামি আজকের নামাজের সময়সূচি ৩১ জুলাই গাজায় নিহতের সংখ্যা ৬০ হাজার ছাড়িয়েছে: ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বড় ধরনের সাইবার হামলার আশঙ্কায় সতর্কতা জারি ফরিদপুরে বৃত্তি পরীক্ষায় সুযোগের দাবিতে ৩৮ বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মানববন্ধন রাশিয়ায় ৮.৮ মাত্রার ভূমিকম্প: সবচেয়ে শক্তিশালী দশটি ভূমিকম্পের তালিকায় স্থান প্রলয়ঙ্করী ভূমিকম্পের পর সুনামি আতঙ্কে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে ৫২ দেশ-অঞ্চল রাশিয়ায় ৮.৭ মাত্রার ভূমিকম্পের আঘাত, সুনামি সতর্কতা জারি এক নজরে বিশ্ব সংবাদ: ২৯ জুলাই ২০২৫ আজকে কোন টিভি চ্যানেলে কোন খেলা

জুনে এসএসসি, জুলাই-আগস্টে এইচএসসির পরিকল্পনা : শিক্ষামন্ত্রী

  • অনলাইন ডেস্ক
  • Update Time : ০৯:৪৬:৪৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২০
  • ২৫২ Time View

এসএসসি ও এইচএসসি স্তরের শিক্ষার্থীদের সিলেবাস ‘পুনর্বিন্যস্ত’ করে এসএসসি পরীক্ষার্থীদের ফেব্রুয়ারি থেকে এপ্রিল মাস এবং এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের ফেব্রুয়ারি থেকে মে মাস পর্যন্ত স্কুল-কলেজে নিয়ে ক্লাস করানোর পরিকল্পনা করা হচ্ছে বলে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি জানিয়েছেন।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে একথা জানান শিক্ষামন্ত্রী। এতে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন, শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলসহ শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব অনলাইনে যুক্ত ছিলেন।

“গত ১৬ মার্চ থেকে প্রত্যক্ষ শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। ফলে ২০২১ সালের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার্থীদের পূর্ণাঙ্গ সিলেবাস শেষ করা সম্ভব হয়নি। সিলেবাস কাস্টমাইজ করার কার্যক্রম চলছে। ১৫ জানুয়ারির মধ্যে শিক্ষার্থীদের এ বিষয়ে জানাতে পারব।

“পরের স্তরে যেতে যেগুলো প্রয়োজন, সেগুলো মাথায় রেখে সিলেবাসকে কাঁটছাট করে ছোট করা হবে, সেটি আমরা জানিয়ে দেব।”

মন্ত্রী বলেন, “ফেব্রুয়ারি থেকে এপ্রিল এই সময়কালে (এসএসসি পরীক্ষার্থীদের) ক্লাসরুমে পড়ানোর উদ্যোগ নেব, সেই চেষ্টা করছি। পরিস্থিতি যদি অনুকূলে থাকে ২০২১ সালের জুন নাগদ এই পরীক্ষা নেওয়ার চেষ্টা করব। স্কুলগুলো খুলে দেওয়ার চেষ্টা করব। দশম ও দ্বাদশ শ্রেণি যেন নতুন সিলেবাসে ক্লাস করে পরীক্ষা দিতে পারে।”

আগামী বছরের এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের ‘পুনর্বিন্যস্ত’ সিলেবাস ৩১ জানুয়ারির মধ্যে জানিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, “ফেব্রুয়ারি থেকে মে মাস পর্যন্ত হয়ত তাদের ক্লাসরুমে নিয়ে ক্লাস করানো হবে। জুলাই-অগাস্ট নাগাদ এই পরীক্ষা গ্রহণের আশা প্রকাশ করছি।”

এ বছর ফেব্রুয়ারিতে এসএসসি পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হলেও দেশে করোনাভাইরাসের প্রকোপ বাড়তে থাকায় এইচএসসি পরীক্ষা আর নেওয়া সম্ভব হয়নি। তার আগেই ১৭ মার্চ থেকে দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়।

