ফরিদপুরে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধ এবং প্রাদুর্ভাব মোকাবেলা বিষয়ক পর্যালোচনা সভার আলোকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। রোববার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসক অতুল সরকারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সভায় আলোচনায় অংশ নেন ফরিদপুরের পুলিশ সুপার মো. আলিমুজ্জামান, ফরিদপুর সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিকেল অফিসার তানজিব জুবায়ের, ফরিদপুর র্যাব-৮ এর অধিনায়ক মেজর মো. আব্দুর রহমান, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কোম্পানি কমান্ডার মেজর ইমরুল কায়েস, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)এর সুবেদার মো. মীর মানিক হোসেন, এনএসআই এর যুগ্ম পরিচালক মো. শহীদুজ্জামান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) মো. তরিকুল ইসলাম, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাসুম রেজা প্রমুখ।
সভায় জানানো হয়, কাঁচা বাজার দুপুর ১২ টার পর্যন্ত চলছে কিন্তু বিকেল পাঁচটার পর পুলিশের কার্যক্রম কম হওয়ায় তখন কিছু লোক অলিতে গলিতে আড্ডা দেওয়া শুরু করে। এজন্য সন্ধ্যার পরে প্রশাসনের কাজ করা দরকার। ত্রাণ দিতে সমন্বয় প্রয়োজন।
এছাড়া বিভিন্ন এনজিও ঋনের কিস্তি আদায় বন্ধ রাখতে হবে। পর্যাপ্ত খাদ্য মজুদ রয়েছে। যারা সমস্যায় আছেন আমাদের হট লাইন বা ৩৩৩ যোগাযোগ করলে তাদের বাড়িতে খাদ্য দ্রব্য পৌছে দেওয়া হবে। কেউ কোন প্রকার গুজব ফেসবুক বা কোন জায়গায় লকডাউন বিরোধী অপপ্রচার করলে প্রশাসনকে জানানোর জন্য অনুরোধ করা হয়।
লকডাউনে কেউ যেন বিনা কারণে বের না হয় সে জন্য শহরে ২৯ টি পয়েন্টে পুলিশের চেকপোস্ট রয়েছে এবং ১২ টি ভ্রাম্যমান টিম রয়েছে। তাছাড়া জেলা প্রশাসনের কার্যালয়ে কর্মরত ম্যাজিস্ট্রেটগণ ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাগণও বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করছেন।