ঢাকা ০৪:২৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৫, ৪ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ফরিদপুরের ৩২ মাসে ৩৩ মন ওজন সম্রাটের, দাম ১০ লাখ

ফরিদপুরের ৩২ মাসে ৩৩ মন ওজন হয়েছে একটি ষাড় গরুর। ষাড়টির নাম দেয়া হয়েছে ‘সম্রাট’। এবারের কোরবানীর ঈদকে সামনে রেখে গরুটির দাম হাঁকা হয়েছে ১০ লাখ টাকা। সদর উপজেলার আলিয়াবাদ ইউনিয়নের বিলমামুদপুরে অবস্থিত মাইশা ডেইরী ফার্মে ফ্রিজিয়ান জাতের এই গরুটির জন্ম। সেখানেই অতিযত্নে লালন পালন করা হচ্ছে। গরুটি লম্বায় সাড়ে ৯ ফুট এবং উচ্চতায় ৫ ফুট ৮ ইঞ্চি।

জেলা প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তরে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এপর্যন্ত ফরিদপুর জেলায় মধ্যে সবচেয়ে বড় গরু হিসেবে তালিকাভুক্ত হয়েছে এই ৩৩ মন ওজনের সম্রাট। অনলাইনে ক্রেতাদের সুবিধার্থে প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তর তাদের ওয়েবসাইটে এই ষাড় গরুটির ছবিসহ তথ্যাদি প্রকাশও করেছেন। গরুটিকে দেখতে প্রতিদিন ভিড় করছে আশপাশের মানুষ।

মাইশা ডেইরী ফার্মের স্বত্বাধিকারী মো. রফিকুল ইসলাম সবুজ বলেন, তাঁর ডেইরী ফার্মের একটি গাভীর গর্ভে জন্ম হয় এই ষাড় বাছুরটি। এরপর সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক পরিবেশে এটিকে লালন পালন করে বড় করেছেন।

তিনি জানান, তাজা ঘাস, খড়, গম, ভুসি ও খৈল খাওয়ানো হয় গরুটিকা। প্রতিদিন প্রায় ১৬ কেজি খাবারের জন্য খরচ হয় এক হাজার টাকার মতো। ষাড়টি বড় করতে কোন কৃত্রিম পদ্ধতি অবলম্বন করেননি। মোটাতাজাকরণের কোন ওষুধ বা খাবার দিতে হয়নি।

এবারের কোরবানি ঈদকে সামনে রেখেই গরুটিকে প্রস্তুত করেছিলেন জানিয়ে সবুজ বলেন, চলমান করোনা পরিস্থিতির কারণে গরুর খামারীরা খুব অসুবিধায় আছেন। অনলাইনে গরু বিক্রির কথা বলা হলেও অনেকের সম্মন্ধে ধারণা নেই। সরকার যদি’ স্বাস্থ্যবিধি মেনে তাদেরকে গরু বিক্রির জন্য সীমিত সময়ের জন্য হলেও ব্যবস্থা নিতো তাহলে মানুষের উপকার হতো।

ফরিদপুর জেলা প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা নুরুল আহসান বলেন, ৩৩ মন ওজনের ‘সম্রাটের’ খবর জেনেছি। ষাড় গরুটির ছবিসহ অনলাইনে দেয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। গরুর হাট চালুর ব্যাপারে তিনি বলেন, আগামী ১৪ তারিখে লকডাউনের সময়সীমা শেষ হলে হয়তো এব্যাপারে সিদ্ধান্ত আসতে পারে। খামারীদের সমস্যার বিষয়ে সরকার অবহিত রয়েছে।

Tag :
জনপ্রিয়

ফরিদপুরের ৩২ মাসে ৩৩ মন ওজন সম্রাটের, দাম ১০ লাখ

Update Time : ০৪:২৪:৪৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ জুলাই ২০২১

ফরিদপুরের ৩২ মাসে ৩৩ মন ওজন হয়েছে একটি ষাড় গরুর। ষাড়টির নাম দেয়া হয়েছে ‘সম্রাট’। এবারের কোরবানীর ঈদকে সামনে রেখে গরুটির দাম হাঁকা হয়েছে ১০ লাখ টাকা। সদর উপজেলার আলিয়াবাদ ইউনিয়নের বিলমামুদপুরে অবস্থিত মাইশা ডেইরী ফার্মে ফ্রিজিয়ান জাতের এই গরুটির জন্ম। সেখানেই অতিযত্নে লালন পালন করা হচ্ছে। গরুটি লম্বায় সাড়ে ৯ ফুট এবং উচ্চতায় ৫ ফুট ৮ ইঞ্চি।

জেলা প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তরে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এপর্যন্ত ফরিদপুর জেলায় মধ্যে সবচেয়ে বড় গরু হিসেবে তালিকাভুক্ত হয়েছে এই ৩৩ মন ওজনের সম্রাট। অনলাইনে ক্রেতাদের সুবিধার্থে প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তর তাদের ওয়েবসাইটে এই ষাড় গরুটির ছবিসহ তথ্যাদি প্রকাশও করেছেন। গরুটিকে দেখতে প্রতিদিন ভিড় করছে আশপাশের মানুষ।

মাইশা ডেইরী ফার্মের স্বত্বাধিকারী মো. রফিকুল ইসলাম সবুজ বলেন, তাঁর ডেইরী ফার্মের একটি গাভীর গর্ভে জন্ম হয় এই ষাড় বাছুরটি। এরপর সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক পরিবেশে এটিকে লালন পালন করে বড় করেছেন।

তিনি জানান, তাজা ঘাস, খড়, গম, ভুসি ও খৈল খাওয়ানো হয় গরুটিকা। প্রতিদিন প্রায় ১৬ কেজি খাবারের জন্য খরচ হয় এক হাজার টাকার মতো। ষাড়টি বড় করতে কোন কৃত্রিম পদ্ধতি অবলম্বন করেননি। মোটাতাজাকরণের কোন ওষুধ বা খাবার দিতে হয়নি।

এবারের কোরবানি ঈদকে সামনে রেখেই গরুটিকে প্রস্তুত করেছিলেন জানিয়ে সবুজ বলেন, চলমান করোনা পরিস্থিতির কারণে গরুর খামারীরা খুব অসুবিধায় আছেন। অনলাইনে গরু বিক্রির কথা বলা হলেও অনেকের সম্মন্ধে ধারণা নেই। সরকার যদি’ স্বাস্থ্যবিধি মেনে তাদেরকে গরু বিক্রির জন্য সীমিত সময়ের জন্য হলেও ব্যবস্থা নিতো তাহলে মানুষের উপকার হতো।

ফরিদপুর জেলা প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা নুরুল আহসান বলেন, ৩৩ মন ওজনের ‘সম্রাটের’ খবর জেনেছি। ষাড় গরুটির ছবিসহ অনলাইনে দেয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। গরুর হাট চালুর ব্যাপারে তিনি বলেন, আগামী ১৪ তারিখে লকডাউনের সময়সীমা শেষ হলে হয়তো এব্যাপারে সিদ্ধান্ত আসতে পারে। খামারীদের সমস্যার বিষয়ে সরকার অবহিত রয়েছে।