‘অধ্যাদেশ জারি করে এইচএসসির ফল’

এ সময় শিক্ষামন্ত্রী আরো বলেন, ‘২০২০ সালের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল অধ্যাদেশ জারি করে প্রকাশ করা হবে। যেহেতু বিশেষ ব্যবস্থায় বিকল্প পদ্ধতিতে এ ফল প্রকাশ করা হচ্ছে সে কারণে আইন অনুযায়ী একটি অধ্যাদেশ জারি করতে হবে।’

ডা. দীপু মনি বলেন, ’শুধু বাংলাদেশেই নয়, মহামারি করোনা পরিস্থিতির কারণে সারা বিশ্বেই পাবলিক পরীক্ষা বাতিল করে বিকল্প ব্যবস্থায় পরীক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করা হয়েছে।’

শিক্ষামন্ত্রী জানান, এ বছর মোট পরীক্ষার্থী ১৩ লাখ ৬৫ হাজার ৭৮৯ জন। আটজনের সমন্বয়ে একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করা হয়েছে। তারাই এসব বিষয় তদারকি করছে। তাদের পরামর্শ অনুযায়ী সব ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

এদিকে, বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কারণে দেশের কওমি মাদ্রাসা বাদে সব ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আগামী ১৬ জানুয়ারি বন্ধ রয়েছে।

গত ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্তের পর ১৭ মার্চ থেকে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দফায় দফায় ১৬ জানুয়ারি পর্যন্ত ছুটি বাড়ানো হয়। বন্ধের মধ্যে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরে টিভিতে ক্লাস সম্প্রচার করা হচ্ছে। আর উচ্চ মাধ্যমিক এবং উচ্চ শিক্ষাস্তরে অনলাইনে ক্লাস পরিচালনা করছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো।

করোনায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের কারণে এ বছর প্রাথমিক ও ইবতেদায়ি সমাপনী, অষ্টমের সমাপনী ছাড়াও এইচএসসি পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে। জেএসসি ও এসএসসির ফলের ভিত্তিতে এইচএসসির ফল প্রকাশের সিদ্ধান্ত হলেও অন্যান্য শ্রেণিগুলোয় পরীক্ষা ছাড়া পরবর্তীতে ক্লাসে তুলে দেওয়া হবে। আর মাধ্যমিকের ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত অ্যাসাইনমেন্ট দিয়ে মূল্যায়ন করা হচ্ছে শিক্ষার্থীদের

Tag :
জনপ্রিয়

মেসির জোড়া অ্যাসিস্টে অ্যাটলাসকে ২-১ গোলে হারিয়েছে ইন্টার মায়ামি

জুনে এসএসসি, জুলাই-আগস্টে এইচএসসির পরিকল্পনা : শিক্ষামন্ত্রী

Update Time : ০৯:৪৬:৪৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২০

এসএসসি ও এইচএসসি স্তরের শিক্ষার্থীদের সিলেবাস ‘পুনর্বিন্যস্ত’ করে এসএসসি পরীক্ষার্থীদের ফেব্রুয়ারি থেকে এপ্রিল মাস এবং এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের ফেব্রুয়ারি থেকে মে মাস পর্যন্ত স্কুল-কলেজে নিয়ে ক্লাস করানোর পরিকল্পনা করা হচ্ছে বলে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি জানিয়েছেন।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে একথা জানান শিক্ষামন্ত্রী। এতে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন, শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলসহ শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব অনলাইনে যুক্ত ছিলেন।

“গত ১৬ মার্চ থেকে প্রত্যক্ষ শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। ফলে ২০২১ সালের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার্থীদের পূর্ণাঙ্গ সিলেবাস শেষ করা সম্ভব হয়নি। সিলেবাস কাস্টমাইজ করার কার্যক্রম চলছে। ১৫ জানুয়ারির মধ্যে শিক্ষার্থীদের এ বিষয়ে জানাতে পারব।

