আগে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশ করে ৬ উইকেটে ১৪১ রান। জবাবে নিউজিল্যান্ড থামে ৫ উইকেটে ১৩৭ রান করে।
জয়ের লক্ষ্যে খেলতে নামা নিউজিল্যান্ডের দুই ওপেনার ধীরলয়ে শুরু করেছিলেন। তারপরও টিকতে পারেননি হুট করে ওপেনার বনে যাওয়া রাচিন রবীন্দ্র। সাকিবের বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন তিনি ৯ বলে ১০ রান করে। দলীয় রান তখন ১৬।
স্কোরে দুই রান যোগ হওয়ার পর মেহেদীর চমক। এগিয়ে গিয়ে মারতে গিয়ে স্টাম্পিংয়ের শিকার ব্লান্ডেল। ৮ বলে ৬ রান করে ফেরেন তিনি। ১৮ রানে দুই উইকেট নেই তখন নিউজিল্যান্ডের।
অধিনায়ক টম লাথাম ও উইল ইয়ং হাল ধরেন তখন। আস্তে আস্তে এগুতে থাকে সফরকারীরা। দলীয় ৬১ রানে জমে যাওয়া জুটিতে ভাঙন ধরান সাকিব আল হাসান। ২৮ বলে ২২ রান করে সাইফউদ্দিনের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ইয়ং। তার ইনিংসে ছিল তিনটি চারের মার।
উইকেট হারালেও গ্রান্ডহোমকে সঙ্গে নিয়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে যাচ্ছিলেন কিউই অধিনায়ক লাথাম। এই জুটি ভাঙেন স্পিনার নাসুম আহমেদ। গ্রান্ডহোমকে মোস্তাফিজের ক্যাচ বানিয়ে বাংলাদেশকে ম্যাচে ফেরার আভাস দেন তিনি। ১০ বলে ৮ রান করেন তিনি।
এরপর বেশিক্ষণ টেকেননি অভিজ্ঞ হেনরি নিকোলস। তিনিও মোস্তাফিজের তালুবন্দী। এবার বোলার স্পিনার মেহেদী হাসান। ৫ বলে ৬ রান করেন নিকোলস। ১৫.৩ ওভারে নিউজিল্যান্ডের রান তখন ৯২। উইকেট পতন ৫টি।
শেষ ২৪ বলে নিউজিল্যান্ডের দরকার তখন ৪৮ রান। ওভার প্রতি রান লাগবে ১২। অনেকটা দুরুহ ব্যাপার। ১৭তম ওভারের প্রথম বলে ম্যাককঞ্চিকে এলবির ফাদে ফেলেন সাকিব। আম্পায়ারও আঙুল তোলেন। তবে রিভিউ নিয়ে বেঁচে যান ম্যাককঞ্চি।
এরপর দলকে বলতে গেলে একাই পথ দেখাতে শুরু করেন অধিনায়ক লাথাম। ১৮.৩ ওভারে রান আউট হতে পারতেন আগেই ফিফটি করা লাথাম। কিন্তু সোহান বল ধরার আগেই বেল ফেলে দেয়ায় সম্ভব হয়নি। বেচে যান লাথাম।
শেষ ওভারে নিউজিল্যান্ডের দরকার ছিল ২০ রান। বোলার মোস্তাফিজ। যা হবার তাই হয়েছে। পারেনি কিইউরা। শেষ ওভারে মোস্তাফিজ দেন ১৫ রান। যদিও এক নো বল ম্যাচের মোড় প্রায় ঘুড়িয়ে দিচ্ছিল। জয়ের জন্য শেষ বলে নিউজিল্যান্ডের দরকার ছিল ৬ রান। কিন্তু লাথাম পারেনি কোন বাউন্ডারি হাকাতে। বাংলাদেশ পায় ৪ রানের রোমাঞ্চকর জয়।
নিউজিল্যান্ডের হয়ে যা লড়াই তা করেছেন বলতে গেলে অধিনায়ক লাথাম। ৪৯ বলে ছয়টি চার ও এক ছক্কায় ৬৭ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। ১২ বলে তার সাথে ১৫ রানে অপরাজিত ছিলেন ম্যাককঞ্চি।