“পরের স্তরে যেতে যেগুলো প্রয়োজন, সেগুলো মাথায় রেখে সিলেবাসকে কাঁটছাট করে ছোট করা হবে, সেটি আমরা জানিয়ে দেব।”

মন্ত্রী বলেন, “ফেব্রুয়ারি থেকে এপ্রিল এই সময়কালে (এসএসসি পরীক্ষার্থীদের) ক্লাসরুমে পড়ানোর উদ্যোগ নেব, সেই চেষ্টা করছি। পরিস্থিতি যদি অনুকূলে থাকে ২০২১ সালের জুন নাগদ এই পরীক্ষা নেওয়ার চেষ্টা করব। স্কুলগুলো খুলে দেওয়ার চেষ্টা করব। দশম ও দ্বাদশ শ্রেণি যেন নতুন সিলেবাসে ক্লাস করে পরীক্ষা দিতে পারে।”

আগামী বছরের এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের ‘পুনর্বিন্যস্ত’ সিলেবাস ৩১ জানুয়ারির মধ্যে জানিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, “ফেব্রুয়ারি থেকে মে মাস পর্যন্ত হয়ত তাদের ক্লাসরুমে নিয়ে ক্লাস করানো হবে। জুলাই-অগাস্ট নাগাদ এই পরীক্ষা গ্রহণের আশা প্রকাশ করছি।”

এ বছর ফেব্রুয়ারিতে এসএসসি পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হলেও দেশে করোনাভাইরাসের প্রকোপ বাড়তে থাকায় এইচএসসি পরীক্ষা আর নেওয়া সম্ভব হয়নি। তার আগেই ১৭ মার্চ থেকে দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়।

‘অধ্যাদেশ জারি করে এইচএসসির ফল’

এ সময় শিক্ষামন্ত্রী আরো বলেন, ‘২০২০ সালের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল অধ্যাদেশ জারি করে প্রকাশ করা হবে। যেহেতু বিশেষ ব্যবস্থায় বিকল্প পদ্ধতিতে এ ফল প্রকাশ করা হচ্ছে সে কারণে আইন অনুযায়ী একটি অধ্যাদেশ জারি করতে হবে।’

ডা. দীপু মনি বলেন, ’শুধু বাংলাদেশেই নয়, মহামারি করোনা পরিস্থিতির কারণে সারা বিশ্বেই পাবলিক পরীক্ষা বাতিল করে বিকল্প ব্যবস্থায় পরীক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করা হয়েছে।’

শিক্ষামন্ত্রী জানান, এ বছর মোট পরীক্ষার্থী ১৩ লাখ ৬৫ হাজার ৭৮৯ জন। আটজনের সমন্বয়ে একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করা হয়েছে। তারাই এসব বিষয় তদারকি করছে। তাদের পরামর্শ অনুযায়ী সব ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

এদিকে, বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কারণে দেশের কওমি মাদ্রাসা বাদে সব ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আগামী ১৬ জানুয়ারি বন্ধ রয়েছে।

গত ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্তের পর ১৭ মার্চ থেকে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দফায় দফায় ১৬ জানুয়ারি পর্যন্ত ছুটি বাড়ানো হয়। বন্ধের মধ্যে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরে টিভিতে ক্লাস সম্প্রচার করা হচ্ছে। আর উচ্চ মাধ্যমিক এবং উচ্চ শিক্ষাস্তরে অনলাইনে ক্লাস পরিচালনা করছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো।

করোনায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের কারণে এ বছর প্রাথমিক ও ইবতেদায়ি সমাপনী, অষ্টমের সমাপনী ছাড়াও এইচএসসি পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে। জেএসসি ও এসএসসির ফলের ভিত্তিতে এইচএসসির ফল প্রকাশের সিদ্ধান্ত হলেও অন্যান্য শ্রেণিগুলোয় পরীক্ষা ছাড়া পরবর্তীতে ক্লাসে তুলে দেওয়া হবে। আর মাধ্যমিকের ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত অ্যাসাইনমেন্ট দিয়ে মূল্যায়ন করা হচ্ছে শিক্ষার্থীদের